মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি।ছোট পুকুরে মাছ চাষ।

আমি আপনাদেরকে জানাবো পুকুরে মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি? ছোট পুকুরে মাছ চাষ? কোন মাছ চাষে বেশি লাভ? বিস্তারিত,মাছ হচ্ছে রানীর পাশের অন্যতম উৎস। কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং পুষ্টি সরবরাহ মৎস্য সম্পদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি।ছোট পুকুরে মাছ চাষ।
মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, যেমন একই পুকুরে নানা জাতের মাছ চাষ করা যায়,, খাল ও ডুবাই মাছ চাষ করা যায়, আবার চৌবাচ্চায় মাছের চাষ করা যায়। সাধারণ মাছের জন্য পুকুরের খাবার উৎপাদনই হচ্ছে মাছ চাষ।

এটি কি সেই মতই একটি চাষবাদ পদ্ধতি। আবার কোন নির্দিষ্ট জলার হয়ে/জলাশীর ময় পরিকল্পিত উপায়ে স্বল্প পুঁজি অল্প সময়ে ও লাগা পদ্ধতি মাধ্যমে মাছের উৎপাদনকে মাছ চাষ বলে। মূলত বিভিন্ন নিয়ম মেনে প্রকৃতির উৎপাদনের চেয়ে অধিক মাছ উৎপাদনে মাছ চাষ।

কোন মাছ চাষে লাভ বেশি

চাষ করতে চাচ্ছেন বা করছেন তাদের মাঝে খুবই কমন প্রশ্ন কোন মাছ চাষে বেশি লাভ? মাছ চাষ কয়েক শতাব্দী ধরে বাংলাদেশে কর্মস্থান ও এর একটি প্রধান উৎস। সঠিক কৌশল ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মাছ চাষ অন্তত লাভজনক হতে পারে।


বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মাছ আবাসস্থল। মাছের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের লাভজনক মাছ চাষের সম্ভাবনা বাড়ছে। এই ব্লগ পোস্টে আমি বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ পাশ পাশাপাশি কোন মাছ চাষে পদ্ধতি গুলো সবচেয়ে লাভজনক সেটা আলোচনা করব।

  • চিংড়ি

বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক মাছ চাষ। বিশ্ব বাজারে এই উচ্চ চাহিদা রয়েছে এবং এর উৎপন্ন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে চাষ করা চিংড়ি প্রদান ও জাতি হল প্যাসিফিক হোয়াইট চিংড়ি (লিটো পেনিয়াস ভ্যানামেই) এই প্রজাতি রোগ প্রতিরোধি এবং পরিবেশ বিস্তৃত পরিচরের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, এটি শ্রেয়াস্কিত উৎপাদনের জন্য আদর্শ করে তোলে।

তাছাড়া অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় উৎপন্ন খরচ তুলনামূলকভাবে কম। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উচ্চ ফলন ও ভালো আই পাওয়ার সম্ভব।

  • তেলাপিয়া মাছ

বাংলাদেশের মাছ চাষীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রজাতি হলো তেলাপিয়া মাছ। উষ্ণ-পানির মাছের প্রজাতি জাদ্রুত বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আবাসস্থলে প্রজনন করার ক্ষমতার জন্য পরিচিতি। তেলাপিয়া প্রতিযোগিতা পরিবর্তন এর জন্য উত্তর সহনশীল। তেলাপিয়া মাছ চাষের খরচ তুলনামূলক কম।আবার এই প্রজাতিগুলো ২. ৫ মাস থেকে 3 মাসের মধ্যে বাঁধা যোগ করা যায়।


বাংলাদেশ আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ে তেলাপিয়া উচ্চ ফলন ধরে রাখতে সক্ষম। তেলাপিয়া রোগ প্রতিরোধে এবং দূষণের জন্য উচ্চ সহনশীল এর জন্য পরিচিত । এই বিষয়গুলো বাংলাদেশ মাছ চাষীদের জন্য তেলাপিয়াকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে, কারণ এটি সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য উভয়ই।

  • পাঙ্গাস মাছ
  • সিলভার কাপ মাছ
  • কই মাছ
  • রুই মাছ
  • গাবদা মাছ
  • টেংরা মাছ
  • কাতলা মাছ
  • গুলশা মাছ
  • শোল মাছ
  • শিং মাছ

প্রতিটি পদ্ধতির সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। খাঁচা সংহতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি, কারণ এটি সবচেয়ে কার্যকর এবং সাশ্রয়ী। এটি একটি ছোট এলাকায় আরো মাছ চাষের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি একটি প্রতিরক্ষামূলক পরিবেশ প্রদানের সুবিধা রয়েছে।


