গুড়া কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পকে জানুন
কৃমি একটি ক্ষতিকর পরজীবী। মানুষের দেহে ফিতা কৃমি, গোল কৃমি কিংবা বক্র কৃমির মতো বিভিন্ন ধরনের কৃমি দেখা যায়। তবে এদের মধ্যে যে কৃমি অন্ত্রে পাওয়া যায়, তা বিশেষত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এই কৃমি। দেখে নিন কোন কোন খাবার কমাতে পারে এর আশঙ্কা।
গুড়া কৃমি
গুড়া কৃমি হলো এক ধরনের পরজীবী কৃমি যা মানুষ ও প্রাণীকে সংক্রমিত করতে পারে। এগুলো পাতলা, গোলাকার কৃমি যা অন্ত্রে বাস করে। গুড়া কৃমির সংক্রমণকে এন্টেরোবায়াসিস বলা হয়।
আরো পড়ুন:কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
গুড়া কৃমি খুব ছোট, সাধারণত প্রায় ১/২ ইঞ্চি লম্বা হয়। এগুলো সাদা বা হালকা বাদামী রঙের হয়। গুড়া কৃমির মাথা একটি থালা থাকে যা অন্ত্রের দেয়ালে লেগে থাকে। কৃমি তার ডিম ডিম্বাশয়ে ছেড়ে দেয়, যা মলের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
মানুষ সংক্রামিত মলের সংস্পর্শে এসে গুড়া কৃমিতে আক্রান্ত হয়। ডিম গিলে ফেলা হলে, এগুলো অন্ত্রে ফুটে বের হয় এবং পূর্ণবয়স্ক কৃমিতে পরিণত হয়। কৃমি অন্ত্রে বাস করে এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণ করে।
গুড়া কৃমির সংক্রমণের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- পায়ুপথে চুলকানি
- পেটে ব্যথা
- বমি বমি ভাব
- ডায়রিয়া
- ওজন হ্রাস
- ক্লান্তি
- অনিদ্রা
গুড়া কৃমির সংক্রমণ নির্ণয় করা হয় মল পরীক্ষার মাধ্যমে। পরীক্ষায় মলে ডিম বা কৃমি পাওয়া যায়।
গুড়া কৃমির সংক্রমণ অ্যান্টিপ্যারাসিটিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ওষুধ সাধারণত একটি একক ডোজ হিসাবে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।
নখ পরিষ্কার এবং ছোট রাখা
খাবার ঢেকে রাখা
শৌচালয় এবং ল্যাট্রিন পরিষ্কার রাখা
গুড়া কৃমির লক্ষণ
গুড়া কৃমি, যা এন্টেরোবায়াসিস নামেও পরিচিত, এক ধরনের পরজীবী কৃমি যা মানুষের অন্ত্রে বাস করে। এটি খুব ছোট, সাধারণত ১/২ ইঞ্চি লম্বা হয়।
গুড়া কৃমির সংক্রমণের কিছু লক্ষণ হল:
প্রধান লক্ষণ:
মলদ্বারে চুলকানি: এটি গুড়া কৃমির সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। কৃমি মলদ্বারে ডিম ছেড়ে দেয়, যা চুলকানি সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুন:গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন
পেটে ব্যথা: পেটে ব্যথা, পেট কামড়ানো, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
অন্যান্য লক্ষণ:
- ওজন হ্রাস
- ক্ষুধামান্দ্য
- ক্লান্তি
- অনিদ্রা
- মেজাজ খারাপ
- মাথাব্যথা
- দাঁত ঘষা
- नाक কাটা
শিশুদের মধ্যে লক্ষণ:
- ঘুমের সময় অস্থিরতা
- বিছানায় প্রস্রাব করা
- ওজন না বাড়া
- শিক্ষায় মনোযোগের অভাব
- চুলকানোর ফলে ত্বকের ক্ষত
গুরুত্বপূর্ণ:
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলি অন্যান্য অনেক রোগেরও লক্ষণ হতে পারে।
ডাক্তার মল পরীক্ষার মাধ্যমে গুড়া কৃমির সংক্রমণ নির্ণয় করতে পারবেন।
গুড়া কৃমির সংক্রমণ রোধ করতে কিছু টিপস:
- নিয়মিত হাত ধোয়া, বিশেষ করে শৌচালয় ব্যবহারের পরে এবং খাবার পরিচালনার আগে।
- নখ পরিষ্কার এবং ছোট রাখা।
- খাবার ঢেকে রাখা।
- শৌচালয় এবং ল্যাট্রিন পরিষ্কার রাখা।
- নিয়মিত গরম পানি এবং সাবান দিয়ে পোশাক ধোয়া।
গুড়া কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসা
গুড়া কৃমি, যা এন্টেরোবায়াসিস নামেও পরিচিত, এক ধরনের পরজীবী কৃমি যা মানুষের অন্ত্রে বাস করে। এটি খুব ছোট, সাধারণত ১/২ ইঞ্চি লম্বা হয়।
