রোজা না রাখার শাস্তি হাদিস জেনে নিন।

রমজানের রোজা ফরজ ও ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যেন তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)

রোজা না রাখার শাস্তি হাদিস জেনে নিন।

রোজা না রাখার শাস্তি

আরো পড়ুন:৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ(৩০টি রোজা ৩০টি ফজিলত)।

ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখার শাস্তি:
  • আখেরাতে: আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে জাহান্নামের শাস্তি।
  • দুনিয়াতে:
  • সমাজের কাছে অপমানিত ও নিন্দিত হওয়া।
  • রোজা না রাখার কারণে সৃষ্ট সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া।
  • আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়া।
অজান্তে রোজা ভেঙে ফেলার শাস্তি:
  • কাফফারা: রোজা কাফফারা দিতে হবে। প্রতিটি রোজার জন্য ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়ানো, অথবা প্রতিটি মিসকিনকে এক সের খাদ্য দান করা, অথবা ৬০ দিন রোজা রাখা।
  • পশ্চাত্তাপ: আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখলে

  • সমাজের কাছে অপমানিত ও নিন্দিত হওয়া: সমাজের ধার্মিক মানুষরা ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখা ব্যক্তিকে অপমানিত ও নিন্দিত করবে।
  • রোজা না রাখার কারণে সৃষ্ট সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া: রোজা না রাখার কারণে পরিবার ও সমাজে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
  • আল্লাহ্‌র অসন্তুষ্টি ও রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়া: ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র আদেশ অমান্য করা হয়। এর ফলে আল্লাহ্‌র অসন্তুষ্টি ও রহমত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখলে কোন শাস্তি হবে না:

আরো পড়ুন:মাশাআল্লাহ কখন বলতে হয় জানতে পারেন।

ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখার বিকল্প:
  • কাফফারা: রোজা না রাখার বিকল্প হিসেবে কাফফারা দেওয়া যেতে পারে।
  • সাদকা: রোজা না রাখার জন্য সাদকা দেওয়া যেতে পারে।
রোজা না রাখার ব্যাপারে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

রোজা না রাখার শাস্তি হাদিস

রোজা না রাখার শাস্তি সম্পর্কে হাদিস:

আবু দাউদ ও তিরমিযীর হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের রোজা ভাঙ্গে, তার জন্য আল্লাহ্‌র কাছে কোন বিনিময় নেই, তার রোজার পরিবর্তে অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না।"

মুসলিমের হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের রোজা ভাঙ্গে, তার জন্য আল্লাহ্‌র রহমত থেকে বঞ্চিত থাকা ও জাহান্নামে প্রবেশ করা واجب (বাধ্যতামূলক)।"

উল্লেখ্য যে, এই হাদিসগুলোতে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখার কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

রোজা না রাখার ব্যাপারে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

রোজা না রাখার শাস্তি আল কাউসার

আল কাউসারে রোজা না রাখার শাস্তি সম্পর্কে সরাসরি কোন উল্লেখ নেই।

তবে, আল কাউসার সূরায় রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সূরার ৩য় আয়াতে বলা হয়েছে, "তোমরা তোমার রবের জন্য সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর।"

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় অনেক আলেম বলেছেন যে, "কুরবানী" শব্দটি কেবল পশু কুরবানীর জন্য ব্যবহৃত হয় না, বরং এর অর্থ "ত্যাগ"ও হতে পারে।

এই শাস্তির ধরণ সম্পর্কে আল কাউসারে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি।

আরো পড়ুন:জানাজার নামাজের নিয়ম জেনে রাখুন কাজে আসবে।

তবে, অন্যান্য হাদিস ও আয়াতের ভিত্তিতে বলা যায় যে, ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখা ব্যক্তির জন্য জাহান্নামের শাস্তি হতে পারে।

রোজা না রাখার ব্যাপারে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

রোজা রেখে নখ কাটা যাবে কিনা

হ্যাঁ, রোজা রেখে নখ কাটা যাবে। নখ কাটা রোজার ভঙ্গের কারণ নয়।

রোজার ভঙ্গের কারণগুলো হল:
  • খাওয়া ও পান করা: ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া ও পান করা রোজা ভঙ্গের কারণ।
  • সহবাস: ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করা রোজা ভঙ্গের কারণ।
  • মাসিক ঋতু ও স্তন্যদান: মাসিক ঋতুস্রাবী ও স্তন্যদানকারী নারীদের উপর রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের রোজা ভাঙ্গা:
নখ কাটা এই কারণগুলোর মধ্যে পড়ে না।

তবে, রোজার সময় নখ কাটার সময় কিছু বিষয় সাবধানে মেনে চলা উচিত:
  • নখ কাটার সময় সাবধানে কাটতে হবে যাতে করে রক্ত বের না হয়।
  • নখ কাটার সময় অতিরিক্ত সময় নেওয়া উচিত নয়।
  • নখ কাটার সময় মনোযোগ বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়।

রোজা রেখে চুল কাটা যাবে

হ্যাঁ, রোজা রেখে চুল কাটা যাবে। চুল কাটা রোজার ভঙ্গের কারণ নয়।

রোজার ভঙ্গের কারণগুলো হল:
  • খাওয়া ও পান করা: ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া ও পান করা রোজা ভঙ্গের কারণ।
  • সহবাস: ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করা রোজা ভঙ্গের কারণ।
  • মাসিক ঋতু ও স্তন্যদান: মাসিক ঋতুস্রাবী ও স্তন্যদানকারী নারীদের উপর রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের রোজা ভাঙ্গা:
চুল কাটা এই কারণগুলোর মধ্যে পড়ে না।

তবে, রোজার সময় চুল কাটার সময় কিছু বিষয় সাবধানে মেনে চলা উচিত:
  • চুল কাটার সময় সাবধানে কাটতে হবে যাতে করে রক্ত বের না হয়।
  • চুল কাটার সময় অতিরিক্ত সময় নেওয়া উচিত নয়।
  • চুল কাটার সময় মনোযোগ বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুন:রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া জানুন ।

যদি কেউ রোজার সময় চুল কাটতে না চায়, তাহলে সে রোজার পরে চুল কাটতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url