মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় বিস্তারিত জানুন।

গর্ভধারণের প্রথম মাসে গর্ভবতী হওয়ার তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই এসময়ে লক্ষণের ভিত্তিতে গর্ভাবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া বেশ কঠিন। এই অবস্থায় আপনি গর্ভধারণ করেছেন কি না সেটি জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। এসব পরীক্ষাকে ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ বলা হয়।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় বিস্তারিত জানুন।

সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে

সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর:

১. ডিম্বাণু নিষিক্তকরণ:

আরো পড়ুন:গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন

সাধারণত, সহবাসের পর 12 থেকে 24 ঘন্টার মধ্যে ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়।

২. শুক্রাণুর জীবদ্দশা:

শুক্রাণু নারীর জরায়ুতে 5 দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

৩. মাসিক চক্র:

নারীর মাসিক চক্রের 14 তম দিনের কাছাকাছি সময়ে ডিম্বাণু নির্গত হয়।

৪. অন্যান্য বিষয়:

নারীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং প্রজনন ক্ষমতা
পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান
জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপ

গর্ভধারণের লক্ষণ:

  • মাসিক বন্ধ হওয়া
  • স্তনবৃন্তে কোমলতা এবং ব্যথা
  • বমি বমি ভাব
  • ক্লান্তি
  • মাথাব্যথা
  • মেজাজ পরিবর্তন

গর্ভধারণ পরীক্ষা:

  • আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • বিভিন্ন স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট এবং বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
মনে রাখবেন:
  • গর্ভধারণের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করা কঠিন।
  • উর্বর সময়ের মধ্যে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গর্ভধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মিলনের কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়

মিলনের কতদিন পর মাসিক বন্ধ হবে তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর:

১. ডিম্বাণু নিষিক্তকরণ:

মিলনের পর ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে, গর্ভধারণ ঘটে।
গর্ভধারণের পর, হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

২. মাসিক চক্র:

নারীর মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য বিভিন্ন হতে পারে।
28 দিনের মাসিক চক্রের ক্ষেত্রে, 14 তম দিনের কাছাকাছি সময়ে ডিম্বাণু নির্গত হয়।
ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার পর 14 দিনের মধ্যে মাসিক শুরু হয়।
যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে মাসিক শুরু হয়।

৩. অন্যান্য বিষয়:

নারীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং প্রজনন ক্ষমতা
জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপ

আরো পড়ুন:ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

সারসংক্ষেপে, মিলনের 10 থেকে 14 দিন পর গর্ভধারণ হলে মাসিক বন্ধ হবে।

মাসিক বন্ধ না হওয়ার কারণ:
  • গর্ভধারণ না হওয়া
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
  • থাইরয়েড সমস্যা
  • স্ট্রেস
  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাসিক বন্ধ না হলে:
  • গর্ভধারণ পরীক্ষা করে দেখুন
  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন
মনে রাখবেন:
  • প্রতিটি নারীর শরীর ভিন্ন।
  • মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় সকলের জন্য একই রকম নয়।
  • নিয়মিত মাসিক না হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার পর প্রেগন্যান্ট বোঝার কয়েকটি উপায় আছে:

1. প্রেগন্যান্সি টেস্ট:

মাসিক মিস হওয়ার 10-14 দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে সবচেয়ে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।
প্রস্রাব বা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায়।
বাজারে বিভিন্ন ধরণের প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট পাওয়া যায়, যা ঘরে বসেই ব্যবহার করা যায়।

2. গর্ভধারণের লক্ষণ:

  • বমি বমি ভাব, বমি
  • স্তনের আকার বৃদ্ধি, স্পর্শে ব্যথা
  • ক্লান্তি, দুর্বলতা
  • মেজাজ পরিবর্তন
  • বারবার প্রস্রাবের ইচ্ছা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • হালকা রক্তপাত (ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং)

3. ডাক্তারের পরামর্শ:

মাসিক মিস হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা বা আল্ট্রাসাউন্ড করবেন।

আরো পড়ুন:কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

মনে রাখবেন:
  • প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলো সকলের জন্য একই রকম নাও হতে পারে।
  • কিছু নারীর কোন লক্ষণই নাও দেখা দিতে পারে।
  • মাসিক মিস হলেই প্রেগন্যান্ট নাও হতে পারে।
  • নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগন্যান্সি টেস্ট বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কিছু টিপস:
  • নিয়মিত মাসিক চক্র রাখার চেষ্টা করুন।
  • গর্ভধারণের জন্য অনুকূল সময় সম্পর্কে জেনে নিন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • ধূমপান, মদ্যপান এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর:

১. ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময়:

