বিটকয়েন এর আবিষ্কারক কে? এবং কিভাবে কাজ করে? জেনে নিন।

বিটকয়েন এর আবিষ্কারক কে?বিটকয়েন কি?কত সালে জন্ম হয় এবং প্রচলন শুরু হয় কত সালে। বিস্তারিত জানব, আজকের এই পোস্টে। বিটকয়েন হল, একধরনের মুদ্রা বা টাকা কিন্তু এই মুদ্রা তে শুধু মাত্র ডিজিটাল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।টাকা বা অন্যান্য মুদ্রার মত এটিকে ছুঁয়ে দেখা যায় না।

বিটকয়েন এর আবিষ্কারক কে,বিটকয়েন কি?

শুধুমাত্র ডিজিটাল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় বলে এটিকে ডিজিটাল কারেন্সি বা কিপ্টো কারেন্সি বলে
বিটকয়েনের ইতিহাস।

বিটকয়েন যখন প্রথম বাজারজাত হয় তখন একটি বিটকয়েন দাম ছিল ০.০৯ ডলার যার যার বাংলাদেশী মূল্য ছিল৬থেকে৭ টাকা কিন্তু বর্তমান আজকের তারিখে একটা বিটকানের দাম প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেয়ে বেশি সুতরাং আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল বিটকয়েন যে কতটা পরিমাণ ভ্যালুয়েশন বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিটকয়েন কত সালে জন্ম এবং প্রচলন শুরু হয় কত সালে?

বর্তমান সবচেয়ে আলোচিত মুদ্রা হচ্ছে বিটকয়েন। বিটকয়েন হল ডিজিটাল মুতার একটি রূপ সহজ কথা এটি গাণিতিক কাঠামো যা অ্যালগরিদম এর ওপর চলে। অধিগ্রহণ করা হলে, কর্তৃপক্ষ এটি শুধুমাত্র অনলাইন কেনাকাটা বা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করতে পারে।

এর উৎপাদন কম্পিউটার প্রসেসিং সিস্টেম "মাইনিং" দ্বারা স্বাধীনভাবে করা হয়, ফোনে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করতে এবং নেটওয়ার্কের সুরক্ষিত করতে বিশেষ হার্ডওয়ার ব্যবহার করে যার ফলে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়। যা খনির শ্রমিকরা গ্রহণ করে।

বিটকয়েনের জন্ম হয় ২০০৮ সালে এবং ২০০৯ সাল থেকে এর প্রচলন শুরু হয় Satoshi Nakamoto হল সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত নাম যারা 2008 সালে আসল বিটকয়েন সাদা কাগজ প্রকাশ করেছিল এবং 2009 সালে প্রকাশিত আসল বিটকয়েন সফ্টওয়্যারে কাজ করেছিল।

বর্তমানে বিটকয়েনের মূল্য সর্বাধিক ২০০৯ সাল বিটকয়েন এর সেরকম কিছুই মূল্য ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ১ বিটকয়েন সমান ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেয়েও বেশি যদিও মূল্যটি স্থিশীল নয়।

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে?

বিটকয়েন হল এক রকমের ইলেকট্রনিক মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রা এবং এই ধরনের মুদ্রা ব্যবহার আদান-প্রদান বা কেনাবেচার জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন।তবে বিটকয়েন কেনা বেচার বা আদান প্রদান করার জন্য আপনার যেকোনো একটি বিটকয়েন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।

ভিসা এর মত পেমেন্ট নেটওয়ার্ক বা পেপাল এর মত পেমেন্ট সার্ভিস প্রচারিত পদ্ধতিতে কাজ করে না বিটকয়েন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করেনা। বিশ্বের প্রথম মুক্ত পেমেন্ট নেটওয়ার্ক খোলো বিটকয়েন, যেখানে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে।

বিটকয়েন তৈরির পিছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেট ব্যবহার করে একটি ডিসেন্ট্রালাইজড পেমেন্ট ব্যবস্থা তৈরি করা। বিটকয়েনের জন্য তম প্রধান উপাদান হলো ব্লক চেইন যা এর আদান-প্রদান হিসেবে রাখে। তবে বিটকয়েন ডিসেন্ট্রালাইজড হওয়ার জেটু লেনদেন তথ্য দিতে পারে ও এইতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।


