ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ২০২৪? কি হতে চলছে বিস্তারিত জানুন
আজকের এই পোস্টে আপনারা যা জানবেন ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি?ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার?ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন বাংলাদেশ। বিস্তারিত জানানো হবে আজকের এই পোস্টে পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রা, যা এনক্রিপশন এলগরিদম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি অর্থ প্রদানের একটি বিকল্প পদ্ধতি। ক্রিপ্টো কারেন্সি ভার্চুয়াল কারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি নামেও পরিচিত। এটি প্রথম ডিজিটাল সম্পদ যেটির সারা বিশ্বে অনলাইন এবং অফলাইন বৈধ তথ্য প্রদানের পদ্ধতি হিসেবে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে।
আরো পড়ুন:ফ্রী ফায়ার আইডি হ্যাক করার জন্য কি কি প্রয়োজন (৫ মিনিটে) জেনে নিন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি যাকে সাধারণ ক্রিপ্টো বলা হয়। এগুলি হলো ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল কারেন্সি, যেখানে সিকিউর লেনদেনের জন্য কিটো গ্রাফি ব্যবহার করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা হয় না।
বরং, এটি একটি বি কেন্দ্রীভূত সিস্টেম ওপর বের করে আছে, যেখানে প্রতিদিন একটি রেকর্ড রাখার পাশাপাশি নতুন ইউনিট জারি করা হয়। এই পোস্টে আপনাদের গিফটো কারেন্সি সম্পর্কে ডিটেইলস জানানো হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার?
গোটা বিশ্বে প্রায় চার হাজারেরও বেশি ক্ষিপ্ত কারেন্সি মুদ্রা রয়েছে। তবে সবকিছু কারেন্সি জনপ্রিয় নয়। কিছু কারেন্সি জনপ্রিয় ক্ষিপ্ত কারেন্সির নাম তুলে ধরা হলো।
- Bitcoin:বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় কিপটা কারেন্সি হচ্ছে বিটকয়েন। ২০০৯ সাল থেকে এই মুদ্রা যাত্রা শুরু হয়েছিল।
- Ethereum: বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্বিতীয় জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে ইথেরিয়াম এটি একটি বিটকয়েনের মত এক ধরনের ডিজিটাল মানি। ২০১৩ সালে Vitalik Buterin এই ইটেরিয়াম ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ভাবন করেন।
- Tether: এটি এই ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি যারা আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০১৪ সালে।
- Binance Coin:Binance রাত্রি করা এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। এটি বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিপ্ত এক্সচেঞ্জের অন্যতম মাধ্যম। ২০১৭ সালে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে।
- USDT Coin: এটি হলো এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা।এটি টিথার ডলারের সাথে প্যাক করা একটি মুদ্রা।
- Dogecoin: ডিজিটাল মুদ্রার বাজারে আসে ২০১৩ সালে। ভারত ২২.৪.২০২২ তারিখে ১ Dogecoin প্রায় ১০.৫ টাকা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি তালিকা?
নামদামChg (24 ঘন্টা)
BTC/USD Bitcoin 43,737.7+3.18% +3.18%
ETH/USD Ethereum 2,445.14+9.83% +9.83%
LTC/USD Litecoin 76.52+4.21% +4.21%
XRP/USD Ripple 0.6419+3.36% +3.36%
বর্তমান সময়ে ট্রিপটো কারেন্সি কথাটি অনেকেই শুনে থাকবেন। তবে ক্রিপ্টকারেন্সি বলতে কি বুঝায় সম্পর্কে অনেকেই অজানা: ক্রিপ্টো কারেন্সি হলো এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি বা সম্পত্তি। এটি হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন পণ্য এবং সার্ভিস কেনার সময় দেশি মুদ্রার পরিবর্তে ক্রিপ্টো কারেন্সি সাহায্য লেনদেন করা।
আরো পড়ুন:বাংলাদেশ ভিসা করতে কত টাকা লাগে? (৫মিনিটে) জেনে নিন।
একটু কারেন্সি গুলির মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় এবং অন্যতম হলো বিটকয়েন। বিটকয়েনের সাহায্যে সবথেকে বেশি ট্রানজেকশন এবং ট্রেডিং করা হয় বিটকয়েন ছাড়াও এক হাজারেরও বেশি বর্তমানে মার্কেট এ অবস্থান করেছে। তবে এদের মধ্যে অল্প কিছু চাহিদা সর্বদা বেশি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়?
