মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির ৫ টি উপায় জেনে নিন।
অনেক কারণেই মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে। রক্তের চাপ কমে যাওয়া, হার্টের কার্যক্রমে সমস্যা, রক্তস্বল্পতা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হিটস্ট্রোক, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাইগ্রেন, উদ্বেগজনিত সমস্যা, মাথায় আঘাত ইত্যাদি কারণে মাথা ঘুরতে পারে।
মাথা ঘোরার ঔষধের নাম কি
মাথা ঘোরার জন্য অনেকগুলি বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে, এবং আপনার জন্য সঠিকটি আপনার মাথা ঘোরার কারণের উপর নির্ভর করবে। মাথা ঘোরার কিছু সাধারণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
আরো পড়ুন:মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও কি ওষুধ খাবেন বিস্তারিত জানুন।
অ্যান্টিহিস্টামাইন যেমন ডাইমেনহাইড্রিনেট (ড্রামামিন) এবং মেকলিজিন (অ্যান্টাইভার্ট) বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা উপশম করতে সহায়তা করে। এগুলি গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের জন্যও সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়।
এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকা লোকদের জন্য। এগুলি মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এগুলি তন্দ্রা সহ অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার যেমন সিনারিজিন ( ট্রানকোপাল) এবং নিফেডিয়াইন (প্রোকারডিয়া) ভেস্টিবুলার সমস্যায় মাথা ঘোরা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এগুলি উচ্চ রক্তচাপেও ব্যবহৃত হয়।
মাইগ্রেনের ওষুধ যেমন ট্রিপটানস (যেমন সুমাত্রিপটান (ইমট্রেক্স) এবং রিজাত্রিপটান (ম্যাক্সাল্ট)) এবং ergotamines (যেমন ergotamine এবং dihydroergotamine) মাইগ্রেনের কারণে মাথা ঘোরা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এগুলি অন্যান্য ধরণের মাথা ঘোরা চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যান্টিকনভালসেন্ট যেমন গ্যাবাপেন্টিন (নিউরোনটিন) এবং টপিরামেট (টোপাম্যাক্স) ভেস্টিবুলার সমস্যা এবং মাইগ্রেনের কারণে মাথা ঘোরা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এগুলি উদ্বেগ এবং অনিদ্রার চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।
আপনার যদি মাথা ঘোরে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা কারণ নির্ণয় করতে পারে এবং আপনার জন্য সঠিক চিকিত্সা নির্ধারণ করতে পারে। স্ব-চিকিত্সা বিপজ্জনক হতে পারে, তাই যখন আপনি মাথা ঘোরা বা অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হন তখন একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা সর্বদা সর্বোত্তম পদক্ষেপ।
মাথা ঘোরা ও বমি কিসের লক্ষণ
মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব বিভিন্ন জিনিসের লক্ষণ হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
গতি অসুস্থতা গাড়ি, ট্রেন, বিমান বা জাহাজে ভ্রমণের সময় হতে পারে। অভ্যন্তরীণ কান, চোখ এবং মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কের মিশ্র সংকেতগুলির কারণে এটি ঘটে। গতি সম্পর্কে।
মেনিয়ারের রোগ এটি অভ্যন্তরীণ কানের একটি অবস্থা যা ভারসাম্য এবং শ্রবণকে প্রভাবিত করে। এটি মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, শ্রবণশক্তি হ্রাস এবং কানে পূর্ণতার অনুভূতির কারণ হতে পারে।
ভেস্টিবুলার নিউরোনাইটিস এটি অভ্যন্তরীণ কানের একটি নার্ভের প্রদাহ যা ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হঠাৎ, তীব্র মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে।
মাথা ব্যাথা মাথা ব্যাথার অনেকগুলি ধরণ রয়েছে এবং এর মধ্যে কিছু মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে মাইগ্রেন, টেনশন হেডেচ এবং ক্লাস্টার হেডেচ।
মস্তিষ্কের টিউমার মস্তিষ্কের টিউমার বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা এবং দৃষ্টি পরিবর্তন।
স্ট্রোক স্ট্রোক ঘটে যখন মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। এটি মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা এবং বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে।
ঔষধ কিছু ওষুধ মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাবের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট।
আপনি যদি মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব অনুভব করেন তবে অন্তর্নিহিত কারণ নির্ধারণের জন্য একজন ডাক্তারকে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ক্ষেত্রে, চিকিত্সা প্রয়োজন হতে পারে।
মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায়
মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায় নির্ভর করে এর কারণের উপর।
কিছু সাধারণ উপায়
- হাইড্রেটেড থাকুন: পানিশূন্যতা মাথা ঘুরানোর একটি সাধারণ কারণ। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, বিশেষ করে যদি আপনি গরমের দিনে বাইরে থাকেন বা ব্যায়াম করেন।
- আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে। আপনার রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে ওষুধ খান।
- আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন: নিম্ন রক্তে শর্করার মাত্রা মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে। আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে খাবার বা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুমান: ঘুমের অভাব মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে। প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে।
