মাথার ব্যথা হওয়ার কারণ,প্রকার,চিকৎসা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
জীবনে কোনোদিন মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক বোধহয় খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। অনেকেই প্রায়ই মাথা ব্যাথার যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। মাঝেমাঝেই মাথার বাম পাশে কিংবা মাথার পিছন দিকটায় ব্যাথা করতে পারে। মাথা ব্যাথার একটা বড় কারণ হলো মাইগ্রেন। তবে এটি কোনো সাধারণ মাথা ব্যাথা নয়।
মাইগ্রেন হলো মাথার একপাশে কম্পন দিয়ে মাঝারি বা তীব্র ধরনের ব্যথা। কখনো কখনো এই ব্যথা মাথার একপাশে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ওই পাশের পুরো স্থান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবার মাইগ্রেনের সমস্যায় কখনো কখনো ব্যাথার সঙ্গে দৃষ্টি বিভ্রম বা বমি বমি ভাবও থাকতে পারে।
মাথার পিছনে ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
মাথার পিছনে ডান পাশে ব্যথার অনেক কারণ হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
মাংসপেশির টান: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় থাকা, ভুল ভঙ্গিতে ঘুমানো, বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের কারণে মাথার পিছনের পেশীগুলো টান পেতে পারে। এর ফলে ব্যথা হতে পারে।
সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস: মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয়ের কারণে সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস হতে পারে। এটি মাথার পিছনে, ঘাড়ে এবং কাঁধে ব্যথা হতে পারে।
মাথাব্যথা: টেনশন হেডেক, মাইগ্রেন, এবং ক্লাস্টার হেডেকের মতো মাথাব্যথার কারণে মাথার পিছনে ডান পাশে ব্যথা হতে পারে।
চোখের সমস্যা: চোখের চাপ বৃদ্ধি, গ্লুকোমা, এবং চোখের পেশীর টানের কারণে মাথার পিছনে ডান পাশে ব্যথা হতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- যদি ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি ব্যথা নিয়মিত হয়।
চিকিৎসা:
- মাথার পিছনে ডান পাশে ব্যথার চিকিৎসা ব্যথার কারণের উপর নির্ভর করে।
- মাথাব্যথা: ব্যথার ঔষধ, ট্রিগার এড়ানো, এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে মাথাব্যথার চিকিৎসা করা যেতে পারে।
মাথার সামনে বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
মাথার সামনে বাম পাশে ব্যথার অনেক কারণ হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
মাথাব্যথা:
- টেনশন হেডেক: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা। এটি মাথার চারপাশে একটি টাইট ব্যান্ডের মতো অনুভূত হয়।
- মাইগ্রেন: এটি তীব্র, স্পন্দিত মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একপাশে হয়। এটি বমি বমি ভাব, বমি এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার সাথে হতে পারে।
- ক্লাস্টার হেডেক: এটি তীব্র, স্পন্দিত মাথাব্যথা যা মাথার একপাশে হয়। এটি সাধারণত চোখের পিছনে বা কপালে হয়।
সাইনাস সংক্রমণ:
সাইনাসাইটিস: এটি সাইনাসের প্রদাহ, যা মুখের হাড়ের ভিতরে অবস্থিত বায়ু-পূর্ণ পকেট। এটি মাথার সামনে, মুখে এবং কপালে ব্যথা হতে পারে।
চোখের সমস্যা:
- চোখের পেশীর টান: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন টাইম বা বিরতি ছাড়া পড়ার ফলে চোখের পেশী টান পেতে পারে। এটি মাথার সামনে, চোখের পিছনে এবং কপালে ব্যথা হতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- যদি ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি ব্যথা নিয়মিত হয়।
চিকিৎসা:
মাথার সামনে বাম পাশে ব্যথার চিকিৎসা ব্যথার কারণের উপর নির্ভর করে।
মাথাব্যথা: ব্যথার ঔষধ, ট্রিগার এড়ানো, এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে মাথাব্যথার চিকিৎসা করা
মাথার পিছনে বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয়
প্রথমত:
ব্যথার তীব্রতা ও ধরণ:
- ব্যথা কি তীব্র, স্পন্দিত, নাকি টানটান ভাব?
- ব্যথা কি দীর্ঘস্থায়ী, নাকি নিয়মিত আসে?
- ব্যথার সাথে কি অন্য কোন উপসর্গ আছে, যেমন বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা?