আরো পড়ুন:জানাজার নামাজের নিয়ম জেনে রাখুন কাজে আসবে।
গুড়া কৃমির ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু উপায়:
১. রসুন:
রসুনে অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক উপাদান থাকে যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু'কোয়া রসুন খান।
এক সপ্তাহ নিয়মিত খান।
২. নারকেল:
নারকেল কৃমি দূর করতে বেশ কার্যকরী।
প্রতিদিন সকালে এক টেবিল-চামচ নারকেল কুচি খান।
৩. লবঙ্গ:
প্রতিদিন ১-২টি লবঙ্গ খান।
এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কৃমি নষ্ট করে।৪. মিষ্টি কুমড়োর বীজ:
দুই টেবিল-চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়ো তিন কাপ জলে আধ ঘণ্টা সিদ্ধ করুন।
সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খান।
এ ছাড়া এক টেবিল-চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়োর সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
৫. গাজর:
একটি গাজর কুচি করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান।
গাজরের ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি জিঙ্ক কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৬. হলুদ:
এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান।
এ ছাড়া হাফ কাপ গরম জলে, সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে খান।
পাঁচ দিন নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
৭. অ্যাপল সিডার ভিনিগার:
খাওয়ার আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
যা শরীরে ও জীবাণুর লার্ভা মারতে সাহায্য করে।
৮. পেঁপে:
পেঁপেতে নামক এন জাইম থাকে যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন খালি পেটে পেঁপে খান।
৯. তুলসী:
তুলসীর পাতা ও রস কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
গুড়া কৃমি দূর করার উপায়
গুড়া কৃমি দূর করার কয়েকটি উপায়
১. ওষুধ:
গুড়া কৃমি দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ওষুধ সেবন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যালবেনডাজল বা মেবেনডাজল গ্রহণ করুন।
ওষুধ সাধারণত একটি একক ডোজ হিসাবে দেওয়া হয়।
কিছু ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।
২. ঘরোয়া চিকিৎসা:
কিছু ঘরোয়া উপাদান গুড়া কৃমি দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
- রসুন: রসুনে অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক উপাদান থাকে যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
- নারকেল: নারকেল কৃমি দূর করতে বেশ কার্যকরী।
- মিষ্টি কুমড়োর বীজ: মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়ো কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
- হলুদ: হলুদের রস কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
- অ্যাপল সিডার ভিনিগার: অ্যাপল সিডার ভিনিগার পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
- তুলসী: তুলসীর পাতা ও রস কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
৩. প্রতিরোধ:
নিয়মিত হাত ধোয়া, বিশেষ করে শৌচালয় ব্যবহারের পরে এবং খাবার পরিচালনার আগে।
নখ পরিষ্কার এবং ছোট রাখা।
খাবার ঢেকে রাখা।
শৌচালয় এবং ল্যাট্রিন পরিষ্কার রাখা।
নিয়মিত গরম পানি এবং সাবান দিয়ে পোশাক ধোয়া।
৪. সতর্কতা:
ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যবহার করা উচিত নয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url