কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালিজিরা বেশ উপকারী। কালিজিরা একটা দারুণ ঘরোয়া ওষুধ। দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলকুচ করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে স্বস্তি এনে দেবে। জিহ্বা, টাকরা বা মাড়িতে থাকা খাদ্যের জীবাণু সহজেই মরে যায়

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা



এছাড়াও কালোজিরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে ৷ নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা কী ? জেনে নিন ৷

টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়

টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে আপনার শরীরে সম্ভাব্য কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

আরো পড়ুন:পাকা কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

ইতিবাচক প্রভাব:
  • হজম উন্নত: কালোজিরা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: কালোজিরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে: কালোজিরাতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী: কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী।
নেতিবাচক প্রভাব:
  • অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: কালোজিরা কিছু লোকের মধ্যে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
  • গ্যাস ও পেট ফাঁপা: কালোজিরা কিছু লোকের মধ্যে গ্যাস ও পেট ফাঁপা সৃষ্টি করতে পারে।
কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন ১-২ চা চামচ কালোজিরা খাওয়া নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে, আপনার শারীরিক অবস্থা ও অন্যান্য ঔষধের উপর নির্ভর করে কালোজিরা সেবনের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।

কালোজিরা সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
  • আপনার যদি কোনও অ্যালার্জি থাকে
  • আপনি যদি গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়ে হন
  • আপনি যদি অন্য কোনও ঔষধ সেবন করেন

মনে রাখবেন:
 
কালোজিরা কোনও ঔষধের বিকল্প নয়।
কালোজিরা সেবনের সাথে সাথে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

উল্লেখ্য:

এই তথ্য কেবলমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা:

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: কালোজিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা নাইজেলিন নামক উপাদান রক্তনালী প্রসারিত করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন:খালি পেটে টক দই খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সম্পকে বিস্তারিত জানুন।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: কালোজিরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে: কালোজিরাতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি মাথাব্যথা, গিলেফোঁড়া, জয়েন্টের ব্যথা, এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • কালোজিরা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • কালোজিরা শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে।
  • কালোজিরা লিভারের জন্য উপকারী।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপায়:
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চা চামচ কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • আপনি মধুর সাথে মিশিয়ে কালোজিরা খেতে পারেন।
  • আপনি দই বা অন্যান্য খাবারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন।সতর্কতা:
  • যাদের কোনও অ্যালার্জি আছে তাদের কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়া পেট

সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

পরিমাণ:
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চা চামচ কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • আপনি মধুর সাথে মিশিয়ে কালোজিরা খেতে পারেন।
  • আপনি দই বা অন্যান্য খাবারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন।
কিভাবে খাবেন:
  • কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এতে কালোজিরার পুষ্টিগুণ শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়।
  • আপনি যদি কালোজিরা চিবিয়ে খেতে না পারেন, তাহলে আপনি এটিকে গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • কালোজিরা তেলও খেতে পারেন। তবে, তেলের পরিমাণ কম হতে হবে।
কখন খাবেন:
  • সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এতে কালোজিরার পুষ্টিগুণ শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়।
  • আপনি যদি সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেতে না পারেন, তাহলে আপনি এটিকে দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের আগে খেতে পারেন।
কতদিন খাবেন:
  • কালোজিরা নিয়মিত খেলে এর সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যায়।
  • আপনি দীর্ঘ সময় ধরে কালোজিরা খেতে পারেন।
কিছু টিপস:
  • কালোজিরা খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • কালোজিরা খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হালকা হাঁটাচলা করুন।
  • কালোজিরা খাওয়ার পর অন্তত এক ঘন্টা ধরে কিছু খাবেন না।
সতর্কতা:
  • যাদের কোনও অ্যালার্জি আছে তাদের কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়া পেট খারাপ, বমি বমি ভাব, এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য:

আরো পড়ুন:সকালে কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পকে জানুন

এই তথ্য কেবলমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url