চুল গজানোর বিভিন্ন উপায় জানুন।
অনেক লোকেরই কপালটা বেশ বড় হয়।সামনের দিকে চুল ফেলে নতুন রকমের কাট করে অনেকেই চেষ্টা করেন সেটা লুকোতে।কিন্ত এর কোনোটাই তেমন কাজ করে না।অনেকরই কপালের সামনের দিকে চুল কম হয়। চুল কম হওয়ার জন্য কপালটা আরও বড় ও চ্যাপটা লাগে।
যদি উপরোক্ত উপায়গুলো ব্যবহার করেও চুল না গজায়, তাহলে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। চর্ম বিশেষজ্ঞ আপনার চুলের সমস্যার কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।
প্রাকৃতিক উপায়:
মাথার তালুতে চুল গজানোর উপায়
প্রাকৃতিক উপায়:- নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মাথায় নারকেল তেল মালিশ করলে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- আলু: আলুর রস চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আলুর রস মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- মেথি: মেথি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন ব্লেন্ড করে মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- ডিম: ডিম চুলের জন্য খুব ভালো। ডিমের কুসুম মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলুন।
- চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়াবেন না।
- চুলের জন্য ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- চুল রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করুন।
- চুলের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না।
যদি উপরোক্ত উপায়গুলো ব্যবহার করেও চুল না গজায়, তাহলে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। চর্ম বিশেষজ্ঞ আপনার চুলের সমস্যার কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।
আরো পড়ুন:সকালে কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পকে জানুন
কিছু টিপস:- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন।
- চুল গজাতে সময় লাগে।
- ধৈর্য ধরুন এবং নিয়মিত উপরোক্ত উপায়গুলো ব্যবহার করুন।
- চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়
কপালে নতুন চুল গজানোর জন্য বিভিন্ন উপায় আছে।প্রাকৃতিক উপায়:
- তেল ম্যাসাজ: নারকেল তেল, আলমন্ড তেল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল গরম করে কপালে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- মেথি: মেথি ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে স্ক্যাল্পে লাগালে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- ডিম: ডিমের সাদা অংশ চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- ফাইনাস্টারাইড: ফাইনাস্টারাইড একটি ঔষধ যা পুরুষদের চুল পড়া রোধ করে।
- লেজার থেরাপি: লেজার থেরাপি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- চুলের ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন: চুলের ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন একটি স্থায়ী সমাধান যেখানে টাক অংশে অন্য অংশ থেকে চুলের গ্রাফ্ট স্থাপন করা হয়।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
- পর্যাপ্ত ঘুমান: ঘুমের অভাব চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
- স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন: স্ট্রেস চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
- চুলের যত্ন নিন: চুলের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না, নিয়মিত শ্যাম্পু করুন এবং ভালো মানের চিরুনি ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন:গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন
মনে রাখবেন:
- নতুন চুল গজাতে সময় লাগে। ধৈর্য ধরুন এবং নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান।
- সকলের জন্য একই চিকিৎসা কার্যকর নাও হতে পারে। আপনার জন্য কোন চিকিৎসাটি উপযুক্ত তা জানতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ছেলেদের সামনের চুল ঘন করার উপায়
ছেলেদের সামনের চুল ঘন করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে:আরো পড়ুন:খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রাকৃতিক উপায়:
- তেল ম্যাসাজ: নারকেল তেল, আলমন্ড তেল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে লাগালে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- মেথি: মেথি ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে স্ক্যাল্পে লাগালে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- ডিম: ডিমের সাদা অংশ স্ক্যাল্পে লাগালে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- ফাইনাস্টারাইড: ফাইনাস্টারাইড একটি ঔষধ যা পুরুষদের চুল পড়া রোধ করে।
- লেজার থেরাপি: লেজার থেরাপি স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- চুলের ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন: চুলের ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন একটি স্থায়ী সমাধান যেখানে টাক অংশে অন্য অংশ থেকে চুলের গ্রাফ্ট স্থাপন করা হয়।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
