ফরজ গোসল কয়টি ও কি কি জানুন

গোসল দৈনিন্দ কাজের অংশ। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য প্রতিদিনই গোসল করতে হয়। আবার হজ-ওমরার ইহরামের আগে এবং জুমার দিন গোসল করা আবশ্যক। তাছাড়া কেউ ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হতে চাইলেও গোসল করতে হয়। হাদিসে পাকে এসব কাজের আগে গোসল করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।ফরজ গোসল কয়টি ?
ফরজ গোসল কয়টি ও কি কি জানুন (২মিনিটে)।

কিন্তু এমন তিনটি কারণ রয়েছে; যেসব অবস্থায় গোসল করা ফরজ। একে ‘ফরজ গোসল’ বলে অভিহিত করা হয়। সেসব অবস্থায় গোসল না করলে পবিত্র হওয়া যায় না। ওই কারণগুলো কী কী? কীভাবে এ গোসল করতে হয়?

ফরজ গোসলের নিয়ম

ইসলামে ফরজ গোসলের নিয়ম অনেকগুলি আছে। এগুলি প্রধানভাবে পাঁচটি হল:

নিয়ত করা গোসলের জন্য একটি পরিষ্কার নিয়ত করা প্রয়োজন। এটি দিয়ে মনে রাখতে হবে যে, এই গোসলটি করা হচ্ছে ইবাদাতের জন্য আল্লাহর রিদও প্রাপ্ত করার জন্য।মুখ, নাক, হাত ধোয়া গোসল শুরু হলে, প্রথমে মুখ, নাক, হাত ধোতে হবে। এটি সাধারিতভাবে উপায়ে ধোয়া যায়।শরীরে পুরাপুরি পানি দেয়া শরীরে পুরাপুরি পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

আরো পড়ুন:শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়?

এটি তিনবার কিংবা আরও বেশি করে হতে পারে।পুরাপুরি শরীর ধোয়া গোসলে পুরাপুরি শরীর ধোতে হবে, আবার যে কোন স্থানে কোন অংশ ছাড়া যাওয়া উচিত নয়।ক্ষুদ্র মুহূর্ত এবং পুরাপুরি শরীরে পানি পৌঁছে দেয়া।

 গোসল শেষ হলে সবচেয়ে শেষে ক্ষুদ্র মুহূর্তে এবং পুরাপুরি শরীরে পানি পৌঁছে দিতে হবে।এছাড়া, গোসলের সময়ে কোন যৌনসঙ্গমে থাকা হোক না এবং এটি পরযন্ত শরীরে জানুনি থাকতে হবে। এই নিয়মগুলি সাধারিতভাবে ইসলামিক শাস্তি পালনের একটি অংশ।

ফরজ গোসলের নিয়ম ও দোয়া

ফরজ গোসলের নিয়ম ইসলামে ফরজ গোসল করার সময়ে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা হয়। এগুলি হলো:

নিয়ত করা গোসল শুরু হওয়ার আগে একটি পরিষ্কার নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে যে এই গোসলটি আল্লাহর রিদও প্রাপ্ত করার জন্য হচ্ছে।

মুখ, নাক, হাত ধোয়া গোসল করার প্রথম ধাপে মুখ, নাক, হাত ধোয়া থাকে। এটি সাধারিতভাবে উপায়ে ধোয়া যায়।পুরাপুরি শরীরে পানি দেয়া পরবর্তীতে, শরীরে পুরাপুরি পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। শরীরে যেকোন জায়গায় পানি ছাড়া যাওয়া উচিত নয়।

বিশেষ স্থানগুলি পুরাপুরি ধোয়া কিছু বিশেষ স্থান, যেমন পা, মাথা, কান, লিঙ্গ, অংশ ইত্যাদি পুরাপুরি ধোতে হবে।বিশেষ ক্ষত্রে পাঁচ মুহূর্ত ধরতে হবে যদি কারো দ্বারা কোনো ক্ষত্রে অবাধ্য কাজ হয়ে থাকে (উদাহরণস্বরূপ, পুরুষ ও মহিলা মিলে যান), তবে পাঁচ মুহূর্ত ধরে গোসল শেষ করতে হবে।

ফরজ গোসলের দোয়া গোসলের সময়ে কিছু দোয়াও পড়া হয়, যা ইসলামিক শাস্তি পালনের জন্য উপযুক্ত। গোসলের দোয়া হলো:

বাংলা অনুবাদ: بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ আল্লাহর নামে, যিস দয়ালু ও মেহেরবান।

এই দোয়া পড়ার পরে, গোসল করতে হবে। এটি গোসলের শুরুতে পড়া হয়, সোয়ায়্য বা ঘুমার সময়ে কামু করার আগে বা যেকোনো গোসলের জন্য একটি সাধারিত দোয়া।

ফরজ গোসলের নিয়ত

ফরজ গোসলের নিয়ত বা ইন্টেনশন করার সময়ে বাংলা ভাষায় একটি নিয়ত পড়া যায়:

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

আল্লাহর নামে, যিস দয়ালু ও মেহেরবান।

আরো পড়ুন:আসল ভিটমেট অ্যাপস ডাউনলোড কিভাবে করবেন

এই নিয়তটি বলতে একজন মুসলিম মানতেই বলেন, "আমি এই গোসলটি করতেছি আল্লাহর জন্য, আল্লাহর রেহমতে, আল্লাহর মেহেরবানিতে।" এটি গোসলের শুরুতে বা যেকোনো ফরজ গোসলের সময়ে করা হয়।

ফরজ গোসল কখন করতে হয়

ইসলামে ফরজ গোসলের প্রধান সময়গুলি হলো:

জানাই থাকার পর পুরুষ এবং মহিলা উভয়ে জানাই থাকার পর ফরজ গোসল করতে হয়। এটি জানাই থাকার জন্য বিশেষভাবে পুরুষের ক্ষেত্রে প্রয়োজন।যৌন সম্বন্ধ থাকার পর যৌন সম্বন্ধ হতে পরে ফরজ গোসল করা প্রয়োজন।ইসলামে বিবাহিত জীবনে যৌন সম্বন্ধ সহীত শারীরিক সংযোগ হলে, তার পর গোসল করতে হয়।

বিশেষ অবস্থানে যাওয়ার পর যদি কেউ বিশেষ অবস্থানে যাওয়ার পর বা কোন নিরাপত্তা নাওয়ানোর পর গোসল করতে চায়, তার জন্যও ফরজ গোসল প্রয়োজন।এই সময়গুলি ছাড়াও, কিছু অবস্থানে যেতে এবং নিজেকে পরিষ্কার করতে যাওয়ার পরও ফরজ গোসল করা যেতে পারে।

ফরজ গোসল দেরিতে করা যাবে কিনা

ইসলামে ফরজ গোসল একটি মুসলিমের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ইসলামিক শাস্তির দৃষ্টিগুলি অনুযায়ী, ফরজ গোসল দ্রুত করা উচিত। যদি এর জন্য কোনো কারণে দ্বিধা অথবা দেরি হয়, তবে সম্ভাবনা অবশ্যই অব্যধি করা হবে।

কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তি কেবল দ্বিধার মধ্যে থাকতে পারে, এবং এর কারণে ফরজ গোসল দেরি হতে পারে, কিন্তু যদি কোনো ভালো কারণ না থাকে এবং কেবল লাপসুই দেরি করা হয়ে থাকে তাদের জন্য সেটি অব্যধি হতে পারে। তবে এটি সামাজিক অবশ্যই নয় এবং এর উপর ইসলামিক মৌল্যবানে ভিত্তি করা দরকার।

ইসলামে দীর্ঘকালিন অসুস্থতা, শব্দাড়ম্বর প্রকাশ এবং অন্যান্য অসুবিধার কারণে গোসলে দেরি হতে পারে, কিন্তু এগুলি প্রায়ই মাকুস দ্বারা অনুমোদিত হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, গোসল করার জন্য যে সময়ে সবচেয়ে উপযুক্ত ও অনুমোদিত হবে, সেই সময়ে গোসল করা।

অসুস্থ অবস্থায় ফরজ গোসল

ইসলামে, কিছু ক্ষেত্রে অসুস্থ অবস্থায় বা নির্দিষ্ট কারণে ফরজ গোসল অকর্তব্য হতে পারে। ইসলামিক শাস্তির দৃষ্টিগুলির মধ্যে, কোনো কিছু ক্ষেত্রে অসুস্থ বা অযৌক্তিক অবস্থায় এই কর্মটি অধীন প্রাধিকৃত হতে পারে।কিছু ক্ষেত্রে একজন রোগী যেগুলি পরিস্থিতি অনুমোদন দেয়, তাদের জন্য ইসলামিক শাস্তি কর্তৃ দ্বারা কিছু উপায়ে সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। যেমন:

আরো পড়ুন:কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে

মায়ের কর্তৃক অনুমোদন যদি একজন মায়ে অথবা কর্তৃ রোগীর জন্য গোসলের প্রয়োজনীয়তা বুঝে থাকে এবং সে জিজ্ঞাসা করে তার অভিজ্ঞতা অনুমোদন করে তবে সে প্রতি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়ার মৌল্যবান হতে পারে।অভিভাবকের দ্বারা অনুমোদন কোনো অভিভাবক যদি নির্দিষ্ট কারণে সংক্রামিত বা অসুস্থ ব্যক্তির গোসল সময়ে সাহায্য করে।

সে সম্পূর্ণ অনুমোদন প্রদান করে তবে এটি সহজেই মৌল্যবান হতে পারে।এছাড়া, একজন রোগীর জন্য গোসলে কিছু সহযোগিতা প্রদান করা যেতে পারে, তবে এই সহযোগিতা নির্দিষ্ট আইনি এবং সৈয়য্যাতিক প্রস্তুতির অধীনে হতে হবে।একটি অসুস্থ অবস্থায় ফরজ গোসলের প্রয়োজন থাকলে, প্রাধিকৃত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

রমজানে ফরজ গোসল করার নিয়ম

রমজানে ফরজ গোসলের নিয়ম ইসলামিক শাস্তি অনুযায়ী পালন করা হয়। রমজান মাসে প্রতিদিনে ফরজ গোসল করার কিছু নিয়ম এবং সুন্নত বিষয়গুলি নিম্নে দেওয়া হলো:

আল্লাহর নামে নিয়ত করা গোসল শুরু করার আগে আল্লাহর নামে নিয়ত করতে হয়। এটি মনে রাখতে হয় যে, এই গোসলটি করা হচ্ছে আল্লাহর রেহমতে এবং ইবাদাতের জন্য।পাঁচটি অংশে গোসল করা গোসল শুরু হলে প্রথমে মুখ, নাক, হাত, পা এবং মুখারী অংশে পুরাপুরি পাঁচটি অংশে পানি দেয়া আবশ্যক।

পুরাপুরি শরীর ধোয়া প্রথমে উপরে উঠার পরে, পুরাপুরি শরীরে পানি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।গোসলের জন্য নিরাপদ স্থান নিতে হবে: গোসল করার জন্য একটি নিরাপদ এবং প্রাইভেট স্থান নিতে হবে, যেখানে কেউ অবাধ্য বা অসুবিধাজনক অবস্থায় ঢুকতে পারে না।

গোসলের পর বিশেষ দোআ পড়া: গোসল শেষ হলে একটি বিশেষ দোআ পড়া সুন্নত। যেমন:

اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ
"আমি সাক্ষাত করছি যে, আল্লাহ এক, তার কোনো শরীক নেই, তার একক প্রতিষ্ঠিত। আমি সাক্ষাত করছি যে, মুহাম্মদ তার বান্দা এবং দূত।"

রমজানে গোসল হিসেবে এই নিয়মগুলি অনুসরণ করা মুস্তাহাব (প্রস্তুতি) হয়।

ফরজ গোসল কয়টি

ইসলামে ফরজ গোসল কতটি সেটি নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে, সাধারিতভাবে ফরজ গোসল আল্লাহর প্রস্তুতি প্রয়োজন হলে সাধারিত পুরাপুরি শরীরে পানি দেওয়ার মাধ্যমে করা হয়। এটি মুখ, নাক, হাত, পা এবং মুখারী অংশে পানি দেওয়ার সময়ে প্রতিটি অংশের জন্য একই পদ্ধতিতে করা হবে।

আরো পড়ুন:কিভাবে ssc রেজাল্ট দেখবে

ফরজ গোসলে মৌল্যবান একটি উপায় হলো পুরাপুরি শরীরে পানি দেওয়া। এই গোসলে মুখ, নাক, হাত, পা এবং মুখারী অংশে পুরাপুরি পানি দেওয়া এবং শরীরে যে কোন অংশের কোনো জায়গা ছাড়ায় যেতে হবে।

গোসলের দোয়াও একটি মৌল্যবান আমল। গোসলের শেষে একটি বিশেষ দোয়া পড়া হয়, যা গোসলের মধ্যে একটি সুন্নত। দোয়া হলো:

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
অনুবাদ: আল্লাহর নামে, যিস দয়ালু ও মেহেরবান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url