বিটকয়েন এই ওয়েবসাইটে বা এপ্সগুলির মাধ্যমে আপনি প্রয়োজন হিসাবে বিটকয়েন কিনে নিতে হবে।বিক্রি করতে পারেন।একবার আপনি বিটকয়েনের মালিক হয়ে গেলে তার মূল্য এবং বাণিজ্য অধিকারী হয়।আপনি অনলাইন পণ্য পরিষেবা নরনার জন্য আপনার বিটকয়েন গুলি ব্যবহার করতে পারেন।


অথবা আপনি সেগুলি সরিয়ে নিতে পারেন এবং আশা করতে পারেন যে বছরের পর বছর ধরে তাদের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।

বিটকয়েনের পিছনে সবাই ছুটছে কেন?

বর্তমান বিশ্বে 300 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বাজার দাঁড়িয়েছে ,ক্রিপ্টো কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা বাজারে কয়েক হাজার রকম ভার্চুয়াল মুদ্রা চালু রয়েছে।এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ ধরনের মুদ্রা বেশি পরিচিত।তবে বাজারদহ হিসাবে ৭০ শতাংশ দখল করে রেখেছে বিটকয়েন প্রতিদিন বিটকয়েনের মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায়১০ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলারে।

ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার ও জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান প্রথম আলোকে বলে।ক্রিপ্টো কারেন্সি সঙ্গে মাইনে বিষয়টি যুক্ত এতে সার্ভার ও ইলেকট্রনিক্স সিটি লাগে। সার্ভার সেটআপ করে একটু কারেন্সি মাইনিং করা যায়।নির্দিষ্ট থাকে এখান থেকে পেয়ার টু পেয়ার লেনদেন করা যায়। বাংলাদেশ বিনিয়োগে পাওয়ার জন্য ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশে ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন পর্যন্ত থাকলেও চেঞ্জ প্রযুক্তির দিকে সরকারের আগ্রহ রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সরকার এবার প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রেখেছে। আমিও তো বছরে ব্লক চেইন প্রযুক্তি পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার শুরু কথা বলেছে। বিটকানের পিছনে মূল প্রযুক্তি হলো ব্লক চেইন।

তবে অন্যান্য মুদ্রা ব্যবস্থায় যেমন সে দেশে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়। বিটকয়েন লেনদেন কোন ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। ইলেকট্রনিক দুজন ব্যবহারকার ীর মধ্যে কৃতগ্রাপি পদ্ধতি সরাসরি আদান প্রদান হয়।

বিটকয়েন সরবরাহ সীমিত বলে একে সঙ্গে তুলনা করা হয়।খনি থেকে উত্তোলনের এ পর্যায়ে যেমন সন্ধ্যে সরবরাহ শেষ হয়ে যাবে এরপর উত্তোলিত স্বর্ণের বিকিকিনি হতে পারে। তবে নতুন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। বিটকয়েন নির ধারনা ও তাই।

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ২০২৪?

বাংলাদেশের ব্যাংক জানিয়েছে দেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা কোন প্রকারভীত্ব কারেন্সি ক্রয় বিক্রয় বা সংরক্ষণে বেআইনি। বাংলাদেশের ব্যাংক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে বিটকয়েন ব্যবহার অনুমোদন নেই ।বাংলাদেশে না অনুমোদন না থাকায় এ জাতীয় সকল লেনদেন অবৈধ।

ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন থেকে বিরত ২০১৭ সালের ২৪শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমেও বাংলাদেশ বাংকে ওয়েবসাইট একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। সেখানে যে অবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংককে ছিল এখন তাই রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।এ প্রসঙ্গে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে পুনরায় জানাচ্ছে যে কোন ভার্চুয়াল মুদ্রা কি প্রকারান্তি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত নয়।

ভবিষ্যৎ বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান সাধারণ বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েক বছর আগেও উচ্চ ক্ষমতা কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিং এর কাজ শুরু করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আশা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এর প্রবণতা কমে গেছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url