কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো? বিস্তারিত জানুন

কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো? ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম? ইউটিউব চ্যানেল কি? বিস্তারিত জানাবো আজকের এই পোস্টে। আজকের অনলাইন দুনিয়ার ভিডিও প্রচারণার জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ইউটিউব।

ছোট থেকে বড় প্রায় বয়সীদের কাছে ইউটিউব ভিডিও চাহিদা রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অধীনস্থ লোক youtube এর মাধ্যমে ভিডিও দেখে থাকে। বর্তমানে কোন বিষয়ে আর্টিকেল পড়ার চাইতে ভিডিওর মাধ্যমে তথ্য গ্রহণের হার শীর্ষে রয়েছে। ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো

ইউটিউব চ্যানেল কি।

ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পাওয়া যায় যেমন নাটক,সিনেমা, গেমিং, রান্নাবান্না, আর্ট ইত্যাদি। কোন বিষয়েই নেই যা ইউটিউবে পাওয়া যায় না।এতসব ভিডিও প্রতিনিয়ত ভাবে আপলোড করে থাকে? আপনার নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে হচ্ছে? এই যে আপনার, আমার মত মানুষেরাই এই কাজ করে থাকেন এর জন্য প্রয়োজন হয় একটি ইউটিউব চ্যানেল।

ইউটিউব চ্যানেল বলতে বোঝায় ইউটিউব কনটেন্ট থিয়েটার স্পেস যেখানে আপনি আপনার বানানো ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন এবং অন্যরা সেই ভিডিও দেখার সুযোগ পাবে। আমাদের যেমন নিজেদের ফেসবুক কিংবা টুইটার প্রোফাইল থাকে, youtube চ্যানেল অনেকটা এরকমই হয়। একাউন্ট ছাড়া ইউটিউব ভিডিও দেখা গেলেও ভিডিও আপলোড করার সুযোগ পাবেন না।

আবার শুধুমাত্র সাইন ইন করার পরে নিউজ প্রোফাইল থেকেও ভিডিও আপলোড করা যায়। কিন্তু প্রফেশনাল ভিডিও জন্য অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম মেনে তৈরি করতে হবে। আশা করছি যে ,আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন যে ,ইউটিউব চ্যানেল কি।
youtube চ্যানেল খোলার নিয়ম।

ইউটিউব থেকে উপার্জন অনেকে চ্যানেল খুলতে চান। তখন তাদের মনে প্রশ্ন জাগে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলার নিয়ম কি? সবচেয়ে সহজ উত্তর হল চ্যানেল খুলতে প্রয়োজন ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি ডিভাইস। পাশাপাশি একাউন্ট।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর তা ভেরিফাই করে নতুন ফিউচার যোগ করার জন্য প্রয়োজন হয় মোবাইল নাম্বার।ইউটিউব চ্যানেল হল এমন একটি স্থান যেখানে কনটেন্ট ক্রিয়েটেররা ভিডিও আপলোড করে তাদের কনটেন্ট ক্রিয়েট বলে।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম।

  • মোবাইল বা পিসি

  • একটি সম্পূর্ণ ভেরিফাইড জিমেইল একাউন্ট

  • youtube অ্যাপ

  • ইন্টারনেট সংযোগ

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য কম্পিউটার অথবা মোবাইল যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে https://www.youtube.com/ ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার ব্রাউজারের ব্যবহার করতে পারেন অথবা আপনি চাইলে আপনার মোবাইল বাউজার ব্যবহার করতে পারেন তাতে। মোবাইল ব্রাউজার সব সময় ডেক্সটপ মুড অপশন টি ব্যবহার করবেন।

https://www.youtube.com/ ইউটিউব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে ওপরে ডান দিকে আপনি "সাইন ইন" এর একটি অপশন দেখতে পাবেন। সাইন ইন অপশন ক্লিক করার পরে আপনার জিমেইল একাউন্ট এর সাহায্যে লগইন করতে বলবে আপনারকে লগইন করতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল মূলত দুই ধরনের হয়। একটি পার্সোনাল চ্যানেল আরেকটি ব্যান্ড চ্যানেল। পার্সোনাল চ্যানেলগুলো মূলত একজন ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অন্যদিকে ব্যান্ড চ্যানেলগুলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা টিমের অধীনে থাকে।

Youtube চ্যানেলের সেটিং।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর কোন কোন চ্যালেঞ্জ সেটিংগুলো শুরুতেই করে নিতে হবে। সেই বিষয়ে অনেক কম তথ্য অনলাইন পাবেন। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সেই প্রত্যেক ইউটিউব চ্যানেল সেটিংগুলো বিষয়ে বলব যেগুলো আপনার চ্যানেল এর বিকাশের জন্যই জরুরী।
  • নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লগইন করলে“Your Channel >> Settings” এর মধ্যে গেলে আপনার এই “channel status and features” আন্টি দেখতে পাবেন। সরাসরি এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনারা নিজের চ্যালেনের সাথে জড়িত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিং গুলো দেখতে পাবেন।

  • ইউটিউব চ্যানেল সেটিং করতে প্রথমে youtube.com এগিয়ে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে your channel লেখাতে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার চ্যানেল সামনে চলে আসবে তারপর সেখানে কাস্টম চ্যানেল লেখাতে ক্লিক করলে আপনার ইউটিউব স্টুডিও করে দেওয়া হবে
  • Youtube Studio এর বাম পাশে মেনু থেকে Customizstion এ ক্লিক করবেন।
  • এরপর Basic info লেখাতে ক্লিক করবেন।
বেসিক ইনফো এর সকল সেটিং a b c d e f দিয়ে চিহ্নিত করা আছে। তো চলুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
A) অপশন হলো পেনসিক আইকন। এর মাধ্যমে আপনি চ্যানেল এর নাম পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
B) অপশন হলো ডেক্রিপশন বক্স। এখানে আপনার চ্যানেলটি কি বিষয় নিয়ে তৈরি করবেন তার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে দিবেন।
C) অপশন হলো ভাষা। এখানে আপনি কি ভাষাতে ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করবেন সেটি সিলেক্ট করে দিবেন।
D) অপশন হলো- চ্যানেল এর url আপনি এখানে সকলকে আপনার ইউটিউব ইউআরএলটি শেয়ার করবেন। উক্ত লিংকে কেউ ক্লিক করলে সরাসরি আপনার চ্যানেলে চলে যাবে।
E) অপশন হলো- লিংক এড। আপনি এখানে বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া লিংক যুক্ত করতে পারবেন।
F) অপশন হলো- জিমেইল একাউন্ট যুক্ত করার অপশন।
  • উক্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর দুপাশের উপরে পাবলিশ অপশনে ক্লিক করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url