ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন উপায় জানুন

ভোটার আইডি কার্ডে বিদ্যমান সকল তথ্যের মধ্যে জন্ম তারিখ সংশোধন করা সব থেকে ঝামেলাপূর্ণ এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম কি? এবং কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন দ্রুত হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করবো।

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন উপায় জানুন (৫ মিনিটে)

তাই যাদের ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার প্রয়োজন তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন। তাহলে জন্ম তারিখ সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড চেক করার দুটি উপায় রয়েছে। একটি হল অনলাইনে এবং অন্যটি হল মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।

আরো পড়ুন:কোন সিগারেট বেশি ক্ষতিকর জানুন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

১. বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.nidw.gov.bd) যান। ২. ওয়েবসাইটের হোমপেজে "ভোটার তথ্য" বিভাগে যান। ৩. "ভোটার তথ্য অনুসন্ধান" ক্লিক করুন। ৪. আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID Number) এবং জন্ম তারিখ (Date of Birth) দিন। ৫. "ভোটার তথ্য অনুসন্ধান" ক্লিক করুন।

আপনার তথ্য সঠিক হলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য প্রদর্শিত হবে। এতে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ধর্ম, ঠিকানা, কেন্দ্রের নাম, ভোটার এলাকার নাম, ভোটার নম্বর এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুতকালীন তারিখ উল্লেখ থাকবে।

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

১. আপনার মোবাইলে "ভোটার আইডি চেক" অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। ২. অ্যাপটি খুলুন। ৩. আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID Number) এবং জন্ম তারিখ (Date of Birth) দিন। ৪. "ভোটার তথ্য অনুসন্ধান" ক্লিক করুন।

আপনার তথ্য সঠিক হলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য প্রদর্শিত হবে। এতে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ধর্ম, ঠিকানা, কেন্দ্রের নাম, ভোটার এলাকার নাম, ভোটার নম্বর এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুতকালীন তারিখ উল্লেখ থাকবে।

উল্লেখ্য, আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি যদি স্মার্ট কার্ড হয়, তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের NFC (Near Field Communication) ফিচার ব্যবহার করে আপনার কার্ডটি স্ক্যান করেও আপনার তথ্য চেক করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি

ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি পাওয়া যায় না। কেবলমাত্র বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.nidw.gov.bd) ভোটার তথ্য অনুসন্ধান করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দেখা যায়।

আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি পেতে চান, তাহলে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে "ভোটার তথ্য অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে। আপনার তথ্য সঠিক হলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য প্রদর্শিত হবে। আপনি এই তথ্যটি প্রিন্ট করে নিতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

আরো পড়ুন:মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাইট আসলে কি খোলা যায়? জানতে ক্লিক করুন।

১. আবেদন ফরম পূরণ করুন: প্রথমে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম (Form-2) পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি আপনি আপনার এলাকার উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। ফরমটি পূরণ করার সময় আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন।

২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন: ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে:
 
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি
জন্ম নিবন্ধন সনদ (নাম, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য)
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (নাম, পিতার নাম, মাতার নাম সংশোধনের জন্য)
চাকরির বই/এমপিও/অন্যান্য গ্রহণযোগ্য দলিল (নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা সংশোধনের জন্য)
 
হলফনামা (নাম, ধর্ম, লিঙ্গ সংশোধনের জন্য)

৩. আবেদনপত্র জমা দিন: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর আপনাকে আবেদনপত্রটি আপনার এলাকার উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আপনাকে একটি ফি পরিশোধ করতে হবে।

৪. শুনানি: আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করবেন এবং আপনাকে শুনানির জন্য ডাকবেন। শুনানিতে আপনার আবেদনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে।

৫. সংশোধন: শুনানিতে আপনার আবেদনটি সন্তোষজনক হলে নির্বাচন অফিস আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবে। সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ডটি আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদনপত্রটি অনলাইনেও পূরণ করা যায়। অনলাইনে আবেদন করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.nidw.gov.bd) গিয়ে "ভোটার তথ্য সংশোধন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার ভোটার আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।

আরো পড়ুন:ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?

আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনাকে একটি ফি পরিশোধ করতে হবে। আবেদনপত্রটি পূরণ করার পর আপনাকে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হবে। এই ইউনিক আইডি নম্বর দিয়ে আপনি আপনার আবেদনের অবস্থান ট্র্যাক করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ফি নিম্নরূপ:
নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য: ৫০০ টাকা
ঠিকানা সংশোধনের জন্য: ২৫০ টাকা
ধর্ম, লিঙ্গ সংশোধনের জন্য: ১০০০ টাকা

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদনপত্রটি পূরণ করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন:
আবেদনপত্রটি স্পষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে সংযুক্ত করুন।
আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ না করলে আপনার আবেদনটি বাতিল হতে পারে।

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

১. আবেদন ফরম পূরণ করুন: প্রথমে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম (Form-2) পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি আপনি আপনার এলাকার উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। ফরমটি পূরণ করার সময় আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন।

২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন: ভোটার আইডি কার্ডের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে:
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি
জন্ম নিবন্ধন সনদ
হলফনামা

৩. আবেদনপত্র জমা দিন: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর আপনাকে আবেদনপত্রটি আপনার এলাকার উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আপনাকে একটি ফি পরিশোধ করতে হবে।

৪. শুনানি: আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করবেন এবং আপনাকে শুনানির জন্য ডাকবেন। শুনানিতে আপনার আবেদনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে।

৫. সংশোধন: শুনানিতে আপনার আবেদনটি সন্তোষজনক হলে নির্বাচন অফিস আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করবে। সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ডটি আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য ফি ৫০০ টাকা।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদনপত্রটি অনলাইনেও পূরণ করা যায়। অনলাইনে আবেদন করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.nidw.gov.bd) গিয়ে "ভোটার তথ্য সংশোধন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার ভোটার আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।

আরো পড়ুন:নাম ও জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনাকে একটি ফি পরিশোধ করতে হবে। আবেদনপত্রটি পূরণ করার পর আপনাকে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হবে। এই ইউনিক আইডি নম্বর দিয়ে আপনি আপনার আবেদনের অবস্থান ট্র্যাক করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন:
আবেদনপত্রটি স্পষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে সংযুক্ত করুন।
আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ না করলে আপনার আবেদনটি বাতিল হতে পারে।

জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদই সর্বোচ্চ প্রামাণ্য দলিল। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে, আপনার পিতা বা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ সংযুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বাড়ির মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির বা গির্জার ইমাম, মুহতামিম, পুরোহিত বা যাজকের প্রত্যয়নপত্রও গ্রহণযোগ্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url