ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন? জেনে নাও

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন ? ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে কি লাগে? ফ্রিল্যান্সিং কি? বিস্তারিত জানাবো আজকের এই পোস্টে।ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কোন ব্যক্তি নিজের দক্ষতা শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকেই একাধিক ক্লায়েন্ট এর কাজ করি। তখন ওই কাজকে বলা হচ্ছে আর যে ব্যক্তি ফিনান্স কাজ করে তিনি হচ্ছেন ফ্রিল্যান্সার।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব তা জেনে ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত।

আরো পড়ুন:ফ্রী ফায়ার আইডি হ্যাক করার জন্য কি কি প্রয়োজন (৫ মিনিটে) জেনে নিন।

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রধানমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ জানান বর্তমানে দেশে ফ্রিল্যান্সার স্যারের সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ তাদের মোট বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ কোটি ডলার।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এটি সাধারণ চাকরি মতই, কিন্তু ভিন্নতা হল এখানে আপনি স্বাধীন মত কাজ করতে পারেন। দেখা গেল আপনার এখন কাজ করতে ইচ্ছে করছে না, আপনি কাজ করবেন না। যখন ইচ্ছা করবে তখন আবার চাইলে করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং হলো চুক্তি ভিত্তিক পেশা যেখানে ব্যক্তি তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাইনের অথবা কোম্পানির পরিষেবা প্রদান করে সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হলো নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে যে ক্লায়েন্টের কাজ প্রদান করে এবং অর্থ আয় করে।

এমনিতেই ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে ইনকাম করা অনেক মাধ্যম আছে। আরেকটি নতুন অনলাইন টাকা আয়ের বিষয় নিয়ে আপনি আমি আপনাদের বলব। সেই বিষয়টি হল ফ্রিল্যান্সিং আজকের আর্টিকেল দ্বারা আমরা ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

আরো পড়ুন:বাংলাদেশ ভিসা করতে কত টাকা লাগে? (৫মিনিটে) জেনে নিন।

আজ ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা করে অনেকেই ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। অনেকে এত টাকা ইনকাম করেছে যা ফুলটাইম জব চাকরির থেকেও অনেক বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ২০২৪?

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেস গুলিতে এগিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। এই ধরনের সাইটগুলিতে বিভিন্ন এমপ্লয়ার বিভিন্ন ধরনের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজেন। এবং নতুন নতুন কাজ করার জন্য সেই সাইড গুলোকে ব্যবহার করেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে মূলত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দ্বারা কোন সেবা প্রদানের বিনিময়ে প অর্থ প্রদান করে আর কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ দক্ষ হতে প্রথমে তার শিখতে হবে ইন্টারনেট ভিত্তিক সহজ তবে প্রয়োজন হয় সঠিক দিকনির্দেশনার।

ফ্রিল্যান্সিং করতে অনেকগুলো কাজ বা দিক রয়েছে একজন ব্যক্তি কখনো সব দিকে পারদর্শী হতে পারে না তাই আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং উপযুক্ত কিনা কিছুটা সময় নিয়ে বাছাই করুন।প্রাথমিকভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানে কোর্স করতে যাবেন না প্রথমে আপনার বাছাইকৃত ফিন্যান্সিং কাজটি সম্পর্কে গুগল ইউটিউব ফেসবুক থেকে জেনে নিন এতে আপনার প্রাথমিক ভিত্তি মজবুত হবে।

সর্বশেষ নিজেকে নির্দিষ্ট বিষয়ের দক্ষ করে তুলতে ফ্রিল্যান্সিং পেইড কোর্স করুন ফ্রিল্যান্সারদের ব্যক্তিগত অনলাইন কোর্স করতে পারেন।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ?

একজন ফ্রিল্যান্সার ও তার ক্লায়েন্ট এর মধ্যে কিভাবে যোগাযোগ হয় চলুন জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সব অনলাইনে হয়ে থাকে তো একজন আরেকজনের সাথে সরাসরি দেখতে পায় না তাদের মধ্যে কথাবার্তা প্রজেক্ট ডিল কিভাবে হয়।

আরো পড়ুন:মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি।ছোট পুকুরে মাছ চাষ।

অনলাইন ক্লাইন্ট এর ফ্রিল্যান্সার রোজার অনেক উপায় আছে।যেমন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কোন স্বাস্থ্য কোম্পানি এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার প্রজেক্ট এর বিলগুলি হয়ে থাকে কিন্তু সবচেয়ে ভালো উপায় হল ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট এর দ্বারা ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পেয়ে থাকেন ।

কারন এটা বিশ্বাসযোগ্য বর্তমান সময়ে অনেক ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট উপলব্ধ আছে সেখানে থেকে আপনি প্লান এর কাজ করতে পারেন তার মধ্যে কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম হল।

freelancer,upwork,toptal,fiverr,peoleperhour,project4hire,99designs ইত্যাদি ঘরে বসে কাজ করার জন্য এই সাইট গুলো দারুন কিন্তু এর কাজে সফলতা পেতে গেলে সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?

