গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন

পেটের সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে ধীরে ধীরে আমাদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। এ কারণে অনেকেই বদহজম, অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন রকম পেটের সমস্যায় ভোগেন।

গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন (৫মিনিটে)।

গ্যাসের সমস্যার কারণে পেট অনেক সময় ফুলে থাকে। এর মানে হলো অন্ত্র ও পেটে গ্যাস জমা হয়েছে। বাইরে থেকে বিভিন্ন রকমের ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া, মদ্যপান করা ও ধূমপানের কারণেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে।

পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম

আরো পড়ুন:পেটে বুট বুট করলে করনীয় কি? এমন সময় কি করবেন।

পবনমুক্তাসন:

  • পবনমুক্তাসন পেটের পেশীগুলোকে টানটান করে এবং গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে।
  • প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় ১০-১৫ বার এই আসন করলে উপকার পাওয়া যাবে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম:

  • প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট ধরে অনুলােম-বিলোম, ভ্রমরি প্রণayama, বা কপালভাঁতি করলে উপকার পাওয়া যাবে।

অন্যান্য ব্যায়াম:

  • পেটের ম্যাসাজ: খাবার পরে হালকাভাবে পেটের ম্যাসাজ করলে হজম উন্নত হয় এবং গ্যাস কমে।
  • হাঁটু মুড়ে বসা: এই ভঙ্গিতে বসলে পেটের উপর চাপ পড়ে এবং গ্যাস বেরিয়ে আসে।

কিছু টিপস:

  • দ্রুত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান।
  • কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন।
  • গ্যাস তৈরি করে এমন খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

গ্যাসের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক মানুষই নিয়মিত ভোগ করে থাকেন। পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, বুক জ্বালা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।

আরো পড়ুন:গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:

  • ছোট ছোট করে বারবার খাবার খান: একবারে অনেক খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ছোট ছোট করে বারবার খাবার খান। এতে হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং গ্যাসের সমস্যা কম হবে।
  • ধীরে ধীরে খাবার চিবিয়ে খান: খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
  • গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন: কিছু খাবার গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। যেমন,
  • পেঁয়াজ
  • রসুন
  • ব্রকলি
  • ফুলকপি
  • কফি
  • কার্বোনেটেড পানীয়
  • অ্যালকোহল
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
  • শাকসবজি
  • ফলমূল
  • ওটমিল
  • বাদাম
  • আদা চা
  • আদার রস
  • জিরা খান: জিরা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেটে গ্যাস জমা হওয়া রোধ করে।
  • জিরা পানি
  • জিরা গুঁড়ো
  • পুদিনা চা
  • পুদিনা পানি
  • এলাচ খান: এলাচ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেটে গ্যাস জমা হওয়া রোধ করে।
  • এলাচ চা
  • এলাচ গুঁড়ো
  • মৌরি খান: মৌরি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেটে গ্যাস জমা হওয়া রোধ করে।
  • মৌরির পানি
অন্যান্য:
গরম পানিতে গোসল করুন: গরম পানিতে গোসল করলে পেটের পেশীগুলো শিথিল হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কম

পেটের গ্যাস বের করার খাবার

এখানে কিছু খাবার রয়েছে যা গ্যাস পাস করতে সাহায্য করতে পারে:

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ফাইবার হজমতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি নিয়মিততা প্রচার করতে সহায়তা করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য।

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার। প্রোবায়োটিক হল জীবন্ত সূক্ষ্মজীব যা আপনার অন্ত্রের জন্য উপকারী হতে পারে

আরো পড়ুন:কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

পানি। পানি হাইড্রেটেড থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি নিয়মিততা প্রচার করতেও সহায়তা করতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার অন্ত্রকে নিয়মিত রাখতে সহায়তা করতে পারে।

এখানে কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যা গ্যাস পাস করতে সহায়তা করতে পারে:
আদা।আদা হল একটি হজম সহায়ক যা পেট খারাপ এবং গ্যাসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি গ্যাস তৈরি করে এমন ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও বাধা দিতে পারে।

পুদিনা। পুদিনা হল আরেকটি হজম সহায়ক যা পেট খারাপ এবং গ্যাসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে যা গ্যাস আটকে রাখতে পারে।

ক্যামোমিল। ক্যামোমিল একটি ভেষজ চা যা পেট খারাপ এবং গ্যাসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা গ্যাসের কারণে ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে।

সয়া সস। সয়া সসে লবণ থাকে, যা পানি টেনে বের করতে সাহায্য করতে পারে এবং ফোলাভাব কমাতে পারে। এতে প্রোবায়োটিকও রয়েছে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।

পেঁপে। পেঁপেতে পেপেইন থাকে, এমন একটি এনজাইম যা প্রোটিন হজম করতে সহায়তা করে। এটি গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে।

আপনি যদি গ্যাস অনুভব করেন তবে আপনার ডায়েট থেকে কিছু খাবার এড়াতে সাহায্য করতে পারে:
কার্বোনেটেড পানীয়। কার্বোনেটেড পানীয়গুলিতে গ্যাস থাকে যা আপনার পেটে তৈরি হতে পারে।
ফ্যাটি খাবার। চর্বিযুক্ত খাবার হজম

চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়

চিরতরে গ্যাস দূর করার কোন একক উপায় নেই, তবে কিছু পদক্ষেপ রয়েছে যা আপনি গ্যাসের লক্ষণগুলি কমাতে এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারেন:

জীবনধারা পরিবর্তন:

  • ধীরে ধীরে খান এবং ভালোভাবে চিবান: দ্রুত খাওয়া বাতাস গিলে ফেলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা গ্যাসের কারণ হতে পারে।
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ হজমের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে গ্যাস।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব হজমের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন: অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন হজমতন্ত্রকে বিরক্ত করতে পারে এবং গ্যাসের buildup বাড়িয়ে দিতে পারে।

খাদ্যতালিকা পরিবর্তন:

  • গ্যাস-উৎপাদনকারী খাবার এড়িয়ে চলুন: কিছু খাবার গ্যাসের buildup বাড়িয়ে দিতে পারে, যেমন:
  • কার্বোনেটেড পানীয়
  • দুগ্ধজাত খাবার
  • ক্রুসিফেরাস শাকসবজি (যেমন ব্রকলি, ফুলকপি)
  • শর্করাযুক্ত খাবার
  • চর্বিযুক্ত খাবার
  • মসলাযুক্ত খাবার
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ফাইবার হজম উন্নত করতে এবং নিয়মিততা প্রচার করতে সাহায্য করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে:
  • ফল
  • শাকসবজি
  • গোটা শস্য
  • প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খান: প্রোবায়োটিক হল জীবন্ত সূক্ষ্মজীব যা আপনার অন্ত্রের জন্য উপকারী হতে পারে। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে:
  • দই
  • কেফির
  • সয়রকিউর
ওষুধ:

কিছু ক্ষেত্রে, আপনার ডাক্তার গ্যাসের লক্ষণগুলি উপশম করতে ওষুধ লিখে দিতে পারেন।
আরো পড়ুন:ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
আপনার যদি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী গ্যাসের সমস্যা হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

মনে রাখবেন, চিরতরে গ্যাস দূর করার কোন একক উপায় নেই। তবে, জীবনধারা এবং খাদ্যতালিকা পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি গ্যাসের লক্ষণগুলি কমাতে এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারেন।

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না

সকালে গ্যাসের সমস্যা এড়াতে, আপনার এমন খাবার খাওয়া উচিত যা হজম করা সহজ এবং গ্যাস তৈরি করে না।

কিছু ভালো বিকল্প:

  • ঈষদুষ্ণ জল: সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল পান করুন। এটি হজম প্রক্রিয়া শুরু করতে এবং পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
  • দই: টক দই হজমের জন্য খুব ভালো। এতে থাকা প্রোবায়োটিকস পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • ফল: সকালের নাস্তায় আপেল, কলা, বা পেঁপে খেতে পারেন। এগুলো হজম করা সহজ এবং গ্যাস তৈরি করে না।
  • ওটমিল: ওটমিল ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম উন্নত করতে এবং নিয়মিততা প্রচার করতে সাহায্য করে।
  • সবজি: সবজি হজমের জন্য ভালো। সকালের নাস্তায় পালং শাক, শসা, বা টমেটো খেতে পারেন।
  • বাদাম: বাদাম ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। সকালের নাস্তায় কয়েকটি কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, বা পেস্তা খেতে পারেন।
  • এছাড়াও, কিছু বিষয় মনে রাখতে পারেন:
  • খাবার ধীরে ধীরে খান এবং ভালোভাবে চিবান।
  • খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন।
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।

কিছু খাবার সকালে এড়িয়ে চলা উচিত:

  • চর্বিযুক্ত খাবার
  • মসলাযুক্ত খাবার
  • কার্বোনেটেড পানীয়
  • দুগ্ধজাত খাবার
  • ক্রুসিফেরাস শাকসবজি (যেমন ব্রকলি, ফুলকপি)
মনে রাখবেন, প্রত্যেকের শরীর ভিন্ন। আপনার জন্য কোন খাবার ভালো কাজ করবে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

যদি আপনার তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী গ্যাসের সমস্যা হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন:গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর কিছু উপায়:

শারীরিক অবস্থান পরিবর্তন:

পেট ম্যাসাজ: হালকাভাবে পেট ম্যাসাজ করলে গ্যাস বের হতে সাহায্য করে।
ঘुटनों को छाती से सटाना: এই অবস্থানে থাকলে পেটের উপর চাপ পড়ে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে।

খাদ্য ও পানীয়:

  • আদা: আদা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। আদা চা, আদার রস, বা আদা কুচি খেতে পারেন।
  • জিরা: জিরা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। জিরা পানি, জিরা গুঁড়ো, বা জিরা ভেজে খেতে পারেন।
  • পুদিনা: পুদিনা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। পুদিনা চা, পুদিনা পানি, বা পুদিনা পাতা খেতে পারেন।
  • এলাচ: এলাচ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। এলাচ চা, এলাচ গুঁড়ো, বা এলাচ খেতে পারেন।
  • মৌরি: মৌরি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। মৌরি ভেজানো পানি খেতে পারেন।
  • কলা: কলা হজম করা সহজ এবং পেটের জন্য ভালো।

ওষুধ:

  • গ্যাসের ওষুধ: বাজারে বিভিন্ন ধরণের গ্যাসের ওষুধ পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন।

অন্যান্য:

  • ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান পেটের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ধূমপান ত্যাগ করা উচিত।
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ পেটের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

আরো পড়ুন:হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।

মনে রাখবেন, দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর কোন একক উপায় নেই। উপরে উল্লেখিত উপায়গুলোর মধ্যে আপনার জন্য কোনটি ভালো কাজ করবে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

যদি আপনার তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী গ্যাসের সমস্যা হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url