রোজার ফজিলত সম্পর্কিত ৭টি হাদিস জেনে নিন।
রমযনের রোযা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই রোযার স্থান। রোযার আরবি শব্দ সওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। পরিভাষায় সওম বলা হয়-প্রত্যেক সজ্ঞান, বালেগ মুসলমান নর-নারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়তে পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোযাভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা।
রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব
রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ইহা শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়, বরং ইহা মন, কথা ও কর্মের দিক থেকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম। রমজান মাসের রোজা ফরয এবং এর ফজিলত অপরিসীম।
রোজার কিছু ফজিলত ও গুরুত্ব:
- জাহান্নাম থেকে মুক্তি: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "রমজান মাসের প্রথম রাতে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।" (সহীহ মুসলিম)
- লায়লাতুল কদরের فضيلة: রমজান মাসের শেষ দশকের যেকোনো এক বিজোড় রাতে লায়লাতুল কদর নেমে আসে। এই রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
- সওয়াব বৃদ্ধি: রমজান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
- তাqwa অর্জন: রোজা রাখার মাধ্যমে তqwa অর্জন করা সম্ভব। তqwa হলো আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকা এবং তাঁর আনুগত্য করা।
রোজার মাধ্যমে আমরা:
- আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি।
- দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারি।
- নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারি।
- আত্মসংযম ও ধৈর্য্য অর্জন করতে পারি।
- শরীর ও মনকে পবিত্র করতে পারি।
রজব মাসের ফজিলত ও আমল
রজব মাস হলো হিজরি বর্ষের সপ্তম মাস। এটি "আর-রজবুল মুরাজ্জাব" নামেও পরিচিত। রজব শব্দের অর্থ হলো "সম্মানিত" এবং "মুরাজ্জাব" অর্থ "বর্ধিত"।
রজব মাসের ফজিলত:
- রজব মাস হলো আল্লাহর মাস।
- এটি হারাম মাসগুলোর অন্যতম, যার মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ।
- রজব ও শাবান মাসকে "রজবাইন" বলা হয়। রমজানের পূর্বে এ দুটি মাস আমল ও সাধনার জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রজব ও শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।
- রজব মাসের প্রথম রাতে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
- রজব মাসে "লায়লাতুর রাগাইব" নামে একটি বিশেষ রাত রয়েছে, যা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
রজব মাসের আমল:
- রজব মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া।
- রোজা রাখা।
- দান-সদকা করা।
- তেলাওয়াতে কুরআন করা।
- দোয়া ও ইস্তেগফার করা।
- "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকা লাহু, লহুল মুলকু ওয়া লহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির" এই দোয়া বেশি বেশি পড়া।
- "আল্লাহুম্মা সাল্লি 'আলা মুহাম্মাদিন ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মাদ" এই দরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়া।
পরিশেষে, রজব মাস হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমাদের উচিত এই মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে এটি যথাযথভাবে পালন করা।
রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম এবং এর ফজিলত অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রোজার ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন।
কিছু হাদিস:
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান ও পূর্ণ সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
সহীহ মুসলিমে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "জান্নাতের একটি দরজা আছে যাকে রাইয়ান বলা হয়। কিয়ামতের দিন শুধুমাত্র রোজা রাখা ব্যক্তিরা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না।"
সুনানে তিরমিযীতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "কিয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আমার প্রতিপালক, আমি তাকে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কোরআন বলবে, হে আমার প্রতিপালক, আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছিলাম এবং তিলাওয়াতে আমার সাথে ব্যস্ত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।"
সুনানে ইবনে মাজাহতে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখে এবং লায়লাতুল কদরের রাতে ইবাদত করে তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
উল্লেখ্য, এগুলো হলো রোজার ফজিলত সম্পর্কে কিছু হাদিসের উদাহরণ। আরও অনেক হাদিস রয়েছে যেগুলোতে রোজার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
পরিশেষে, রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি এবং জান্নাতের প্রতিযোগী হতে পারি।
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
রমজান মাস ইসলামের অন্যতম পবিত্র মাস এবং এর ফজিলত অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রমজানের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন।
কিছু হাদিস:
সহীহ মুসলিমে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "জান্নাতের একটি দরজা আছে যাকে রাইয়ান বলা হয়। কিয়ামতের দিন শুধুমাত্র রোজা রাখা ব্যক্তিরা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না।"
তিরমিযী শরীফে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "রমজান মাস এলে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শেকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়।"