আমরা আগে আলোচনা করি সে যে ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি দক্ষতা ভিত্তিক বা স্কেল কাজ যেটাতে একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের ট্যালেন্ট বা দক্ষতা থেকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করে এমনকি কাজ আছে ।যেটা আপনি খুব ভালোভাবে করতে পারেন।

নিজের দক্ষতাকে খুঁজে পাবার পর ওটার উপর আপনি ধারাবাহিকভাবে কাজ করুন এবং আপনার দক্ষতাকে আরো উন্নত করুন।যেমন ধরুন আপনি কনটেন্ট রাইটার বা আপনি কোন বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে পারেন তাহলে আপনি ফেনশার ক্যারিয়ার এ ভালো একটা পরিচিতি তৈরি করতে পারবেন।

অতএব আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্ল্যানসিং কারিয়ার লাগাতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য আপনি চাইলে গুগল বা ইউটিউব ফেসবুক দেখে দেখে শিখতে পারেন।

আবার দেশে-বিদেশে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স আছে সেখান থেকেও শিখতে পারেন বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখানোর মধ্যে দুঃখ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে আসছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা

আয়ের অনিয়মিতা

আপনি যদি ফিনান্সের হন তবে আপনি প্রতি মাসে অর্থ উপার্জন করবেন এমন কোন গ্যারান্টি নেই।

সুবিধার অভাব

কোম্পানির কর্মীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পায় ফ্রিল্যান্সাররা সেরকম সুবিধা পায় না।

দীর্ঘ সময় কাজ

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনাকে সম্ভবত বাড়ির বেশি সময় কাজ করতে হয় উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি লিখছেন তাহলে আপনার সম্ভবত জেগে থাকতে হবে এবং রাত পর্যন্ত কাজ করতে হবে।

ঝুকি

আপনি যদি কাজ না পান বা আপনার কাজ যথেষ্ট ভালো হয় না আপনার নিয়মিত কাজ নাও থাকতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখা কতটা কঠিন?

ফিন্যান্সিং শিখা মুঠো কঠিন কিছু না একটু মনোযোগ দিলেই শিখতে পারেন তবে মার্কেটপ্লেস এ কাজ পাওয়া অনেক কঠিন সময় সাপেক্ষ এটাও সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় যারা একটু রিসার্চ করে প্রোফাইলে সাজাতে পারে তাদের কাজ পেতে খুব বেশি সময় লাগে না ধৈর্য সহকারে থাকলে অবশ্যই ভালো করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন কি?

একটি ওয়েবসাইটের নকশা ডিজাইন করা ওয়েব ডিজাইন ইন্টারনেট বাজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী সামনে যেকোনো ওয়েবসাইট এর ডিজাইন পেজেন্ট করা হলো সাইটের ওয়েব ডিজাইন কাজ করে নিতে হয় একটি ওয়েব সাইটের বাইরে রূপ দেখতে কেমন হবে তা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ঠিক না করে।

আরো পড়ুন:ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ২০২৪? কি হতে চলছে বিস্তারিত জানুন(৫ মিনিটে)

ওয়েব ডিজাইনার ফলে তাকে ডিজাইন করতে।পাড়ার দক্ষতা থাকতে হয় নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা ইনকাম জেনারেট করতে চাচ্ছে একজন ওয়েব ডিজাইন তাদের ওয়েব ডিজাইনিং এর অর্ডার নিয়ে কাজ করে থাকে বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি প্রচুর চাহিদা পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনার চাহিদা বলে।

আমি মনে করি ওয়েবসাইটগুলো দেখতে ভিন্নতার ব্যাপারটি সৃষ্টি করার এই কাজটিতে অনেকেই অদক্ষ যার ফলে মার্কেটপ্লেস তো নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি দেশীয় ওয়েবসাইট ডিজাইন দের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অনেক গ্রাহকরা।

ওয়েব ডিজাইন মানে হচ্ছে ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে বা এর সাধারণ রূপ কেমন হবে নির্ধারণ করা। ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে আপনার কাজ হবে একটা পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট বানানো। যেমন ধরুন এটার লেআউট কেমন হবে। হেডার কোথায় মেনু থাকবে।

সাইডবারে কি থাকবে । ইমেজ গুলো কিভাবে প্রদর্শন করবে ইত্যাদি। এক কথায় কোথায় কোথায় কি থাকবে সেটা নির্ধারণ করা।

ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটের তথ্য কি হবে এবং কোথায় জমা থাকবে এগুলো চিন্তা না করে, তথ্যগুলো কিভাবে দেখানো হবে সেটা নির্ধারণ করা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ ডিজাইন নির্ধারণ করতে ব্যবহার করতে হবে কিছু প্রোগ্রামিং এইচ টি এম এল ল্যাঙ্গুয়েজএবং মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url