পিরিয়ডের সময় যোনি তে ব্যাথা কি কি করবেন বিস্তারিত জানুন।

ব্যথাটি সাধারণত তলপেটে খিঁচ ধরে থাকা ব্যথার মতো অনুভূত হয়। তলপেটের সাথে সাথে এটি পিঠ, উরু, পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। পিরিয়ড চলাকালীন প্রায় পুরো সময়টা জুড়েই এ ব্যথা থাকে। তবে অনেক সময় এ ব্যথার তীব্রতা অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং এর কারণে খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে।

পিরিয়ডের সময় যোনি তে ব্যাথা কি কি করবেন বিস্তারিত জানুন।


মাসিকের সময় পেটে ব্যথার কারণ

মাসিকের সময় পেটে ব্যথার বেশ কিছু কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন:গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন

প্রধান কারণ গুলো হল:

  • প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন: মাসিকের সময় জরায়ু সংকুচিত করার জন্য প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ হয়। যাদের শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা বেশি, তাদের তীব্র পেট ব্যথা হতে পারে।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ুর ভেতরের আস্তরণের মতো টিস্যু জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠলে এন্ডোমেট্রিওসিস হয়। মাসিকের সময় এই টিস্যুও রক্তপাত করে, কিন্তু শরীরের বাইরে বের হতে পারে না। ফলে তীব্র ব্যথা হয়।
  • ফাইব্রয়েড: জরায়ুর পেশীস্তর থেকে বেড়ে ওঠা এক ধরনের টিউমার। এগুলো মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ (PID): জরায়ু, ডিম্বনালী ও ডিম্বাশয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে PID হয়। এতে তীব্র পেট ব্যথা, জ্বর, যোনিতে স্রাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
  • অ্যাডেনোমায়োসিস: জরায়ুর ভেতরের আস্তরণের টিস্যু জরায়ুর দেয়ালে বেড়ে উঠলে অ্যাডেনোমায়োসিস হয়। মাসিকের সময় তীব্র পেট ব্যথা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে।

অন্যান্য কারণ গুলো হল:

  • অনিয়মিত মাসিক
  • মানসিক চাপ
  • অপুষ্টি
  • অল্প ঘুম
  • ব্যায়ামের অভাব
  • ধূমপান
  • অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ
মাসিকের সময় পেট ব্যথা কমানোর উপায়:
  • গরম পানির সেঁক
  • ব্যথানাশক ওষুধ
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • স্বাস্থ্যকর খাবার
  • পর্যাপ্ত ঘুম
  • মানসিক চাপ কমানো
  • ধূমপান ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ বন্ধ করা

পিরিয়ডের ব্যথা কোথায় হয়

পিরিয়ডের ব্যথা সাধারণত পেটের নিচের অংশে, তলপেটে অনুভূত হয়। এই ব্যথা কোমর ও ঊরুতে ছড়িয়ে যেতে পারে। কখনো কখনো পেটের ব্যথাটি কিছুক্ষণ পরপর প্রচণ্ডভাবে কামড়ে ধরা বা খিঁচ ধরার মতো করে আসা-যাওয়া করে। অন্যান্য সময়ে একটানা ভোঁতা ধরনের ব্যথা হতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে, পিরিয়ডের ব্যথা শরীরের অন্যান্য অংশেও অনুভূত হতে পারে, যেমন:
  • পিঠ
  • পা
  • হাত
  • মাথা

আরো পড়ুন:কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

পিরিয়ডের ব্যথার কারণ:

  • প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন: মাসিকের সময় জরায়ু সংকুচিত করার জন্য প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ হয়। যাদের শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা বেশি, তাদের তীব্র পেট ব্যথা হতে পারে।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ুর ভেতরের আস্তরণের মতো টিস্যু জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠলে এন্ডোমেট্রিওসিস হয়। মাসিকের সময় এই টিস্যুও রক্তপাত করে, কিন্তু শরীরের বাইরে বের হতে পারে না। ফলে তীব্র ব্যথা হয়।
  • ফাইব্রয়েড: জরায়ুর পেশীস্তর থেকে বেড়ে ওঠা এক ধরনের টিউমার। এগুলো মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ (PID): জরায়ু, ডিম্বনালী ও ডিম্বাশয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে PID হয়। এতে তীব্র পেট ব্যথা, জ্বর, যোনিতে স্রাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
  • অ্যাডেনোমায়োসিস: জরায়ুর ভেতরের আস্তরণের টিস্যু জরায়ুর দেয়ালে বেড়ে উঠলে অ্যাডেনোমায়োসিস হয়। মাসিকের সময় তীব্র পেট ব্যথা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়:

  • গরম পানির সেঁক
  • ব্যথানাশক ওষুধ
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • স্বাস্থ্যকর খাবার
  • পর্যাপ্ত ঘুম
  • মানসিক চাপ কমানো
  • ধূমপান ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ বন্ধ করা
যদি মাসিকের সময় পেট ব্যথা খুব বেশি হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

