মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও কি ওষুধ খাবেন বিস্তারিত জানুন।
মাথা ব্যথায় ভোগেননি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। তীব্র মাথা ব্যথা হলে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে মাথা ব্যথা কোনো রোগ নয়, একটি উপসর্গ মাত্র। সাধারণত ঘুমের পরিবর্তন বা কম ঘুম হওয়া, সময়মতো খাবার না খাওয়া, পানি কম খাওয়া, দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
মাথা ব্যাথা হলে কি ওষুধ খাব
- মাথাব্যথার ধরন: কিছু ধরণের মাথাব্যথা, যেমন মাইগ্রেন, ওষুধ ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।
- আপনার অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: আপনার যদি অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, তাহলে ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ: কিছু লোক ওষুধ খেতে পছন্দ করে না, অন্যরা দ্রুত উপশম পেতে ওষুধ খেতে পছন্দ করে।
আরো পড়ুন:মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারন ও চিকিৎসা জানুন।
মাথাব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম: ঘুমের অভাব মাথাব্যথার একটি সাধারণ কারণ। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে মাথাব্যথা কমতে পারে।
- পানি পান: পানিশূন্যতা মাথাব্যথার আরেকটি সাধারণ কারণ। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে মাথাব্যথা কমতে পারে।
- ঠান্ডা সেঁক: ঠান্ডা সেঁক মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- গরম সেঁক: গরম সেঁক মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ম্যাসাজ: মাথায় এবং ঘাড়ে ম্যাসাজ করলে মাথাব্যথার ব্যথা কমতে সাহায্য করতে পারে।
- ক্যাফেইন: ক্যাফেইন মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
যদি আপনার মাথাব্যথা:
বারবার হয়
খুব তীব্র হয়
অন্য কোনো উপসর্গের সাথে থাকে, যেমন বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, অথবা দৃষ্টি সমস্যা
তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মাথাব্যথা দূর করার জন্য কিছু ওষুধ:
- ট্রিপটানস: এগুলি মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।
- এরগোটামিন: এটিও মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।
ওষুধ খাওয়ার আগে সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যাথা অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে।
কিছু সাধারণ কারণ:
- টেনশন হেডেক: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা। এটি কপাল এবং ঘাড়ের পেশীগুলিতে টান অনুভূতির কারণে হয়।
- মাইগ্রেন: এটি একটি তীব্র, স্পন্দিত মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একদিকে হয়। এটি বমি বমি ভাব, বমি এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার সাথে থাকতে পারে।
- সাইনাস হেডেক: এটি সাইনাসের সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে হয়। এটি মুখ, চোখ এবং কপালে ব্যথা এবং চাপ অনুভূতির কারণে হয়।
- ক্লাস্টার হেডেক: এটি তীব্র মাথাব্যথার একটি গুচ্ছ যা সাধারণত চোখের পিছনে হয়। এটি ঠান্ডা লাগা, চোখ জল পড়া এবং नाक বন্ধ হওয়ার সাথে থাকতে পারে।
কিছু গুরুতর কারণ:
- মেনিনজাইটিস: এটি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের আবরণীর প্রদাহ। এটি তীব্র মাথাব্যথা, ঘাড়ের শক্ততা, জ্বর এবং বিভ্রান্তির কারণে হয়।
আপনার যদি নিম্নলিখিত কোনো উপসর্গ থাকে তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত:
- তীব্র মাথাব্যথা
- বারবার মাথাব্যথা
- মাথাব্যথা যা অন্য কোনো উপসর্গের সাথে থাকে, যেমন বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, অথবা দৃষ্টি সমস্যা
- মাথাব্যথা যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ করে
ডাক্তার আপনার মাথাব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।
দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর উপায়
ঘরোয়া উপায়:
- ঠান্ডা সেঁক: ঠান্ডা সেঁক মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে মাথায় রাখুন।
- গরম সেঁক: গরম সেঁক মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গরমের বোতল বা গরম পানিতে ভেজানো কাপড় মাথায় রাখুন।
- ম্যাসাজ: মাথায় এবং ঘাড়ে ম্যাসাজ করলে মাথাব্যথার ব্যথা কমতে সাহায্য করতে পারে।
- ক্যাফেইন: ক্যাফেইন মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক কাপ চা বা কফি পান করতে পারেন।
- আদা: আদা মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
- লবঙ্গ: লবঙ্গ মাথাব্যথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কয়েকটি লবঙ্গ গরম করে রুমালে ভরে ঘ্রাণ নিতে পারেন।
ওষুধ:
- ট্রিপটানস: এগুলি মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।
- এরগোটামিন: এটিও মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।
সতর্কতা:
- ওষুধ খাওয়ার আগে সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- যদি আপনার মাথাব্যথা:
- বারবার হয়
- খুব তীব্র হয়
- অন্য কোনো উপসর্গের সাথে থাকে, যেমন বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, অথবা দৃষ্টি সমস্যা
তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
পানি পান: পানিশূন্যতা মাথা যন্ত্রণার একটি সাধারণ কারণ। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে মাথা যন্ত্রণা কমতে পারে।
ঠান্ডা সেঁক: ঠান্ডা সেঁক মাথা যন্ত্রণার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে মাথায় রাখুন।
গরম সেঁক: গরম সেঁক মাথা যন্ত্রণার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গরমের বোতল বা গরম পানিতে ভেজানো কাপড় মাথায় রাখুন।
ম্যাসাজ: মাথায় এবং ঘাড়ে ম্যাসাজ করলে মাথা যন্ত্রণার ব্যথা কমতে সাহায্য করতে পারে।
আদা: আদা মাথা যন্ত্রণার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
লবঙ্গ: লবঙ্গ মাথা যন্ত্রণার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কয়েকটি লবঙ্গ গরম করে রুমালে ভরে ঘ্রাণ নিতে পারেন।
বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম মাথা যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url