- পর্যাপ্ত ঘুমান: ঘুমের অভাব চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
- স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন: স্ট্রেস চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
- চুলের যত্ন নিন: চুলের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না, নিয়মিত শ্যাম্পু করুন এবং ভালো মানের চিরুনি ব্যবহার করুন।
- নতুন চুল গজাতে সময় লাগে। ধৈর্য ধরুন এবং নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান।
- সকলের জন্য একই চিকিৎসা কার্যকর নাও হতে পারে। আপনার জন্য কোন চিকিৎসাটি উপযুক্ত তা জানতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- হেয়ার স্টাইল: সামনের চুল লম্বা রাখলে ঘন দেখায়।
- হেয়ার প্রোডাক্ট: ভালো মানের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
- হেয়ার স্টুডিও: একজন ভালো হেয়ার স্টাইলিস্টের পরামর্শ নিন।
প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়
কিছু প্রাকৃতিক উপাদান নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।- তেল: নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, রোজমেরি অয়েল গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে লাগালে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- মেথি: মেথি ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে স্ক্যাল্পে লাগালে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
- ডিম: ডিমের সাদা অংশ স্ক্যাল্পে লাগালে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- পেঁপে: পেঁপেতে থাকা পেপেইন এনজাইম চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- অ্যামলা: অ্যামলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- কালো জিরা: কালো জিরা ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে স্ক্যাল্পে লাগালে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
আরো পড়ুন:রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা রসুনের গুণ ভালো করে জানুন
কিছু টিপস:
তবে, কিছু লোকের চুল তাদের 60, 70, এমনকি 80 বছর বয়স পর্যন্তও গজাতে থাকে। এটি তাদের জিন, স্বাস্থ্য, এবং চুলের যত্নের উপর নির্ভর করে।
চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হলে নতুন চুল গজানোর কোন উপায় নেই। তবে, চুল পড়া রোধ করতে এবং বিদ্যমান চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
- নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলুন।
- চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়াবেন না।
- চুলের জন্য ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- চুল রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করুন।
- চুলের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন।
- চুল গজাতে সময় লাগে।
- ধৈর্য ধরুন এবং নিয়মিত উপরোক্ত উপায়গুলো ব্যবহার করুন।
- চুলের সমস্যা গুরুতর হলে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়
মানুষের চুল গজানোর সময়কাল নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর, যেমন:- বংশগতি: আপনার বাবা-মায়ের চুল কত বছর বয়স পর্যন্ত গজিয়েছিল তা আপনার চুলের বৃদ্ধির সময়কাল নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
- হরমোন: হরমোনের পরিবর্তন, যেমন গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, বা থাইরয়েড সমস্যার কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।
- পুষ্টি: পুষ্টির ঘাটতি, যেমন আয়রন, ভিটামিন ডি, বা প্রোটিনের ঘাটতি চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
- চুলের যত্ন: চুলের উপর অতিরিক্ত চাপ, গরম সরঞ্জাম ব্যবহার, বা রাসায়নিক চিকিৎসার কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।
- রোগ: কিছু রোগ, যেমন অ্যালোপেসিয়া areata, ক্যান্সার, বা lupus চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
তবে, কিছু লোকের চুল তাদের 60, 70, এমনকি 80 বছর বয়স পর্যন্তও গজাতে থাকে। এটি তাদের জিন, স্বাস্থ্য, এবং চুলের যত্নের উপর নির্ভর করে।
চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হলে নতুন চুল গজানোর কোন উপায় নেই। তবে, চুল পড়া রোধ করতে এবং বিদ্যমান চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
আরো পড়ুন:পেটের চর্বি কমাতে 10টি সেরা খাবার খেতে হবে?
চুল পড়া রোধ করার জন্য কিছু টিপস:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন।
- চুলের যত্ন নিন।
- নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলুন।
- চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়াবেন না।
- চুলের জন্য ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- চুল রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করুন।
- চুলের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url