ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারের লক্ষন
এছাড়াও কম্পিউটার স্লো কাজ করা, ওপেন বা অফ হতে দেরি করা, ইন্টারনেট স্পিড স্লো কাজ করা, হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার এর কোনো ত্রুটি দেখানো ইত্যাদি। উপরিউক্ত লক্ষণগুলোর মধ্যে যদি কোনো একটি লক্ষণ আপনার কম্পিউটারে দেখা যায়, তাহলে ভেবে নিতে পারেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
কম্পিউটারের ভাষা কি
কম্পিউটারের ভাষা হলো মেশিন ভাষা অথবা মেশিন কোড। মেশিন ভাষা হলো এমন একটি ভাষা যা কম্পিউটার বুঝতে পারে এবং সম্পাদন করতে পারে। মূলত, মেশিন ভাষা বুঝতে কম্পিউটারের বোর্ডে লেখা কোড, স্টেটমেন্ট, এবং কমান্ড থাকে যা কম্পিউটারের প্রোসেসর বুঝতে পারে এবং ঠিকমতো কাজ করতে পারে।
আরো পড়ুন:কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
এই ভাষাগুলি ভিন্ন হতে পারে যেমন মেশিন ভাষা, এসম্বলি, হাই-লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা (যেমন পাইথন, জাভা, সি++), এবং অন্যান্য। হাই-লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা হলো মানুষের সহজ বোঝা এবং লেখা কোড, যা একটি কনভেনিয়েন্ট স্তরে কম্পিউটারে প্রোগ্রাম রান করতে সাহায্য করে।মেশিন ভাষা বোঝার জন্য একটি ব্যক্তি অবশ্যই কম্পিউটার সায়েন্স এবং প্রোগ্রামিং জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোনটি
কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ একটি একক উল্লেখযোগ্য অংশের প্রতি কথা করা কঠিন হতে পারে, কারণ এটি ব্যক্তির প্রয়োজন এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। তবে, কিছু মৌলিক অংশ ও কার্যকলাপ রয়েছে যা কম্পিউটার প্রয়োজনীয়ভাবে কাজ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
আরো পড়ুন:পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার বিস্তারিত জানাবেন।
- প্রোসেসর (Processor): এটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক, যা কোড এবং তথ্য প্রস্তুত এবং প্রস্তুত করে। প্রোসেসর হিসেবে পরিচিত একটি মৌলিক কম্পোনেন্ট, যা কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে একটি।
- মেমোরি (Memory): কম্পিউটারে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যেটি প্রোসেসরের জন্য কোড এবং ডেটা সংরক্ষণ করে রাখে। র্যাম (RAM) এবং স্টোরেজ (হার্ড ডিস্ক, এসএসডি) কম্পিউটারের মেমোরির দুই প্রধান ধরণ।
- স্টোরেজ (Storage): এটি কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হোল্ডিং স্থান, যেটি ট্রানজিশনাল ডেটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় না এবং ধীরে ধীরে সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
- ইনপুট ডিভাইস এবং আউটপুট ডিভাইস: ইনপুট ডিভাইস যেমন কীবোর্ড এবং মাউস কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করার জন্য এবং আউটপুট ডিভাইস যেমন মনিটর কম্পিউটার দ্বারা তথ্য প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- অপারেটিং সিস্টেম (Operating System): এটি কম্পিউটারের সকল কার্য নির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রণ করে, যেটি ব্যবহারকারীর এবং অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারের সাথে সম্পর্কিত।
এই অংশগুলি সমন্বয় করে কম্পিউটার একটি পূর্ণসংগ্রহভুক্ত এবং কার্যকর কাজকর্ম সম্পাদন করতে সাহায্য করে।
কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস গুলো কি কি?
কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস অনেক ধরণের থাকতে পারে, যা ব্যবহারকারীর সাথে কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ এবং প্রসার করতে সাহায্য করে। কিছু প্রমুখ ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস হলো:
- ইনপুট ডিভাইস:কীবোর্ড (Keyboard): ব্যবহারকারী কম্পিউটারে টাইপ করতে কীবোর্ড ব্যবহার করে।
- মাউস (Mouse): মাউস ব্যবহার করে ব্যবহারকারী কম্পিউটারে কার্সর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং ক্লিক করতে পারে।
- টাচস্ক্রীন (Touchscreen): একটি স্ক্রীন যা স্পর্শের মাধ্যমে কার্সর নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কমান্ড দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- স্ক্যানার (Scanner): চিত্র, প্রস্তুত দস্তাবেজ, ছবি ইত্যাদি স্ক্যান করতে ব্যবহার করা হয়।
- ওয়েবক্যাম (Webcam): ভিডিও কমিউনিকেশন, ভিডিও কনফারেন্সিং, ছবি তোলা ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়।
- আউটপুট ডিভাইস:মনিটর (Monitor): কম্পিউটারের তথ্য এবং প্রস্তুতি দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- প্রিন্টার (Printer): কম্পিউটারের থেকে তথ্য বা ছবি মুদ্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
- সাউন্ড সিস্টেম (Sound System): কম্পিউটার থেকে শব্দ প্রসারিত করতে এবং শব্দ শোনার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন স্পিকার এবং হেডফোন।
- ডিস্ক ড্রাইভ (Disk Drive): তথ্য সংরক্ষণ করা হয় এবং পড়া, লেখা অথবা অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা হয় এই ডিভাইসে।
