পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে জেনে নিন।

আমাদের অনেকেরই পিরিয়ড সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান। অনেকেই জানেন না পিরিয়ড হলে কতদিন পর্যন্ত নামাজ-রোজা করা থেকে বিরত থাকতে হয়। ইসলাম এ সম্পর্কে সুষ্টু ও সঠিক ধারণা দিয়েছেন।

পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে জেনে নিন।

পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে

উত্তর:

পিরিয়ডের রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।

আরো পড়ুন:রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কি?বিস্তারিত জানুন।

বিস্তারিত:
  • নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব সাধারণত ৬-৭ দিন স্থায়ী হয়।
  • রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • যদি ১০ দিনের বেশি রক্তপাত থাকে, তাহলে ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।
  • এক্ষেত্রে, অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে না।
  • রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়ের রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা করে নিতে হবে।
মনে রাখার বিষয়:
পিরিয়ডের সময় নামাজ আদায় করা যাবে না।
পিরিয়ডের সময় কোরআন স্পর্শ করা যাবে না।
পিরিয়ডের সময় স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে না।

মাসিকের কতদিন পর রোজা রাখা যায়

উত্তর:

মাসিকের রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।

বিস্তারিত:
  • নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব সাধারণত ৬-৭ দিন স্থায়ী হয়।
  • এই সময়সীমার মধ্যে রক্তপাত থাকলে রোজা রাখা যাবে না।
  • রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • যদি ১০ দিনের বেশি রক্তপাত থাকে, তাহলে ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।
  • এক্ষেত্রে, অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে না।
  • রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়ের রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা করে নিতে হবে।
  • অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি
উত্তর:

অনিয়মিত মাসিক হলেও উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে রোজা রাখা যাবে।

বিস্তারিত:
যদি অনিয়মিত মাসিক ৩ দিনের কম স্থায়ী হয়, তাহলে ৩ দিন পূর্ণ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।
যদি অনিয়মিত মাসিক ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।
যদি অনিয়মিত মাসিক ৩ দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে স্থায়ী হয়, তাহলে রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।

মনে রাখার বিষয়:
অনিয়মিত মাসিকের কারণে রোজা রাখতে অসুবিধা হলে একজন আলেম-উলামার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

আরো পড়ুন:মাশাআল্লাহ কখন বলতে হয় জানতে পারেন।

অতিরিক্ত তথ্য:
মাসিকের সময় নামাজ আদায় করা যাবে না।
মাসিকের সময় কোরআন স্পর্শ করা যাবে না।
মাসিকের সময় স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে না।

দ্রষ্টব্য:

এই তথ্যগুলো সাধারণ ধারণার জন্য। আপনার যদি কোন নির্দিষ্ট

মাসিক অবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি

না, মাসিক অবস্থায় রোজা রাখা যাবে না।

কারণ:
  • মাসিকের সময় নারীদের শরীর থেকে রক্ত বের হয়।
  • ইসলামে রক্তপাত অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
  • সূরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, "তোমাদের ঋতুস্রাবের সময় তোমরা রমজান মাসের রোজা থেকে বিরত থাকো।"
কতদিন পর রোজা রাখা যাবে:
  • মাসিকের রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • সাধারণত মাসিক ৬-৭ দিন স্থায়ী হয়।
  • এই সময়সীমার মধ্যে রক্তপাত থাকলে রোজা রাখা যাবে না।
  • রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • যদি ১০ দিনের বেশি রক্তপাত থাকে, তাহলে ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।
  • এক্ষেত্রে, অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে না।
  • রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়ের রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা করে নিতে হবে।
মনে রাখার বিষয়:
মাসিকের সময় নামাজ আদায় করা যাবে না।
মাসিকের সময় কোরআন স্পর্শ করা যাবে না।
মাসিকের সময় স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে না।

হায়েজ অবস্থায় রোজা

  • ইসলামে রক্তপাত অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
  • সূরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, "তোমাদের ঋতুস্রাবের সময় তোমরা রমজান মাসের রোজা থেকে বিরত থাকো।"
কতদিন পর রোজা রাখা যাবে:
  • হায়েজের রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • সাধারণত হায়েজ ৬-৭ দিন স্থায়ী হয়।
  • হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা ৩ দিন এবং সর্বোচ্চ ১০ দিন।
  • এই সময়সীমার মধ্যে রক্তপাত থাকলে রোজা রাখা যাবে না।
  • রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • যদি ১০ দিনের বেশি রক্তপাত থাকে, তাহলে ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।
  • এক্ষেত্রে, অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে না।
  • রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়ের রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা করে নিতে হবে।
মনে রাখার বিষয়:
হায়েজ অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে না।
হায়েজ অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা যাবে না।
হায়েজ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে না।

আরো পড়ুন:ফরজ গোসল কয়টি ও কি কি জানুন

অতিরিক্ত তথ্য:
এসময় সেহরি-ইফতারেও শরিক হওয়া যাবে।

মেয়েদের মাসিক হলে কি রোজা করা যাবে

না, মেয়েদের মাসিক হলে রোজা করা যাবে না।

কারণ:
  • ইসলামে হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
  • ইসলামে রক্তপাত অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
সূরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে বলা হয়েছে:

"তোমাদের ঋতুস্রাবের সময় তোমরা রমজান মাসের রোজা থেকে বিরত থাকো।"

কতদিন পর রোজা রাখা যাবে:
  • হায়েজের রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • সাধারণত হায়েজ ৬-৭ দিন স্থায়ী হয়।
  • হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা ৩ দিন এবং সর্বোচ্চ ১০ দিন।
  • এই সময়সীমার মধ্যে রক্তপাত থাকলে রোজা রাখা যাবে না।
  • রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হলেই রোজা রাখা যাবে।
  • যদি ১০ দিনের বেশি রক্তপাত থাকে, তাহলে ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর গোসল করে রোজা রাখা যাবে।
  • এক্ষেত্রে, অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে না।
  • রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়ের রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা করে নিতে হবে।
মনে রাখার বিষয়:
হায়েজ অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে না।
হায়েজ অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা যাবে না।
হায়েজ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে না।

আরো পড়ুন:ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ জেনে নিন।

অতিরিক্ত তথ্য:
এসময় সেহরি-ইফতারেও শরিক হওয়া যাবে।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url