সুনানে ইবনে মাজাহতে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "রমজান মাস হলো ধৈর্য্যের মাস, আর শাবান মাস হলো 'ইজ্জত' (মর্যাদা) এর মাস এবং রজব মাস হলো আল্লাহর মাস।"
উল্লেখ্য, এগুলো হলো রমজানের ফজিলত সম্পর্কে কিছু হাদিসের উদাহরণ। আরও অনেক হাদিস রয়েছে যেগুলোতে রমজানের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
রমজান মাসের ফজিলত
রমজান মাস ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। এটি বরকত, রহমত ও মাগফিরাতের মাস। রমজান মাসের ফজিলত অপরিসীম।
রমজান মাসের কিছু ফজিলত:
- পাপের ক্ষমা: রমজান মাসের রোজা রাখার মাধ্যমে পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
- জাহান্নাম থেকে মুক্তি: রমজান মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
- লাইলাতুল কদরের فضيلة: রমজান মাসের শেষ দশকের যেকোনো এক বিজোড় রাতে লায়লাতুল কদর নেমে আসে। এই রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
- সওয়াব বৃদ্ধি: রমজান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
- তাqwa অর্জন: রমজান মাসের রোজা রাখার মাধ্যমে তqwa অর্জন করা সম্ভব। তqwa হলো আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকা এবং তাঁর আনুগত্য করা।
- শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: রমজান মাসের রোজা রাখার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব।
রমজান মাসে আমরা:
- আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি।
- দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারি।
- নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারি।
- আত্মসংযম ও ধৈর্য্য অর্জন করতে পারি।
- শরীর ও মনকে পবিত্র করতে পারি।
রমজান মাসের কিছু আমল:
- রোজা রাখা: রমজান মাসের রোজা রাখা ফরয।
- তারাবিহ: রমজান মাসে রাতের বেলায় তারাবিহ নামাজ পড়া।
- কুরআন তিলাওয়াত: রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা।
- দান-সদকা: রমজান মাসে দান-সদকা করা।
- দোয়া ও ইস্তেগফার: রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফার করা।
আমরা সকলেই রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে এটি যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি।
রমজান নিয়ে হাদিস
কিছু হাদিস:
সহীহ মুসলিমে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "জান্নাতের একটি দরজা আছে যাকে রাইয়ান বলা হয়। কিয়ামতের দিন শুধুমাত্র রোজা রাখা ব্যক্তিরা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না।"
তিরমিযী শরীফে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "রমজান মাস এলে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শেকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়।"
সুনানে ইবনে মাজাহতে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "রমজান মাস হলো ধৈর্য্যের মাস, আর শাবান মাস হলো 'ইজ্জত' (মর্যাদা) এর মাস এবং রজব মাস হলো আল্লাহর মাস।"
উল্লেখ্য, এগুলো হলো রমজান নিয়ে কিছু হাদিসের উদাহরণ। আরও অনেক হাদিস রয়েছে যেগুলোতে রমজানের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
রমজান মাসের কিছু আমল:
- রোজা রাখা: রমজান মাসের রোজা রাখা ফরয।
- তারাবিহ: রমজান মাসে রাতের বেলায় তারাবিহ নামাজ পড়া।
- কুরআন তিলাওয়াত: রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা।
- দান-সদকা: রমজান মাসে দান-সদকা করা।
- দোয়া ও ইস্তেগফার: রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফার করা।
আমরা সকলেই রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে এটি যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি।
রমজান মাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- রমজান মাস হলো আত্নসংযম ও ধৈর্য্যের মাস।
- এটি দান-সদকার মাস।
- এটি ক্ষমা ও মাগফিরাতের মাস।
- এটি জান্নাতের প্রতিযোগিতার মাস।
রোজার আয়াত ও হাদিস
রোজার আয়াত:
কুরআন মজীদের বাকারা সূরার ১৮৩ নং আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
রোজার হাদিস:
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান ও পূর্ণ সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
রোজার ফজিলত:
- রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব।
- রোজা রাখার মাধ্যমে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
- রোজা রাখার মাধ্যমে জান্নাতের প্রতিযোগী হওয়া সম্ভব।
- রোজা রাখার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব।
রোজার শর্তাবলী:
- রোজা রাখার জন্য মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও বালেগ হতে হবে।
- রোজার নিয়ত করতে হবে।
- সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা রাখতে হবে।
- রোজার অবস্থায় পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও রোযা ভঙ্গকারী অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
রোজার নিয়ম-কানুন:
- রমজান মাসের রোজা ফরয।
- রমজান মাস ছাড়া অন্য মাসে রোজা রাখা নফল।
- রোজা রাখার জন্য সুবহে সাদিকের আগে নিয়ত করতে হবে।
- রোজার সময় পানাহার, স্ত্রী-সহবাস, জেনেবুশ ও ইহতিলাম হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- রোজা ভঙ্গকারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যারা রোজা রাখতে পারবে না তাদের উপর কাফফারা ওয়াজিব।
আমরা সকলেই রোজার আয়াত ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে রমজান মাসের রোজা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url