এরপর:
নিজের যত্ন:
- বিশ্রাম: শান্ত পরিবেশে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন।
- ঠান্ডা সেঁক: ব্যথার স্থানে ঠান্ডা সেঁক ব্যবহার করুন।
- ব্যথার ঔষধ: প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথার ঔষধ খেতে পারেন।
- জল পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- মাথার ব্যায়াম: কিছু হালকা মাথার ব্যায়াম ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিছু ঘরোয়া উপায়:
পেঁয়াজ: পেঁয়াজের রস ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- যদি ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি ব্যথা নিয়মিত হয়।
- যদি ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কম না হয়।
ডাক্তারের কাছে গেলে:
- ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন।
- প্রয়োজনে ডাক্তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন, যেমন এক্স-রে, এমআরআই, বা সিটি স্ক্যান।
- ব্যথার কারণ নির্ণয়ের পর ডাক্তার উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।
কিছু টিপস:
- পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তাই প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম মাথাব্যথার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মাথাব্যথার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ: ধূমপান ও মদ্যপান মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তাই ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা উচিত।
মাথার বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
মাথার বাম পাশে ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
মাথাব্যথা:
- টেনশন হেডেক: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা। এটি মাথার চারপাশে একটি টাইট ব্যান্ডের মতো অনুভূত হয়।
- মাইগ্রেন: এটি তীব্র, স্পন্দিত মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একপাশে হয়। এটি বমি বমি ভাব, বমি এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার সাথে হতে পারে।
- ক্লাস্টার হেডেক: এটি তীব্র, স্পন্দিত মাথাব্যথা যা মাথার একপাশে হয়। এটি সাধারণত চোখের পিছনে বা কপালে হয়।
সাইনাস সংক্রমণ:
সাইনাসাইটিস: এটি সাইনাসের প্রদাহ, যা মুখের হাড়ের ভিতরে অবস্থিত বায়ু-পূর্ণ পকেট। এটি মাথার সামনে, মুখে এবং কপালে ব্যথা হতে পারে।
চোখের সমস্যা:
- চোখের পেশীর টান: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন টাইম বা বিরতি ছাড়া পড়ার ফলে চোখের পেশী টান পেতে পারে। এটি মাথার সামনে, চোখের পিছনে এবং কপালে ব্যথা হতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- যদি ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি ব্যথা নিয়মিত হয়।
আরো পড়ুন:মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
চিকিৎসা:
মাথার বাম পাশে ব্যথার চিকিৎসা ব্যথার কারণের উপর নির্ভর করে।
মাথাব্যথা: ব্যথার ঔষধ, ট্রিগার এড়ানো, এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে মাথাব্যথার চিকিৎসা করা
মাথার ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয়
প্রথমত:
- ব্যথার তীব্রতা ও ধরণ:
- ব্যথা কি তীব্র, স্পন্দিত, নাকি টানটান ভাব?
- ব্যথা কি দীর্ঘস্থায়ী, নাকি নিয়মিত আসে?
- ব্যথার সাথে কি অন্য কোন উপসর্গ আছে, যেমন বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা?
এরপর:
নিজের যত্ন:
- বিশ্রাম: শান্ত পরিবেশে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন।
- ঠান্ডা সেঁক: ব্যথার স্থানে ঠান্ডা সেঁক ব্যবহার করুন।
- ব্যথার ঔষধ: প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথার ঔষধ খেতে পারেন।
- জল পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- মাথার ব্যায়াম: কিছু হালকা মাথার ব্যায়াম ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিছু ঘরোয়া উপায়:
পেঁয়াজ: পেঁয়াজের রস ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- যদি ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি ব্যথা নিয়মিত হয়।
- যদি ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কম না হয়।
ডাক্তারের কাছে গেলে:
- ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন।
- প্রয়োজনে ডাক্তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন, যেমন এক্স-রে, এমআরআই, বা সিটি স্ক্যান।
- ব্যথার কারণ নির্ণয়ের পর ডাক্তার উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।
কিছু টিপস:
- পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তাই প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম মাথাব্যথার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মাথাব্যথার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ: ধূমপান ও মদ্যপান মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তাই ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা উচিত।
মাথার পিছনে ব্যথা হওয়ার কারণ
মাথার পিছনে ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
মাথাব্যথা:
- টেনশন হেডেক: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা। এটি মাথার চারপাশে একটি টাইট ব্যান্ডের মতো অনুভূত হয়।
- মাইগ্রেন: এটি তীব্র, স্পন্দিত মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একপাশে হয়। এটি বমি বমি ভাব, বমি এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার সাথে হতে পারে।
- ক্লাস্টার হেডেক: এটি তীব্র, স্পন্দিত মাথাব্যথা যা মাথার একপাশে হয়। এটি সাধারণত চোখের পিছনে বা কপালে হয়।
সাইনাস সংক্রমণ:
সাইনাসাইটিস: এটি সাইনাসের প্রদাহ, যা মুখের হাড়ের ভিতরে অবস্থিত বায়ু-পূর্ণ পকেট। এটি মাথার পিছনে, মুখে এবং কপালে ব্যথা হতে পারে।
চোখের সমস্যা:
- চোখের পেশীর টান: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন টাইম বা বিরতি ছাড়া পড়ার ফলে চোখের পেশী টান পেতে পারে। এটি মাথার পিছনে, চোখের পিছনে এবং কপালে ব্যথা হতে পারে।
আরো পড়ুন:ব্রেন টিউমার কেন হয়?ব্রেন টিউমার হলে করণীয় জেনে নিন।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- যদি ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বা দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি ব্যথা নিয়মিত হয়।
চিকিৎসা:
মাথার পিছনে ব্যথার চিকিৎসা ব্যথার কারণের উপর নির্ভর করে।
মাথাব্যথা: ব্যথার ঔষধ, ট্রিগার এড়ানো, এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে মাথাব্যথার চিকিৎসা করা
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url