জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম জানুন

খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান, কিন্তু বিস্তারিত নিয়ম জানেন না? এনআইডি চেক ওয়েবসাইটের আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো।e porcha খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য অনেকেই চেস্টা করে থাকেন, কিন্তু সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি না।

জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম জানুন (৫ মিনিটে)

জানার কারণে অনেকেই খতিয়ান/পর্চা অনুসন্ধান করতে পারেন না। তো চলুন, খতিয়ান/পর্চা অনুসন্ধান করার বিস্তারিত নিয়ম জেনে নেয়া যাক।

জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম

জমির খতিয়ান বের করা জমির মালিকানা সংজ্ঞে আসে এবং তা সরকারি রেকর্ডে দাখিল করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়িত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য সরকার ও ব্যক্তি দুইদিকেই উপযোগী হতে পারে।

আরো পড়ুন: ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারের লক্ষন

খতিয়ান বের করার নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা হয়:

আবেগ পত্রের জন্য আবেগ জমা দিন: জমির খতিয়ান বের করার জন্য প্রথমে আবেগ পত্র জমা দিতে হবে। এই আবেগ পত্রে জমির মালিক, জমির আয়তন, স্থান, জমির ধরণ, আদি সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় সরকারে আবেগ পত্র দাখিল করুন: আবেগ পত্র জমা দাখিল করার পর, এটি স্থানীয় সরকারের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সাধারণভাবে, জমির খতিয়ান সংক্রান্ত তথ্য একটি স্থানীয় মৌজা ও গ্রাম কার্যালয়ে জমা দিতে হয়।

খতিয়ান প্রদানের জন্য ফি পরিশোধ করুন: অনেক সময় জমির খতিয়ান তৈরির জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হতে পারে। এই ফি স্থানীয় সরকার নির্ধারণ করতে পারে এবং তা প্রদান করা হয় তার পর মালিকানা তথা খতিয়ান প্রদান করা হয়।

তথ্য যাচাই করুন: আবেগ পত্র এবং ফি প্রদানের পর, স্থানীয় সরকার তথা খতিয়ান কার্যালয় তথ্য যাচাই করতে হবে। এই পরিপ্রেক্ষ্যে জমির খতিয়ান সংক্রান্ত সকল তথ্য সঠিক এবং আপডেট আছে তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে, জমির খতিয়ান তৈরির জন্য সাধারিত ফরম ও নির্দেশিকা সরকারের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। স্থানীয় সরকারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে এই তথ্যের সঠিক উপায়ে প্রাপ্তি করা সম্ভাব।

নামজারি খতিয়ান চেক

নামজারি খতিয়ান চেক করতে, আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

স্থানীয় খতিয়ান কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন: নামজারি খতিয়ান চেক করার জন্য সবচেয়ে সোজা ও কার্যকর পথ হলো স্থানীয় খতিয়ান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা। এখানে আপনি জমির বিবরণ, মালিকের নাম, খতিয়ান সংখ্যা, ও অন্যান্য সংবিদান জমা দেওয়া হতে পারে।

অনলাইনে চেক করুন: অনেক সময় স্থানীয় খতিয়ান কার্যালয় অথবা সরকারি ওয়েবসাইটে অনলাইনে খতিয়ান চেক করার সুযোগ আছে। বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে অনলাইন খতিয়ান চেক করার সুযোগ থাকতে পারে।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন: কিছু সময় সরকারি অ্যাপ্লিকেশন বা মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমেও আপনি জমির খতিয়ান চেক করতে পারেন। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলি সরকারি অথবা সংস্থান দ্বারা প্রদান করা হতে পারে।

আরো পড়ুন: আসল ভিটমেট অ্যাপস ডাউনলোড কিভাবে করবেন

জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, খতিয়ান তথ্য সাধারিত হাল করা হতে পারে এবং তা স্থানীয় খতিয়ান কার্যালয় বা অফিসে উপস্থাপিত হতে পারে। অপর দিকে, অনলাইনে চেক করার জন্য সরকারি প্রদত্ত অভিযোগপত্র এবং আবেগ প্রদান করতে হতে পারে। অনলাইনে এই তথ্যের জন্য সঠিক সোর্সগুলি প্রদান করা হবে যাতে তথ্য সঠিক এবং আপডেট থাকে।

অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান

বাংলাদেশে অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে আপনি প্রয়োজনীয় সরকারি পোর্টালগুলি ব্যবহার করতে পারেন। এটি কিছু ধাপে উল্লেখ করা হয়েছে নিচে:

ন্যাশনাল ল্যান্ড রেকর্ডস এন্ড সার্ভেস পোর্টাল: বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল ল্যান্ড রেকর্ডস এন্ড সার্ভেস পোর্টালে (http://www.dlrs.gov.bd/) অনলাইনে জমির খতিয়ান চেক করা যায়। এই পোর্টালে আপনি "খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করে আপনার জমির খতিয়ান তথ্য প্রদান করে চেক করতে পারেন।

একক ভূমি সিস্টেম: স্থানীয় সরকারের একক ভূমি সিস্টেমে (http://www.ebms.dlrs.gov.bd/) চেক করা যায়। এখানে আপনি জমির বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে খতিয়ান চেক করতে পারেন।

উক্ত পোর্টালগুলি ব্যবহার করতে আপনার নিজের জমির তথ্য প্রদান করা হতে পারে, সেইসব তথ্য প্রদান করার পর আপনি জমির খতিয়ান চেক করতে পারবেন। এছাড়াও, কিছু সময় অবসান করা হতে পারে এবং এই পোর্টালগুলি একে অপরের থেকে সংবিদান নেয় তাই এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও, আপনি যদি সাহায্য প্রয়োজন হয় তবে স্থানীয় জনসমাগমের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

আর এস খতিয়ান অনলাইন চেক

আর এস খতিয়ান চেক করতে আপনি "আর এস খতিয়ান প্রকল্প" পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল ল্যান্ড রেকর্ডস এন্ড সার্ভেস পোর্টালে এই সেবা প্রদান করা হয়েছে। নিচে আপনার জন্য কিছু ধাপ দেওয়া হয়েছে:

আর এস খতিয়ান প্রকল্প পোর্টালে যান: আপনি "আর এস খতিয়ান প্রকল্প" পোর্টালে (https://ars.dlrs.gov.bd/) যেতে পারেন।

"খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করুন: পোর্টালে পৌঁছার পর, "খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করুন।

আপনার জমির বিস্তারিত তথ্য প্রদান করুন: এখানে আপনার জমির বিস্তারিত তথ্য প্রদান করুন, যেমন জমির মালিকের নাম, জমির আয়তন, খতিয়ান সংখ্যা, ও অন্যান্য তথ্য।

আরো পড়ুন: শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়?

খতিয়ান চেক করুন: সঠিক তথ্য প্রদান করার পর, "খতিয়ান চেক" বা এমন কিছু অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন।

এই ভিড়িও টিউটোরিয়াল বা স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড একটি এস খতিয়ান চেক করার জন্য সাহায্যকর হতে পারে, এটি পোর্টালে প্রদান করা হতে পারে।

সক্রিয় অনলাইন সহায়তা প্রদানকারী কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক করাও সহায়ক হতে পারে, যারা এই সেবার জন্য সাহায্য প্রদান করতে পারে।

খতিয়ান অনুসন্ধান

বাংলাদেশে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

ন্যাশনাল ল্যান্ড রেকর্ডস এন্ড সার্ভেস পোর্টাল: বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল ল্যান্ড রেকর্ডস এন্ড সার্ভেস পোর্টালে (http://www.dlrs.gov.bd/) আপনি "খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করে জমির খতিয়ান তথ্য চেক করতে পারেন। এখানে জমির মালিকের নাম, জমির আয়তন, খতিয়ান সংখ্যা, ও অন্যান্য তথ্য প্রদান করে অনুসন্ধান করতে পারেন।

আর এস খতিয়ান প্রকল্প পোর্টাল: "আর এস খতিয়ান প্রকল্প" পোর্টালে (https://ars.dlrs.gov.bd/) গিয়ে "খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনি জমির বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে খতিয়ান তথ্য চেক করতে পারেন।

ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশনে: আপনি আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করে জমির খতিয়ান চেক করতে পারেন। সহায়ক কর্মকর্তারা তাদের অফিসে আপনাকে সহায়ক হতে সাহায্য করতে পারেন।

আরো পড়ুন: কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন কত কিলোমিটার

আপনি যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন বা আপনার জমির খতিয়ান তথ্য খুঁজতে সমস্যা অনুভব করেন, স্থানীয় জনসমাগমের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে সাহায্য নিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url