মাথা ব্যাথার ঘরোয়া ঔষধ বানানো শিখুন।
মাথা ব্যথা বেশ যন্ত্রণার একটি বিষয়। দিনভর মাথা ব্যথা নিয়ে কাজ করা বেশ অস্বস্তিকর। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা ৬০ সেকেন্ডে আপনার মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।এই পদ্ধতি আপনি অফিসের ডেস্কে কাজ করার সময়ও করতে পারবেন।
অথবা ভ্রমণে যাওয়ার সময়ও করতে পারবেন। মাথা ব্যাথা দূর করার প্রাথমিক, নিরাপদ এবং বিজ্ঞান সম্মত উপায় এটি। মাথা ব্যাথা সারাতে বেশ কাজে দেবে এটি। তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে আপনাকে।
মাথা ব্যথার ওষুধের নাম
মাথাব্যথার জন্য অনেকগুলি ভিন্ন ওষুধ রয়েছে, এবং আপনার জন্য সেরাটি নির্ভর করবে আপনার মাথাব্যথার ধরণের উপর, সেগুলি কতটা খারাপ এবং আপনার অন্যান্য কোনও চিকিৎসা অবস্থা রয়েছে কিনা।
আরো পড়ুন:মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় বিস্তারিত জানুন।
মাথাব্যথার জন্য সর্বাধিক সাধারণ ওষুধের মধ্যে কয়েকটি হল:
ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) ব্যথানাশক, যেমন অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলেনল), আইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল, মোট্রিন) বা ন্যাপ্রোক্সেন (অ্যালেভ)। এই ওষুধগুলি হালকা থেকে মাঝারি মাথাব্যথার জন্য কার্যকর হতে পারে।
ট্রাইপট্যানস, যেমন সুমাট্রিপ্টান (ইমिट্রেক্স), রিজাত্রিপ্টান (ম্যাক্সাল্ট), এবং জোলমিট্রিপ্টান (জোমيج)। এই ওষুধগুলি মাইগ্রেনের চিকিৎসায় কার্যকর। মাথাব্যথা। এগুলি সাধারণত শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই পাওয়া যায়।
আপনার যদি মাথাব্যথা হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার মাথাব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসা খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
মাথা ব্যাথার খাবার
পানি: ডিহাইড্রেশন মাথাব্যথার একটি সাধারণ কারণ, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। পানি। প্রতিদিন 8 গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন।
ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ভিটামিন থাকে যা মাথাব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। মাগনেসিয়াম, যা মাথাব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ভালো উৎস হল কলা, বাদাম এবং বীজ।
আদা: আদা হল একটি প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী এজেন্ট যা মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি আদা চা পান করতে পারেন, এটিকে খাবারে রান্না করতে পারেন বা এটিকে পরিপূরক হিসাবে নিতে পারেন।
ম্যাগনেসিয়াম: ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মাথাব্যথার সাথে যুক্ত হয়েছে। ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস হল সবুজ শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ। আপনি ম্যাগনেসিয়াম পরিপূরকও নিতে পারেন।
ক্যাফেইন: ক্যাফেইন মাথাব্যথা প্রতিরোধে বা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। ক্যাফেইনের ভালো উৎস হল কফি, চা এবং সোডা।
যদি আপনি মাথাব্যথার জন্য খাবার ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন করতে এবং যেকোনো সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে সচেতন করতে সাহায্য করতে পারে।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যাথা অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে।
মাথাব্যথার কিছু সাধারণ কারণ:
- টেনশন হেডেক: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা। এটি মাথার চারপাশে চাপ বা ভারী ভাব অনুভূত হয়।
- মাইগ্রেন: এটি একটি তীব্র মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একদিকে হয়। এটি বমি বমি ভাব, বমি এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার সাথে হতে পারে।
- সাইনাস হেডেক: এটি সাইনাসের সংক্রমণের কারণে হয়। এটি মুখ, চোখ এবং কপালে ব্যথা অনুভূত হয়।
- ক্লাস্টার হেডেক: এটি একটি তীব্র মাথাব্যথা যা চোখের পিছনে হয়। এটি সাধারণত ঘুমের সময় হয় এবং 15 মিনিট থেকে 3 ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে।