পিরিয়ডের সময় যোনি তে ব্যাথা

  • ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস: যোনিতে পর্যাপ্ত লুব্রিকেশন না থাকলে যোনিতে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ুর ভেতরের আস্তরণের মতো টিস্যু জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠলে এন্ডোমেট্রিওসিস হয়। মাসিকের সময় এই টিস্যুও রক্তপাত করে, কিন্তু শরীরের বাইরে বের হতে পারে না। ফলে যোনিতে তীব্র ব্যথা হয়।
  • ভ্যাজাইনাল আঘাত: প্রসব, যৌনমিলন বা অন্য কোন কারণে যোনিতে আঘাতের ফলে ব্যথা হতে পারে।

পিরিয়ডের সময় যোনিতে ব্যাথা কমানোর উপায়:

আরো পড়ুন:বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ জেনে রাখুন

  • গরম পানির সেঁক
  • ব্যথানাশক ওষুধ
  • যোনিতে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • স্বাস্থ্যকর খাবার
  • পর্যাপ্ত ঘুম
  • মানসিক চাপ কমানো
  • ধূমপান ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ বন্ধ করা
ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।

কিছু টিপস:
  • পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
  • সুতির পোশাক পরা
  • সুগন্ধিযুক্ত সাবান ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার না করা
  • যোনি ডouching না করা

কি খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে

পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:

ফল:
  • পেঁপে: পেঁপেতে পেপেইন নামক এনজাইম থাকে যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে, যা পিরিয়ডের ব্যথার জন্য দায়ী।
  • ব্রকলি: ব্রকলি ভিটামিন K-এর একটি ভালো উৎস, যা রক্ত ​​জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত রক্তপাত কমাতে পারে।
  • গাজর: গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারে।
  • আদা: আদা পেটের ব্যথা এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন:খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

অন্যান্য:
  • ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে এবং পেটের ব্যথা কমাতে পারে।
  • বাদাম: বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন পেট ভরা রাখতে এবং ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
  • ওটমিল: ওটমিল ফাইবারের একটি ভালো উৎস যা হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে।
  • দই: দইতে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি হজম উন্নত করতে এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

  • স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস পিরিয়ডের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।
  • গরম সেঁক: পেটে গরম সেঁক দেওয়া ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ম্যাসাজ: পেটে ম্যাসাজ করলে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথা যদি অসহ্য হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলে করণীয়

মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলে করণীয়:

১. ব্যথানাশক ওষুধ:
  • প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন, বা মেফেনামিক অ্যাসিডের মতো ব্যথানাশক ওষুধ ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
২. গরম সেঁক:
  • পেটে গরম সেঁক দেওয়া ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • গরম পানির বোতল বা গরম তোয়ালে ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন:পেটে বুট বুট করলে করনীয় কি? এমন সময় কি করবেন।

৩. ম্যাসাজ:
  • পেটে ম্যাসাজ করলে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • হালকা চাপ দিয়ে পেটে ম্যাসাজ করুন।
৪. ব্যায়াম:
  • নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, পেটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৫. স্বাস্থ্যকর খাবার:
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৬. পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
  • প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৭. স্ট্রেস কমানো:
  • স্ট্রেস ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৮. জলপান:
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
৯. ঠান্ডা সেঁক:
  • মাথায় ঠান্ডা সেঁক দেওয়া মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
১০. হেভি ফ্লো:
  • ১১. অন্যান্য:
  • পেটে হালকা চাপ প্রয়োগ করে ব্যথা কমাতে পারেন।
  • তীব্র ব্যথা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • নিয়মিত মাসিক পরীক্ষা করান।

মাসিকের সময় পেটে ব্যথার কারণ

মাসিকের সময় পেটে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। এই ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।

  • প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন: মাসিকের সময় জরায়ু সংকুচিত হতে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক রাসায়নিক পদার্থের ভূমিকা রয়েছে। এই সংকোচনের ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে।
  • জরায়ুর অবস্থান: জরায়ুর অস্বাভাবিক অবস্থান, যেমন পেছনের দিকে ঝুঁকে থাকা (retroverted uterus), ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস: এটি একটি এমন অবস্থা যেখানে জরায়ুর ভেতরের আস্তরণ জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়। মাসিকের সময় এই টিস্যুও খসে পড়ে, তীব্র ব্যথা হতে পারে।
  • ফাইব্রয়েড: জরায়ুর পেশীতে যে টিউমারের মতো বৃদ্ধি হয় তাকে ফাইব্রয়েড বলে। এটিও ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ (PID): এটি জরায়ু, ডিম্বাশয়, বা ডিম্বনালীর সংক্রমণ।
  • অ্যাডেনোমাইওসিস: এটি জরায়ুর পেশীস্তরে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যুর বৃদ্ধি।

আরো পড়ুন:খালি পেটে টক দই খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সম্পকে বিস্তারিত জানুন।

অন্যান্য কারণ:
  • স্ট্রেস
  • অনিয়মিত ঘুম
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার
  • অপর্যাপ্ত ব্যায়াম
  • ধূমপান
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন যদি:
  • ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
  • ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, বা অতিরিক্ত রক্তপাত হয়।
  • আপনার অনিয়মিত মাসিক হয়।
  • আপনার গর্ভধারণে সমস্যা হয়।
ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url