সাধারণত, মাসিক চক্রের 14 তম দিনের কাছাকাছি সময়ে ডিম্বাণু নির্গত হয়।
ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার পর 12 থেকে 24 ঘন্টার মধ্যে নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. শুক্রাণুর জীবদ্দশা:

শুক্রাণু নারীর জরায়ুতে 5 দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
অর্থাৎ, মাসিকের 10 তম দিনের আগে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।

৩. মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য:

নারীর মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য বিভিন্ন হতে পারে।
28 দিনের চক্রের ক্ষেত্রে, 10 তম দিনের আগে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।
তবে, 35 দিনের চক্রের ক্ষেত্রে, 14 তম দিনের আগে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।

৪. অন্যান্য বিষয়:

নারীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং প্রজনন ক্ষমতা
পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান
জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপ

আরো পড়ুন:টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা জেনে রাখুন?

মনে রাখবেন:
গর্ভধারণের সম্ভাবনা নির্ধারণ করা কঠিন।
সর্বোত্তম উপায় হলো, ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময় সম্পর্কে জেনে নিয়ে সেই সময়ের বাইরে সহবাস করা।
ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময় জানার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, যেমন ওভুলেশন টেস্ট কিট, বেসাল বডি টেম্পারেচার ট্র্যাকিং ইত্যাদি।

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয়

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর:

১. ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময়:

সাধারণত, মাসিক চক্রের 14 তম দিনের কাছাকাছি সময়ে ডিম্বাণু নির্গত হয়।
ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার পর 12 থেকে 24 ঘন্টার মধ্যে নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. শুক্রাণুর জীবদ্দশা:

শুক্রাণু নারীর জরায়ুতে 5 দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
অর্থাৎ, মাসিকের 10 তম দিন থেকে 14 তম দিনের মধ্যে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

৩. মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য:

নারীর মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য বিভিন্ন হতে পারে।
28 দিনের চক্রের ক্ষেত্রে, 10 তম দিন থেকে 14 তম দিনের মধ্যে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
তবে, 35 দিনের চক্রের ক্ষেত্রে, 14 তম দিন থেকে 18 তম দিনের মধ্যে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

৪. অন্যান্য বিষয়:

নারীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং প্রজনন ক্ষমতা
পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান
জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপ

আরো পড়ুন:বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ জেনে রাখুন

সারসংক্ষেপে, মাসিকের 10 তম দিন থেকে 14 তম দিনের মধ্যে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

উর্বর সময় নির্ধারণের বিভিন্ন পদ্ধতি:
ওভুলেশন টেস্ট কিট: এটি প্রস্রাবে LH হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময় নির্ধারণ করে।
বেসাল বডি টেম্পারেচার ট্র্যাকিং: প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখের তাপমাত্রা নিয়ে তা রেকর্ড করার মাধ্যমে ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময় নির্ধারণ করা যায়।
সারভিকাল মিউকাস পর্যবেক্ষণ: ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময় সারভিকাল মিউকাস পাতলা, স্বচ্ছ এবং স্লিপারি হয়ে যায়।

মনে রাখবেন:
প্রতিটি নারীর শরীর ভিন্ন।
উর্বর সময় সকলের জন্য একই রকম নাও হতে পারে।
গর্ভধারণের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করা কঠিন।
নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

সহবাসের কতদিন পর বমি হয়

সহবাসের কতদিন পর বমি হবে তা নির্ভর করে বমির কারণের উপর।

গর্ভধারণের কারণে বমি:

গর্ভধারণের 6-8 সপ্তাহ পর বমি বমি ভাব এবং বমি শুরু হতে পারে।
এটি "মর্নিং সিকনেস" নামে পরিচিত, তবে এটি দিনের যেকোনো সময় হতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই বমি ভাব হয়।

অন্যান্য কারণে বমি:

খাদ্য বিষক্রিয়া, পেট খারাপ, বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে সহবাসের কয়েক ঘন্টা পর বমি হতে পারে।
গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর কারণেও বমি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, বা থাইরয়েড সমস্যার কারণেও বমি হতে পারে।

কখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন:
যদি সহবাসের পর তীব্র বমি, ডায়রিয়া, জ্বর, বা পেটে তীব্র ব্যথা হয়।
যদি বমি বমি ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ওজন কমে যায়।
যদি গর্ভবতী হন এবং তীব্র বমি বমি ভাব হয়।

আরো পড়ুন:কাঠ বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জাজুন

মনে রাখবেন:
সকলের শরীর ভিন্ন।
সহবাসের পর বমি হওয়া সকলের জন্য একই রকম নাও হতে পারে।
বমির কারণ নির্ধারণ করা কঠিন।
নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url