আপনার যদি নিম্নলিখিত কোনো লক্ষণ থাকে তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত:
- তীব্র মাথাব্যথা যা হঠাৎ শুরু হয়
- মাথাব্যথা যা আপনার ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে
- মাথাব্যথা যা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে
- মাথাব্যথা যা জ্বর, ঘাড়ের শক্ততা, বমি বমি ভাব বা বমি
- মাথাব্যথা যা আপনার দৃষ্টি, শ্রবণ বা ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে
- মাথাব্যথা যা আপনাকে দৈনন্দিন কার্যকলাপ করতে বাধা দেয়
আপনার ডাক্তার আপনার মাথাব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসা খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
মাথা ব্যাথার ঘরোয়া ঔষধ
মাথা ব্যাথার কিছু ঘরোয়া ঔষধ:
১. বিশ্রাম:
অন্ধকার, শান্ত ঘরে শুয়ে বিশ্রাম নিলে মাথা ব্যাথা কমতে পারে।
২. পানি পান:
ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যাথার একটি সাধারণ কারণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা মাথা ব্যাথা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন:রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা রসুনের গুণ ভালো করে জানুন
৩. ঠান্ডা সেঁক:
কপালে ঠান্ডা সেঁক দিলে মাথাব্যথা কমতে পারে। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে কপালে রাখুন।
৪. গরম সেঁক:
ঘাড়ে বা কপালে গরম সেঁক দিলেও মাথাব্যথা কমতে পারে। একটি গরম, ভেজা তোয়ালে ব্যবহার করুন।
৫. ম্যাসাজ:
ঘাড়, কাঁধ এবং মাথার ম্যাসাজ মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৬. আদা:
আদা একটি প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী এজেন্ট যা মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। আদা চা পান করতে পারেন, এটিকে খাবারে রান্না করতে পারেন বা এটিকে পরিপূরক হিসাবে নিতে পারেন।
৭. ক্যাফেইন:
ক্যাফেইন মাথাব্যথা প্রতিরোধে বা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। ক্যাফেইনের ভালো উৎস হল কফি, চা এবং সোডা।
৮. ম্যাগনেসিয়াম:
ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মাথাব্যথার সাথে যুক্ত হয়েছে। ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস হল সবুজ শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ। আপনি ম্যাগনেসিয়াম পরিপূরকও নিতে পারেন।
৯. লবঙ্গ:
লবঙ্গের তেল মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। লবঙ্গের তেলের কয়েক ফোঁটা কপালে বা ঘাড়ে লাগান।
১০. পেঁয়াজ:
পেঁয়াজের রস মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। একটি পেঁয়াজ কেটে রস বের করে নিন। একটি কাপড়ে রস ভিজিয়ে কপালে রাখুন।
তীব্র মাথা ব্যাথার ঔষধ
সাধারণ কারণ:
- মাইগ্রেন: এটি একটি তীব্র মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একদিকে হয়। এটি বমি বমি ভাব, বমি এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার সাথে হতে পারে।
- ক্লাস্টার হেডেক: এটি একটি তীব্র মাথাব্যথা যা চোখের পিছনে হয়। এটি সাধারণত ঘুমের সময় হয় এবং 15 মিনিট থেকে 3 ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে।
- সাইনাস হেডেক: এটি সাইনাসের সংক্রমণের কারণে হয়। এটি মুখ, চোখ এবং কপালে ব্যথা অনুভূত হয়।
- মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ: এটি একটি জরুরি অবস্থা যা তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
তীব্র মাথা ব্যাথার চিকিৎসা:
ওষুধ:
- ট্রাইপট্যানস: এগুলি মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের একটি শ্রেণী।
- এর্গোটামিন: এগুলি মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের আরেকটি শ্রেণী।
অন্যান্য চিকিৎসা:
- বিশ্রাম: অন্ধকার, শান্ত ঘরে শুয়ে বিশ্রাম নিলে মাথা ব্যাথা কমতে পারে।
- ঠান্ডা সেঁক: কপালে ঠান্ডা সেঁক দিলে মাথাব্যথা কমতে পারে।
- গরম সেঁক: ঘাড়ে বা কপালে গরম সেঁক দিলেও মাথাব্যথা কমতে পারে।
- ম্যাসাজ: ঘাড়, কাঁধ এবং মাথার ম্যাসাজ মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url