ক্রিপ্টো কারেন্সি দ্বারা আয় করার বিভিন্ন উপায় আছে, যেমন ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিং: এটি বিভিন্ন ক্রিপ্টো কারেন্সি মধ্যে দর পরিবর্তন করে। ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বা বিক্রি করে লাভ করার প্রক্রিয়া।ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম বা সহায়ক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যক্তিরা দৈনিক মুদ্রা পরিবর্তনের মধ্যে মুনাফা উপার্জন করতে পারে।
ক্রিপ্টো কারেন্সি দুনিয়ায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছেন নতুন নতুন প্রজেক্ট। এইসব প্রজেক্টে বিভিন্ন ধরনের লোক প্রয়োজন হয়। মার্কেটিং, কমিউনিটি ম্যানেজার, আর্টিকেল রাইডার, স্পেশাল মিডিয়া ম্যানেজার, অনুবাদ ইত্যাদি। আপনি চাইলে যেসব প্রজেক্টে আপনার দক্ষতা লোক নিয়োগ দিবে, যেসব প্রজেক্টে আবেদন করতে পারবেন।
যদি তাদের প্রয়োজন এর সাথে আপনার দক্ষতা মিলে যায়, তাহলে আপনি তাদের প্রজেক্টে অংশ হয়ে তাদের থেকে উপকার ইঞ্চি আয় করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনাকে যথেষ্ট ভালো প্ল্যাটফর্ম দেখতে হবে মনে আগে কাজের অভিজ্ঞতা। সে ক্ষেত্রে, আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আগে কিছু প্রজেক্ট এর সাথে ফ্রিতে কাজ করতে পারেন।
তবে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে এবং পরবর্তীতে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে। এইসব কাজ সাধারণত সরাসরি প্রজেক্টের মালিক এর সাথে কথা বলেও পাওয়া যায়। তবে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ খুঁজে নেওয়ার বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ২০২৪?
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ বা ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন বিরত থাকতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এইসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশে বৈধ কর্তৃপক্ষের দ্বারা ইস্যু করা নয়। তাই এর বিপরীতে কোন আর্থিক দাবি স্বীকৃতিও থাকে না।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার অবস্থান পরিষ্কার করে আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এক 'স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি' হিসাবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডি লেখা একটি চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রীট্র কারেন্সি সংরক্ষণ, লেনদেন অপরাধ নয় বলে মন্তব্য করেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অবস্থানের কথা গণমাধ্যমে আসার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরিত মতামতের অংশ বিশেষ হয়েছিল যা কোনক্রমে সাধারণভাবে প্রচারযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এবং ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় ক্রিপ্টো কারেন্সি, যেমন বিটকয়েন,ইটেরিয়াম, রিপল ও লাইট কয়েন বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন হচ্ছে। এইসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না। ফলে এ মুদ্রার বিপরীতে কোন আর্থিক দাবি স্বীকৃতি নয়।
এসব মুদ্রা লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন করে না। ফলে এর মুদ্রার বিপরীতে কোন আর্থিক দাবি স্বীকৃতি নয়।
সে কারণে ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, 2012 সমর্থন করে না। অনলাইন নামবিহীন ছন্দ নামধারী প্রসঙ্গীর সঙ্গে লেনদেন অনিচ্ছা কৃতভাবে ম্যানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিবোধ বিষয় আইন লঙ্ঘন হতে পারে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন বাংলাদেশ?
যদিও বাংলাদেশ বর্তমানে কোন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন বৈধতা নেই। বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সাল অবৈধ ঘোষণা করেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি সবচেয়ে জনপ্রিয় মুদ্রা বিটকয়েন কে। এখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে বিটকয়েনের আইনে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ, মিশর, আলজেরিয়া, মরক্কো সহ প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।
ডিজিটাল মুদ্রার ক্রিপটো কারেন্স বিনিময়, স্থানান্তর ও ট্রেড বাংলাদেশ অনুমোদিত নয়। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে বেআইনি। নির্দেশনা লংঘন করে এ ধরনের লেনদেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এমনটি করে থাকলে হতে পারে জেল-জরিমানা। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংক,মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ সব পক্ষকে সতর্ক করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url