মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার?(৬টি উপায় জানুন)।
আপনার স্মার্টনেস এক মুহূর্তেই নষ্ট করে দিতে পারে খুশকি নামক ছোট্ট একটি সমস্যা। ধরুন, আপনি সেজেগুঁজে তৈরি। পার্টি অথবা ডিনারে যাচ্ছেন। পরিপাটি পোশাক, সুন্দর সাজ। এরপর যখন মাথায় চিরুনি বুলিয়ে নিচ্ছেন তখনই ঘটলো বিপত্তি।
খুশকি নামক বিপদ তখন আপনার ঘাড়ে আর পিঠে ছড়িয়ে পড়েছে। এই খুশকির সমস্যায় নারী এবং পুরুষ উভয়েই ভুগে থাকেন। এটি যে শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করে তাই নয়, এটি মাথার ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর।
মাথার চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চুলকানি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়:
১. নারকেল তেল:
নারকেল তেল মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং চুলকানি কমাতে পারে।
হালকা গরম নারকেল তেল মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন।
৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
২. অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে মাথার ত্বকে লাগান।
৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
৩. লেবুর রস:
লেবুর রস খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলকানি কমাতে পারে।
2 টেবিল চামচ লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান।
10-15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে 1-2 বার ব্যবহার করুন।
৪. বেকিং সোডা:
বেকিং সোডা মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ করতে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
2 টেবিল চামচ বেকিং সোডা শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে মাথায় লাগান।
2-3 মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে 1-2 বার ব্যবহার করুন।
৫. অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার:
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মাথার ত্বকের pH ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চুলকানি কমাতে পারে।
1 অংশ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার 2 অংশ পানিতে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান।
5-10 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে 1-2 বার ব্যবহার করুন।
কিছু টিপস:
- নিয়মিত চুল ধুয়ে ময়লা ও ধুলো পরিষ্কার করুন।
- খুশকি দূর করার জন্য ঔষধি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
- মাথার ত্বক শুষ্ক হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- চুল বেশিক্ষণ ভেজা রাখবেন না।
- চুলের যত্নের জন্য রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।
- চুলকানি যদি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করার উপায়
ঘরোয়া প্রতিকার:
- ঠান্ডা পানি ব্যবহার: গরম পানি মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়, যার ফলে চুলকানি হতে পারে। তাই চুল ধুতে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা উচিত।
- তেল ব্যবহার: নারিকেল তেল, জলপাই তেল, অ্যালোভেরা জেল, টি ট্রি অয়েল, নারকেল দুধ ইত্যাদি মাথার ত্বকে মালিশ করলে চুলকানি কমে।
- লেবুর রস: লেবুর রস মাথার ত্বকের pH ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাজা লেবুর রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললে চুলকানি কমে।
- টক দই: টক দই মাথার ত্বকের চুলকানি ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। টক দই মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললে চুলকানি কমে।
- বেসন: বেসন মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। বেসন, পানি, এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে চুলকানি কমে।
- পুঁই পাতা: পুঁই পাতার রস মাথার ত্বকের চুলকানি ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। পুঁই পাতার রস বের করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেললে চুলকানি কমে।
আরো পড়ুন:পেটের চর্বি কমাতে 10টি সেরা খাবার খেতে হবে?
