বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ জেনে রাখুন

অনেক বাবা-মা প্রায়ই উদ্বিগ্ন থাকেন যে, তাঁদের বাচ্চার সঠিক ঘুম হয় না। তারা মাঝরাতে জেগে ওঠে এবং উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকে। এমনকি আতঙ্কে কাঁপতেও থাকে। কখনও কখনও, এই ভয় এত প্রবল হয় যে তারা রাতে ঘুমাতেও ভয় পায় । এই অবস্থাকে আসলে ঘুমের ভীতি (Sleep Terror) বলা হয়।

বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ জেনে রাখুন (২ মিনিটে)।

মাত্র চোখটা বুজে এসেছে। আচমকাই একটা ঝাঁকুনি! মনে হচ্ছে কোথাও পড়ে যাচ্ছিলেন। এটা শুধু আপনার সমস্যা নয়, শরীরের ঝাঁকুনির এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ। ঘুমের মধ্যে এমন ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’ বলা হয়।

ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ

আরো পড়ুন:গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায় জানুন

  • অনিদ্রা
  • অনিয়মিত ঘুমের রুটিন
  • ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ
  • কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থা, যেমন রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম, বহুমুখী নিউরোপ্যাথি, অ্যাডিসন ডিজিজ ইত্যাদি

হিপনিক জার্ক সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। তবে, এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

  • নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করা
  • ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ এড়ানো
কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে কথা বলা

যদি হিপনিক জার্কের সাথে অন্যান্য শারীরিক লক্ষণ, যেমন শরীরে টান, স্বপ্নের মধ্যে হাঁটা, স্বপ্নের মধ্যে কথা বলা ইত্যাদি দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ

  • অনিদ্রা
  • অনিয়মিত ঘুমের রুটিন
  • ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ
  • কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থা, যেমন রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম, বহুমুখী নিউরোপ্যাথি, অ্যাডিসন ডিজিজ ইত্যাদি

আরো পড়ুন:পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

শিশুদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। তবে, এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

শিশুদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনির চিকিৎসার জন্য সাধারণত কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি হিপনিক জার্ক ঘন ঘন বা তীব্র হয়, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
  • মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমানো
  • নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করা
  • ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ এড়ানো
  • কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে কথা বলা
যদি হিপনিক জার্কের সাথে অন্যান্য শারীরিক লক্ষণ, যেমন শরীরে টান, স্বপ্নের মধ্যে হাঁটা, স্বপ্নের মধ্যে কথা বলা ইত্যাদি দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
  • শিশুদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনির কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ হল:
  • শিশু হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠে।
  • শিশুর শরীরের কোনো অংশ, যেমন হাত, পা, মাথা, বা শরীরের পুরোটা ঝাঁকুনি দেয়।
  • শিশুর মুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন হয়, যেমন ভয়, বিস্ময়, বা আতঙ্ক।
  • শিশুর হৃৎস্পন্দন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়।
শিশুর ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি যদি নিয়মিত হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।

বাচ্চা ঘুমের মধ্যে চমকে উঠে কেন

বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে চমকে ওঠার অনেক কারণ রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল হিপনিক জার্ক। এটি একটি সাধারণ ঘটনা যা প্রায় ৭০% শিশুকে তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে হয়। হিপনিক জার্ক সাধারণত ঘুমাতে যাওয়ার সময় বা ঘুম থেকে ওঠার সময় ঘটে। এটি দ্রুত হৃৎস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, ঘাম এবং কখনও কখনও "শক" বা শূন্যে পড়ে যাওয়ার মতো এক অদ্ভুত সংবেদনশীল অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।

আরো পড়ুন:হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের পার্থক্য জেনে নিন

হিপনিক জার্কের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ
অনিদ্রা
  • অনিয়মিত ঘুমের রুটিন
  • ক্যাফিন বা অ্যালকোহল গ্রহণ
  • কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
**কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থা, যেমন রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম, বহুমুখী নিউরোপ্যাথি, অ্যাডিসন ডিজিজ ইত্যাদি

হিপনিক জার্ক সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। তবে, এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