পুকুরের চাষ আর একটি জনপ্রিয় পদ্ধতির কারণ এটি একটি প্রকৃতি পরিবেশের জন্য অনুমতি দেই যেখানে মাছ বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে পারে। রেস ওয়ে সংস্কৃতি সব চেয়ে শ্রম-নিবিড় বিকল্প এবং অভিজ্ঞ কৃষকদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটির জন্য সবচেয়ে বেশি সময় এবং সম্পদের বিনিয়োগ প্রয়োজন, কিন্তু সঠিকভাবে করা হলে এটি সবচেয়ে লাভজনক বিকল্প হতে পারে।

ছোট পুকুরে মাছ চাষ

ছোট পুকুরে জলের গভীরতা কম হয় ফলে সোনার চাষ করতে হয়। আর এই ছোট মাছ খুব অল্প সময়ে বাজারে বিক্রি করা সম্ভব। পুকুরে আয়তন কম থাকায় মাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য পরিমাণ কম লাগে। যা আপনাকে অনেক সাশ্রয় করবে।

ছোট পুকুরে সাধারণত শিঙি মাছ, শোল, ছোট জাতীয় মাছ চাষ করা উচিত। কারণ এগুলি বাজার মূল্য বেশি ফলে। এই মাছ চাষের ফলে আপনি লাভবান হবেন। ছোট পুকুরে আপনি উপযুক্ত জৈব সার দিয়ে কম খরচে লাভবান চাষ করতে পারবেন।

মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি

জলজ আগাছা-কচুরিপানা, কল মিলটা, হেলেংসা শেখরসহ তুলে ফেলতে হবে।। শোল, বোয়াল, টাকি, রাক্ষুসে মাছ এবং অবিবাহিত মাছ ও ময়লা, ঢেলা,চান্দা, পুঁটি সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর প্রতি ১ শতকে ১ কেজি হারে চুন পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। পুকুরে পানি থাকলে গ্রামে বা বালটিতে গুলে ঠা থালা করে পুরো পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

মাটি ও পানির গুনাগুন বিবেচনা রেখে চুন দেওয়ার এক সপ্তাহ পর জৈব সার দিতে হবে। কুকুর শুকনা হলে কুকুরের সার,চুন, গোবর সব ছিটিয়ে দিয়ে নাঙ্গল দিয়ে চাষ করে পানি ঢোকাতে হবে। পোনা মজুরের আগে পুকুর ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকলে তা মেরে ফেলতে হবে। উপরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মালে পোনা মজুদ করতে হবে।

মৃত্যুর হার যেন কম থাকে সেজন্য পোনার আকার ৮-১২ সেন্টিমিটার হতে হবে। এরপর নিয়মমতো পুকুরে পোনা ছাড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনাহারীতে বা পাতিলে ব্যাগ ে আনা হলো পলিথিন ব্যক্তির মুখ খোলার আগে পুকুরের পানিতে ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।

তারপর ব্যাগের মুখ খুলে অল্প করে ব্যাগের পানি পুকুরের পানি ব্যাগে ভরতে হবে। ব্যাগের পানি ও পুকুরের পানি তাপমাত্রা যখন সমান হবে তখন পাত্র বা ব্যাগের মুখ আধা পানিতে ডুবিয়ে কাজ করে সব পোনা পুকুরে ছাড়ে দিতে হবে।

কম খরচে মাছ চাষ

মাছের খাদ্যের খরচ কমিয়ে লাভ করার উপায়?ফিশ ফিডের খরচ কমাতে এবং লাভ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল উপযুক্ত ফিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মধ্যে সঠিক ধরনের ফিড নির্বাচন করা, প্রয়োজনীয় পিডিএফ সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং একটি কার্যকর খাওয়ানোর সময়সূচি তৈরি করা।

সঠিক পরিমাণে ফিট ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ফিটটি সর্বোত্তম মানের কিনা তা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ। ছোট এলাকায় উচ্চ ঘনত্বের স্বল্প খরচে মাছ চাষ একটি দক্ষ । লাভজনক পদ্ধতি মাছ উৎপাদনের একটি কার্যকর পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ছোট বা বড় এলাকায় ব্যবহার করা যেতে পারে, চাষ করা মাছের প্রজাতি এবং এলাকার আর আকারে উপর নির্ভর করে।

এত ট্যাঙ্ক, জাল দিয়ে ট্যাংক কুকুর ব্যবহার জড়িত। এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হল কৃষকদের সুবিধাগুলি পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ। করতে কম সময়ে এবং কম খরচে প্রয়োজন। সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষের তুলনায় এত মাছের উচ্চ ফলন পাওয়া সম্ভাবনাও রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url