জীবনধারা পরিবর্তন:
- মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ মাথার ত্বকের চুলকানি বৃদ্ধি করতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ইত্যাদি করতে পারেন।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত গোসল করা এবং চুল পরিষ্কার রাখা মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
- খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, ভিটামিন এ, বি, সি এবং প্রচুর আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মাথার ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- শ্যাম্পু: কিছু শ্যাম্পু মাথার ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি করে চুলকানি হতে পারে। তাই মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
- ঔষধ: চুলকানি তীব্র হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিছু টিপস:
- মাথার ত্বক আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
- চুল শক্ত করে বেঁধে রাখবেন না।
- সূর্যের আলো থেকে মাথার ত
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
ঘরোয়া উপায়:
- নারকেল তেল: নারকেল তেল মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি দূর করতে পারে।
- বেকিং সোডা: বেকিং সোডা মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ করতে এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মাথার ত্বকের pH ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি কমাতে পারে।
চুলের যত্ন:
- নিয়মিত চুল ধুয়ে ময়লা ও ধুলো পরিষ্কার করুন।
- খুশকি দূর করার জন্য ঔষধি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
- মাথার ত্বক শুষ্ক হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- চুল বেশিক্ষণ ভেজা রাখবেন না।
- চুলের যত্নের জন্য রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।
কিছু টিপস:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
- খুশকি যদি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
উল্লেখ্য: উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো সকলের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে। ব্যক্তির ত্বকের ধরণ ও খুশকির তীব্রতার উপর নির্ভর করে এর কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে।
আরো পড়ুন:মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় বিস্তারিত জানুন।
কিছু ঔষধি শ্যাম্পু:
- Head & Shoulders
- Selsun
- Nizoral
- Ketoconazole
কিছু ময়েশ্চারাইজার:
- Cetaphil Moisturizing Cream
- Aquaphor Healing Ointment
- Vaseline Intensive Care Cocoa Butter Lotion
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আশা করি আপনার ছেলের চুলের খুশকি দূর হবে।
লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
কিছু কার্যকরী পদ্ধতি:
লেবুর রস:
২ টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
১০-১৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবু ও মধু:
২ টেবিল চামচ মধুর সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে 20 মিনিট রাখুন।
এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবু ও দই:
২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে 15 মিনিট রাখুন।
এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কিছু টিপস:
সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
লেবু ব্যবহারের পর মাথার ত্বকে শুষ্কতা অনুভব করলে, নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
যদি আপনার মাথার ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে লেবু ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে ত্বকে পরীক্ষা করে নিন।
খুশকি দীর্ঘস্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন:
লেবু ব্যবহারের পর সূর্যের আলোতে বের হবেন না, কারণ এতে ত্বকে রিঅ্যাকশন হতে পারে।
লেবুর রস চোখে পড়লে অবিলম্বে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অন্যান্য উপায়:
খুশকি দূর করতে আপেল সাইডার ভিনেগার, টি ট্রি অয়েল, নারকেল তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত চুল ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে।
মাথায় এলার্জির লক্ষণ
মাথার এলার্জির অনেকগুলি লক্ষণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
মাথায় চুলকানি: এটি মাথার এলার্জির সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। চুলকানি হালকা থেকে তীব্র হতে পারে এবং এটি এতটাই তীব্র হতে পারে যে এটি স্ক্র্যাচিং হতে পারে যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। মাথার ত্বক ফুলে যেতে পারে এবং লাল হতে পারে।
মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি: ফুসকুড়ি হল ছোট, লাল ফোলাভাব যা মাথার ত্বকে হতে পারে। এগুলি চুলকানি হতে পারে এবং কখনও কখনও তরল পদার্থ নিঃসরণ করতে পারে।
মাথার ত্বকে ঘা: ঘাগুলি খোলা ক্ষত যা মাথার ত্বকে তৈরি হতে পারে। এগুলি স্ক্র্যাচিং বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
চুল পড়া: মাথার এলার্জি চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এটি চুলকানি এবং স্ক্র্যাচিংয়ের কারণে হতে পারে, বা এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে যা চুলের গোড়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মাথার ত্বক। এটি শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক বা ছত্রাক সংক্রমণের মতো অন্যান্য ত্বকের অবস্থার কারণে হতে পারে।
আরো পড়ুন:পেটের চর্বি কমাতে 10টি সেরা খাবার খেতে হবে?
আপনার যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি থাকে তবে মাথার এলার্জি নির্ণয় এবং চিকিত্সার জন্য ডাক্তার বা চর্ম বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিত্সার মধ্যে অ্যালার্জেন এড়ানো, ওষুধ এবং ঘরোয়া প্রতিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায়
ঘরোয়া উপায়:
- নারকেল তেল: নারকেল তেল মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি ও চুলকানি কমাতে পারে।
- বেকিং সোডা: বেকিং সোডা মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ করতে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মাথার ত্বকের pH ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং খুশকি ও চুলকানি কমাতে পারে।
চুলের যত্ন:
- নিয়মিত চুল ধুয়ে ময়লা ও ধুলো পরিষ্কার করুন।
- চুল বেশিক্ষণ ভেজা রাখবেন না।
- চুলের যত্নের জন্য রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।
কিছু টিপস:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
- খুশকি ও চুলকানি যদি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
উল্লেখ্য: উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো সকলের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে। ব্যক্তির ত্বকের ধরণ ও খুশকি ও চুলকানির তীব্রতার উপর নির্ভর করে এর কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে।
কিছু ঔষধি শ্যাম্পু:
- Head & Shoulders
- Selsun
- Nizoral
- Ketoconazole
কিছু ময়েশ্চারাইজার:
- Cetaphil Moisturizing Cream
- Aquaphor Healing Ointment
- Vaseline Intensive Care Cocoa Butter Lotion
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আশা করি আপনার মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর হবে।
অন্যান্য উপায়:
- টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী সমৃদ্ধ যা খুশকি ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলী থাকে যা মাথার ত্বককে শান্ত করে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url