এই হিসেবে আরও অনেক ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস থাকতে পারে যা বিভিন্ন ধরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটারের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য কোন কোন বিষয়ের প্রতি নজর রাখতে হবে।
কম্পিউটারের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য কিছু মৌলিক প্রস্তাবনা রয়েছে, যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন:
- আপডেট অপারেটিং সিস্টেম এবং সফ্টওয়্যার: আপডেট সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে সবসময় নতুনতম সুরক্ষা আপডেট প্রাপ্ত করুন।
- ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার প্রোটেকশন: একটি ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার প্রোটেকশন সফটওয়্যার ইনস্টল করুন এবং সবসময় তাদের আপডেট রাখুন।
- অফলাইন ডেটা ব্যাকআপ: গুজব অথবা ডেটা হারাতে পারতে কম্পিউটারের মূল ডেটা অফলাইনে ব্যাকআপ নিন।
- সক্ষম ফায়ারওয়াল: একটি সক্ষম ফায়ারওয়াল এবং ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন যাতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে কম্পিউটার রক্ষা পায়।
- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড: পাসওয়ার্ড শক্তিশালী এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য বিশেষ এবং ইনভেন্টিভ হোক।
- এক্সটার্নাল স্টোরেজ এবং ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার: এক্সটার্নাল হার্ড ডিস্ক বা ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে অগ্রিম ডেটা সংরক্ষণ করুন।
- জ্ঞানকে বাড়ানো: ইন্টারনেট সিকিউরিটি এবং কম্পিউটার নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ানো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন:ফ্রী ফায়ার আইডি হ্যাক করার জন্য কি কি প্রয়োজন
এই মৌলিক সুরক্ষা কম্পিউটার নিরাপত্তা সম্পর্কে মাত্র কিছু ধারণা।
৫ম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
"৫ম প্রজন্মের কম্পিউটার" একটি বিশেষ টার্ম হিসেবে বোঝানো যায় না, কারণ এটি আমার জ্ঞানে এখন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়নি। কম্পিউটার প্রযুক্তি নিম্নলিখিত সোমোয়ারের বৈশিষ্ট্যের দিকে এগিয়েছে:
- কম্পিউটিং শক্তির উন্নত স্তর: প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে কম্পিউটারের ক্ষমতা বাড়ছে, যা পূর্বের প্রজন্মের কম্পিউটারের সাথে তুলনা করে অনেক বেশি।
- কম্পিউটিং ডিভাইস এবং সংযোগের মৌলিক উন্নতি: আধুনিক কম্পিউটিং ডিভাইস সমৃদ্ধি হয়েছে এবং তাদের সংযোগের মাধ্যমে আমরা এখন বিশ্বব্যাপী কার্যক্ষম। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ইণ্টারনেট অব থিংস (IoT) ডিভাইসের মধ্যে আছে।
- বৃহত্তর ডেটা স্টোরেজ এবং প্রক্রিয়াশক্তি: সমৃদ্ধি হয়েছে ডেটা স্টোরেজ এবং প্রক্রিয়াশক্তির দিকে, যা বিশেষভাবে পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে।
- সমৃদ্ধিত কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক: উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে মানবজাতি পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে তথ্য অংশ করতে পারছে।
- কার্যকরী ব্যবহারকারী ইন্টারফেস: ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের দিকে অনেক উন্নতি হয়েছে, যা কম্পিউটারের ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং কার্যকরী হয়েছে।
এই পৌরাণিক উন্নতিগুলি কম্পিউটার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি নতুন প্রজন্মের উন্নতি ও বৈশিষ্ট্য দেখাচ্ছে।
ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারের লক্ষন
কোনও কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া হলে তার লক্ষণগুলি ভিন্ন হতে পারে এবং সব সময় একই নয়। তবে, কিছু সাধারিত লক্ষণ আছে যা ভাইরাস আক্রমণের কারণে কম্পিউটারে দেখা যায়:
- কম্পিউটার এক্রটিভ: কম্পিউটার অস্বাভাবিকভাবে এক্রটিভ হতে থাকে, যেটি ব্যবহারকারীর কমান্ড অনুকরণ করতে অক্ষম।
- স্লো অপারেশন: কম্পিউটার অস্বাভাবিকভাবে স্লো হয়ে যায়, অ্যাপ্লিকেশন ওপেন হতে বা কাজ সম্পাদন করতে সময় নেতে শুরু করে।
- অস্বাভাবিক নেটওয়ার্ক ট্রাফিক: কম্পিউটারে অস্বাভাবিক নেটওয়ার্ক ট্রাফিক দেখা যায়, এমনকি ইন্টারনেট থেকে অনুমোদিত না কোন ডাটা প্রেরণ হতে পারে।
- ফাইল মিলানোর সময় বা আকারে পরিবর্তন: ভাইরাস অস্বাভাবিকভাবে ফাইল বা ফোল্ডারের নাম, আকার বা সংরক্ষণের সময়ে পরিবর্তন করতে পারে।
- সিস্টেম হ্যাঙ্গ অথবা ক্র্যাশ: কম্পিউটার সব সময় হ্যাঙ্গ অথবা ক্র্যাশ করতে পারে, যা অস্বাভাবিক ভাইরাস আক্রমণের একটি সাধারিত লক্ষণ।
- অস্বাভাবিক প্রোগ্রাম বা প্রসেস চালনা: কম্পিউটারে অস্বাভাবিক প্রোগ্রাম বা প্রসেস চালনা হতে পারে যা ভাইরাসের একটি সৃষ্টি হতে পারে।
- অস্বাভাবিক সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার: কম্পিউটার অস্বাভাবিকভাবে বেশি সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করতে থাকতে পারে, যা সাধারিত কাজের জন্য প্রয়োজন হয় না।
এই সমস্ত লক্ষণগুলি কোন একটি কম্পিউটার ভাইরাস আক্রমণের জন্য প্রযোজ্য নয় এবং অন্যান্য সমস্যার জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে, তাই একটি ভাইরাস আক্রমণের আগে সবসময় একটি ভাইরাস স্ক্যানার বা সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url