৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ কে কোন সেক্টরে ছিলেন জেনে নিন।
আমার ফেসবুকের এক বন্ধুর ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে। অর ইচ্ছা ছিল এটা যেন মানুষ জানে। আমার তাই মনে হল। কারণ আমরা লেলিন- হিটলার-মুসোলিনির ইতিহাস জানলেও যারা আমাদের দেশের বীর সন্তান, যাদের কারনে আমরা ১৬ই ডিসেম্বরে মুক্তির আস্বাদ গ্রহন করছি, তাদের ইতিহাস জানা একান্ত কর্তব্য।
আশা করি আপ্নারা পোষ্টটি পড়ে ইতিহাস ছড়িয়ে দেবেন। আমরা চাই না, দেশে এমন কোন লোক থাকুক যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও এদেশের বীর সন্তানদের ইতিহাস জানবে না। ধন্যবাদ।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য প্রদত্ত সর্বোচ্চ সামরিক পদক হল বীরশ্রেষ্ঠ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই পদক দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।
তারা হলেন:
- বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান (সিপাহী)
- বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল (সিপাহী)
- বীরশ্রেষ্ঠ নুর মুহাম্মদ শেখ (সিপাহী)
- বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির (ক্যাপ্টেন)
- বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ (ল্যান্স নায়েক)
- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন (স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার)
- বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান (ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট)
বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে হামিদুর রহমান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ, মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। রুহুল আমিন ছিলেন সর্বোচ্চ পদবীধারী, তিনি ছিলেন একজন স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার।
বীরশ্রেষ্ঠরা সবাই অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপন করেছিলেন। তাদের বীরত্বের জন্যই আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও পরিচয়
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান
পদবী: সিপাহী
জন্মস্থান: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার খোর্দ খালিশপুর গ্রাম
জন্মতারিখ: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩
শহীদ হওয়ার তারিখ: ২৯ জুন, ১৯৭১
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
পদবী: সিপাহী
জন্মস্থান: ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রাম
জন্মতারিখ: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭
শহীদ হওয়ার তারিখ: ২২ জুলাই, ১৯৭১
আরো পড়ুন:মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট আসলে কি খোলা যায়? জানতে ক্লিক করুন।
বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ শেখ
পদবী: সিপাহী
জন্মস্থান: নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রাম
জন্মতারিখ: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৩ আগস্ট, ১৯৭১
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির
পদবী: ক্যাপ্টেন
জন্মস্থান: বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রাম
জন্মতারিখ: ১৯৪৮
শহীদ হওয়ার তারিখ: ৩ আগস্ট, ১৯৭১
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ
পদবী: ল্যান্স নায়েক
জন্মস্থান: ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার সালামতপুর গ্রাম
জন্মতারিখ: ১ মে, ১৯৪৩
শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৮ আগস্ট, ১৯৭১
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন
পদবী: স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার
জন্মস্থান: নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বাগপাদুরা গ্রাম
জন্মতারিখ: ১৯৩৪
শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান
পদবী: ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট
জন্মস্থান: ঢাকা জেলার ময়মনসিংহ রোডের টিকাটুলী এলাকা
জন্মতারিখ: ১৯ জুলাই, ১৯৪৮
শহীদ হওয়ার তারিখ: ২২ আগস্ট, ১৯৭১
আরো পড়ুন:নিউ জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন নিমিষের মধ্যে।আসুন জানি।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ছিলেন একজন পেশাদার সেনাসদস্য। তিনি ১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শহীদ হন।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার কৌশল
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার জন্য অনেক কৌশল রয়েছে। এখানে কয়েকটি কৌশল দেওয়া হল:
ছন্দ বা কবিতা: ছন্দ বা কবিতা ব্যবহার করে নামগুলো মনে রাখা সহজ হয়। যেমন,
সাত হাজার মোম আনো সাত জন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, মোস্তফা কামাল, নুর মোহাম্মদ শেখ, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির, মুন্সি আব্দুর রউফ, রুহুল আমিন, মতিউর রহমান।
সংক্ষিপ্ত নাম: নামগুলোর প্রথম অক্ষর ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত নাম তৈরি করা যেতে পারে। যেমন,
**হামিদুর রহমান = হার** **মোস্তফা কামাল = মোক** **নুর মোহাম্মদ শেখ = নম** **মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির = মজ** **মুন্সি আব্দুর রউফ = মআ** **রুহুল আমিন = রআ** **মতিউর রহমান = মত**
অন্য কোনও স্মরণীয় বিষয়ের সাথে মিলিয়ে নেওয়া: যেমন,
হামিদুর রহমান = হিমবাহ মোস্তফা কামাল = মোমের কাঠি নুর মোহাম্মদ শেখ = নদীর মোহনা মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির = জাহাজের মাস্টার মুন্সি আব্দুর রউফ = রুফের উপরে দাঁড়ানো লোক রুহুল আমিন = আয়না মতিউর রহমান = মধু
এছাড়াও, বারবার নামগুলো পড়া, লিখা বা অন্যদের সাথে বলার মাধ্যমেও নামগুলো মনে রাখা যায়।
নিজের জন্য কোন কৌশলটি সবচেয়ে ভালো হবে তা পরীক্ষা করে দেখুন।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ কে কোন সেক্টরে ছিলেন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ কে কোন সেক্টরে ছিলেন তা নিম্নরূপ:
বীরশ্রেষ্ঠ | পদবী | জন্মস্থান | সেক্টর |
---|---|---|---|
হামিদুর রহমান | সিপাহী | ঝিনাইদহ জেলা | ২ |
মোস্তফা কামাল | সিপাহী | ভোলা জেলা | ২ |
নুর মোহাম্মদ শেখ | সিপাহী | নড়াইল জেলা | ৮ |
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির | ক্যাপ্টেন | বরিশাল জেলা | ৩ |
মুন্সি আব্দুর রউফ | ল্যান্স নায়েক | ফরিদপুর জেলা | ৮ |
রুহুল আমিন | স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার | নোয়াখালী জেলা | ১০ |
মতিউর রহমান | ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট | ঢাকা জেলা | ৯ |
উল্লেখ্য:
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও মোস্তফা কামাল ছিলেন ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে।
বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে।
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে।
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ ও রুহুল আমিন ছিলেন ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ছিলেন ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও জন্মস্থান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও জন্মস্থান নিম্নরূপ:
বীরশ্রেষ্ঠ | পদবী | জন্মস্থান |
---|---|---|
হামিদুর রহমান | সিপাহী | ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার খোর্দ খালিশপুর গ্রাম |
মোস্তফা কামাল | সিপাহী | ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রাম |
নুর মোহাম্মদ শেখ | সিপাহী | নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রাম |
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির | ক্যাপ্টেন | বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রাম |
মুন্সি আব্দুর রউফ | ল্যান্স নায়েক | ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার সালামতপুর গ্রাম |
রুহুল আমিন | স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার | নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বাগপাদুরা গ্রাম |
মতিউর রহমান | ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট | ঢাকা জেলার ময়মনসিংহ রোডের টিকাটুলী এলাকা |
উল্লেখ্য:
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ, মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। রুহুল আমিন ছিলেন সর্বোচ্চ পদবীধারী, তিনি ছিলেন একজন স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার।
বীরশ্রেষ্ঠরা সবাই অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপন করেছিলেন। তাদের বীরত্বের জন্যই আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url