যদি আপনার সন্তানের ঘুমের মধ্যে চমকে ওঠার সমস্যা হয়, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে পারেন:
  • আপনার সন্তানের ঘুমের পরিবেশ নিশ্চিত করুন যে এটি শান্ত এবং শান্ত।
  • আপনার সন্তানের ঘুমের রুটিন নিয়মিত রাখুন।
  • আপনার সন্তাকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্যাফিন বা অ্যালকোহল দেওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার সন্তানের যেকোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

যদি আপনার সন্তানের ঘুমের মধ্যে চমকে ওঠার সমস্যা নিয়মিত হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।

বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে হাসে কেন ইসলাম কি বলে

শিশুরা ঘুমের মধ্যে হাসে কেন তার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল হিপনিক জার্ক। হিপনিক জার্ক হল ঘুমের একটি সাধারণ ঘটনা যা প্রায় ৭০% মানুষকে তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে হয়। হিপনিক জার্ক সাধারণত ঘুমাতে যাওয়ার সময় বা ঘুম থেকে ওঠার সময় ঘটে। এটি দ্রুত হৃৎস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, ঘাম এবং কখনও কখনও "শক" বা শূন্যে পড়ে যাওয়ার মতো এক অদ্ভুত সংবেদনশীল অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।

আরো পড়ুন:ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান করুন

ইসলামে বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে হাসাকে একটি সুসংবাদ হিসেবে দেখা হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, "শিশু যখন ঘুমের মধ্যে হাসে, তখন তার জন্য জান্নাত থেকে একটি হাসি আসে।" (তিরমিজি)

ইসলামিক বিশ্বাস অনুসারে, শিশুরা ঘুমের মধ্যে হাসে কারণ তারা জান্নাতের সুখ এবং আনন্দের স্বাদ পায়। জান্নাত হল আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য প্রস্তুত করা একটি সুন্দর এবং সুখের স্থান। জান্নাতে মানুষকে সব ধরনের সুখ এবং আনন্দ দেওয়া হবে।

এক হাদিসে বলা হয়েছে, "শিশু যখন ঘুমের মধ্যে হাসে, তখন তার জন্য জান্নাত থেকে একটি ফুল আসে।" (মুসলিম)

অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, "শিশু যখন ঘুমের মধ্যে হাসে, তখন তার জন্য জান্নাত থেকে একটি সুগন্ধি আসে।" (আবু দাউদ)

সুতরাং, যখন আপনি আপনার সন্তানকে ঘুমের মধ্যে হাসতে দেখেন, তখন মনে রাখবেন যে সে জান্নাতের সুখ এবং আনন্দের স্বাদ পাচ্ছে।

বাচ্চা রাতে ঘুমের মধ্যে কান্না করে কেন

বাচ্চা রাতে ঘুমের মধ্যে কান্না করতে পারে বিভিন্ন কারণে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
শারীরিক কারণ:
  • ক্ষুধা
  • তৃষ্ণা
  • ঠান্ডা বা গরম লাগা
  • ব্যথা
  • অসুস্থতা
  • পেট খারাপ
  • কৃমি
  • ঘুমের ব্যাঘাত
মানসিক কারণ:
  • দুঃস্বপ্ন
  • অস্বস্তি
  • উদ্বেগ
  • মানসিক চাপ

আরো পড়ুন:অ্যালোভেরা জেল সংরক্ষণের উপায় জেনে নিন মাত্র

যদি শারীরিক কোনো কারণ না থাকে, তাহলে মানসিক কারণের দিকে খেয়াল দেওয়া উচিত। বাচ্চারা ভয়, দুঃস্বপ্ন, অস্বস্তি, উদ্বেগ বা মানসিক চাপের কারণেও ঘুমের মধ্যে কান্না করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের উচিত বাচ্চাকে শান্ত করা এবং তার ভয় বা উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করা।

বাচ্চা ঘুমের মধ্যে কান্না করলে কিছু জিনিস করা যেতে পারে:
  • বাচ্চাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যান। অনেক বাচ্চাকে মায়ের কাছে নিলে শান্ত লাগে।
  • বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে খাওয়ান বা খেতে দিন। অনেক বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে খাওয়া বা খেতে দেওয়ার পর শান্ত লাগে।
  • বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে একটি খেলনা বা নরম জিনিস দিন। অনেক বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে একটি খেলনা বা নরম জিনিস নিয়ে ঘুমাতে ভালো লাগে।
বাচ্চা যদি নিয়মিত ঘুমের মধ্যে কান্না করে, তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url