মাসিক অবস্থায় মহিলাদের নামাজ রোজার বিধান কি
পিরিয়ডের সময়ে রোজা রাখতে পারেন না নারীরা। অনেক সময় দেখা যায়, এ বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানেন না নারীরা। তবে কাজা রোজাগুলো পরবর্তী সময়ে পালন করতে হয়।
নারীর পিরিয়ডের ঋতুস্রাবের সময়সীমা ছয় বা সাত দিন হয়; কিন্তু মাঝেমধ্যে এ সময়সীমা বৃদ্ধি হয়ে আট, নয়, দশ অথবা এগারো দিনে গড়ায়, তা হলে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে নামাজ আদায় ও রোজা রাখতে পারবেন না।
রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয়
রোজা অবস্থায় মাসিক হলে নিম্নলিখিত করণীয়:
আরো পড়ুন:জানাজার নামাজের নিয়ম জেনে রাখুন কাজে আসবে।
১) রোজা ছেড়ে দেওয়া:
রমজান মাসে রোজারত অবস্থায় নারীদের ঋতুস্রাব শুরু হলে রোজা ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব।
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার সাথে সাথে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং রোজার বাকি অংশ পানাহার করে কাটাতে হবে।
২) গোপনে পানাহার করা:
রোজা ভেঙে পানাহার করার সময় লজ্জা ও সংকোচের কারণে গোপনে পানাহার করা উচিত।
৩) ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর গোসল করা:
ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করা ফরজ।
গোসল করার পর থেকে আবার নামাজ ও রোজা আদায় করা শুরু করা যাবে।
৪) ছুটে যাওয়া রোজা কাজা করা:
ঋতুস্রাবের কারণে যেসব রোজা ছেড়ে দিতে হয়েছে, সেগুলো পরবর্তীতে কাজা করে আদায় করতে হবে।
রমজান মাস শেষ হওয়ার আগে ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করে শেষ করে ফেলা উচিত।
৫) ওষুধ সেবন:
কোনো নারী যদি ওষুধ সেবন করে ঋতুস্রাব সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে চান, তাহলে তিনি তা করতে পারেন।
৬) সতর্কতা অবলম্বন:
ঋতুস্রাবের সময় নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হয়।
৭) অন্যান্য বিষয়:
ঋতুস্রাবের সময় নারীদের নামাজ আদায় করা যায় না।
তবে ঋতুস্রাবের সময় নারীরা দু'আ, তাসবীহ, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি করতে পারেন।
উল্লেখ্য:
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে হলে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উ
হায়েজ অবস্থায় কি কি করা যাবে না
হায়েজ বা ঋতুস্রাবের সময় নারীদের কিছু বিষয় করা যাবে না।
ক) নামাজ আদায়:
হায়েজ অবস্থায় নারীদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
নামাজের জন্য ওজু বা গোসল করা ফরজ, ঋতুস্রাবের সময় রক্তপাতের কারণে ওজু বা গোসল করা সম্ভব নয়।
তবে ঋতুস্রাবের সময় নারীরা দু'আ, তাসবীহ, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি করতে পারেন।
আরো পড়ুন:রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া জানুন ।
খ) রোজা:
হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা যাবে না।
রমজান মাসে হায়েজ হলে রোজা ছেড়ে দিতে হবে এবং ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করে আদায় করতে হবে।
গ) যৌনতা:
হায়েজ অবস্থায় যৌনতা করা হারাম।
ঘ) মসজিদে প্রবেশ:
হায়েজ অবস্থায় নারীদের মসজিদে প্রবেশ করা যাবে না।
মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর এবং পবিত্র স্থান।
ঙ) তাওয়াফ:
হায়েজ অবস্থায় তাওয়াফ করা যাবে না।
তাওয়াফ হলো কাবা ঘরের চারদিকে ঘুরে বেড়ানো।
ঋতুস্রাবের সময় রক্তপাতের কারণে নারীদের তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ।
উল্লেখ্য:
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে হলে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উ
মাসিক হলে কি রোজা রাখা যায়
মাসিক বা হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা যাবে না। ঋতুস্রাবের সময় নারীদের যোনীপথ থেকে রক্ত বের হয়। রোজার অবস্থায় রক্তপাত হলে রোজা ভেঙে যায়।
কিছু কারণ :
ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা: ইসলামে হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
শারীরিক কারণ: ঋতুস্রাবের সময় নারীদের শরীর দুর্বল থাকে। রোজা রাখলে শারীরিক দিক থেকে আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
স্বাস্থ্যগত কারণ: ঋতুস্রাবের সময় রক্তপাতের সাথে শরীর থেকে পুষ্টি উপাদান বেরিয়ে যায়। রোজা রাখলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিছু করণীয়:
রোজা ছেড়ে দেওয়া: হায়েজ শুরু হলে রোজা ছেড়ে দিতে হবে।
পবিত্রতা অর্জন: ঋতুস্রাব শেষে গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।
ছুটে যাওয়া রোজা কাজা করা: রমজান মাস শেষ হওয়ার আগে ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করে আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য:
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে হলে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উ
মাসিক অবস্থায় মহিলাদের নামাজ রোজার বিধান কি
মাসিক অবস্থায় মহিলাদের নামাজ ও রোজার বিধান:
নামাজ:
তবে ঋতুস্রাবের সময় নারীরা দু'আ, তাসবীহ, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি করতে পারেন।
আরো পড়ুন:রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কি?বিস্তারিত জানুন।
রোজা:
হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা যাবে না।
রমজান মাসে হায়েজ হলে রোজা ছেড়ে দিতে হবে এবং ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করে আদায় করতে হবে।
রোজা ভাঙার সময় লজ্জা ও সংকোচের কারণে গোপনে পানাহার করা উচিত।
কিছু করণীয়:
পবিত্রতা অর্জন: ঋতুস্রাব শেষে গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।
নামাজ আদায়: পবিত্র হওয়ার পর থেকে নামাজ আদায় শুরু করতে হবে।
ছুটে যাওয়া রোজা কাজা করা: রমজান মাস শেষ হওয়ার আগে ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করে আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য:
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য।
কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে হলে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
ঋতুস্রাব সম্পর্কিত বিভিন্ন ভুল ধারণা প্রচলিত আছে।
মাসিকের সময় রোজা রাখা যাবে কি
না, মাসিকের সময় রোজা রাখা যাবে না। ইসলামে হায়েজ বা ঋতুস্রাবের সময় রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
কারণ:
ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা: ইসলামী শরী‘আতে হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শারীরিক কারণ: ঋতুস্রাবের সময় নারীদের শরীর দুর্বল থাকে। রোজা রাখলে শারীরিক দিক থেকে আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
স্বাস্থ্যগত কারণ: ঋতুস্রাবের সময় রক্তপাতের সাথে শরীর থেকে পুষ্টি উপাদান বেরিয়ে যায়। রোজা রাখলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিছু করণীয়:
রোজা ছেড়ে দেওয়া: হায়েজ শুরু হলে রোজা ছেড়ে দিতে হবে।
পবিত্রতা অর্জন: ঋতুস্রাব শেষে গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।
ছুটে যাওয়া রোজা কাজা করা: রমজান মাস শেষ হওয়ার আগে ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করে আদায় করতে হবে।
আরো পড়ুন:মাশাআল্লাহ কখন বলতে হয় জানতে পারেন।
উল্লেখ্য:
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য।
কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে হলে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url