- ধীরে ধীরে অবস্থান পরিবর্তন করুন: দ্রুত বসা, দাঁড়ানো বা শুয়ে পড়া মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে অবস্থান পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।
- মানসিক চাপ কমাতে শিখুন: মানসিক চাপ মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করুন।
কিছু নির্দিষ্ট কারণের জন্য:
- গতি অসুস্থতা: গতি অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে, ভ্রমণের আগে হালকা খাবার খান, অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন, এবং গাড়ির সামনের দিকে তাকান।
- মেনিয়ারের রোগ: মেনিয়ারের রোগের চিকিৎসার জন্য, আপনার ডাক্তার ওষুধ, ডায়েট এবং জীবনধারার পরিবর্তনগুলি সুপারিশ করতে পারেন।
- ভেস্টিবুলার নিউরোনাইটিস: ভেস্টিবুলার নিউরোনাইটিসের চিকিৎসার জন্য, আপনার ডাক্তার ওষুধ এবং ভেস্টিবুলার পুনর্বাসনের সুপারিশ করতে পারেন।
- মাথা ব্যাথা: মাথা ব্যাথার চিকিৎসার জন্য, আপনার ডাক্তার ওষুধ, ঠান্ডা সেঁক এবং জীবনধারার পরিবর্তনগুলি সুপারিশ করতে পারেন।
যদি আপনার মাথা ঘোরা তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য উপসর্গের সাথে থাকে, তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ
হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।
কিছু সাধারণ কারণ:
- অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন: দ্রুত বসা বা দাঁড়ানোর ফলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে মাথা চক্কর দিতে পারে।
- ডিহাইড্রেশন: পানিশূন্যতা মাথা চক্কর দেওয়ার একটি সাধারণ কারণ।
- রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া: ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে মাথা চক্কর দিতে পারে।
- কানের সমস্যা: অভ্যন্তরীণ কানের সমস্যা, যেমন ভেস্টিবুলার নিউরোনাইটিস বা মেনিয়ারের রোগ, মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ হতে পারে।
- মস্তিষ্কের সমস্যা: স্ট্রোক, টিউমার, বা মস্তিষ্কের রক্তনালির সমস্যা মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ হতে পারে।
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মাথা চক্কর দিতে পারে।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ হতে পারে।
- ঘুমের অভাব: ঘুমের অভাব মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ হতে পারে।
কিছু নির্দিষ্ট কারণ:
গতি অসুস্থতা: গাড়ি, ট্রেন, বিমান বা জাহাজে ভ্রমণের সময় মাথা চক্কর দিতে পারে।
মাইগ্রেন: মাইগ্রেনের সময় মাথা চক্কর দিতে পারে।
যদি আপনার হঠাৎ মাথা চক্কর দেয়, তবে:
- বসে বা শুয়ে পড়ুন: মাথা ঘুরানো কমাতে বসে বা শুয়ে পড়া সাহায্য করতে পারে।
- পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন মাথা ঘুরানোর একটি সাধারণ কারণ, তাই পানি পান করা সাহায্য করতে পারে।
- আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন: যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তবে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয় খান।
- আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন: যদি আপনার হঠাৎ মাথা চক্কর দেয় এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য উপসর্গের সাথে থাকে, তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
মনে রাখবেন, এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ উদ্দেশ্যে এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। আপনার যদি মাথা ঘুরানোর সমস্যা হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত
হঠাৎ মাথা ঘুরলে, আপনার নিরাপত্তার জন্য এবং সমস্যার কারণ নির্ণয়ের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
প্রথমত:
- নিজেকে নিরাপদে রাখুন: যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে বসে বা শুয়ে পড়ুন। ধাক্কা খাওয়া বা পড়ে যাওয়া এড়াতে আপনার পাশে কাউকে ধরতে বলুন।
- শান্ত থাকার চেষ্টা করুন: দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বা আতঙ্কিত হওয়া মাথা ঘুরানো আরও খারাপ করতে পারে।
- পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন: চারপাশে কি আছে তা বুঝতে চেষ্টা করুন এবং আপনার ভারসাম্য হারালে ধাক্কা খাওয়া এড়াতে সাবধান থাকুন।
কিছুক্ষণ পরে:
পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন মাথা ঘুরানোর একটি সাধারণ কারণ।
আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন: যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তবে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয় খান।
আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন:
যদি আপনার মাথা ঘুরানো তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য উপসর্গের সাথে থাকে, যেমন বমি বমি ভাব, বমি, চোখে ঝাপসা দেখা, বা দুর্বলতা, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
যদি আপনার মাথা ঘুরানো বারবার হয়, তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
কিছু ঘরোয়া উপায়:
- মাথা ঠান্ডা করুন: ঠান্ডা কাপড় বা বরফের টুকরো মাথায় রাখলে মাথা ঘুরানো কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ভেষজ চা পান করুন: আদা, পুদিনা, বা লেবু বামের মতো ভেষজ চা মাথা ঘুরানো কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- হালকা খাবার খান: ভারী খাবার মাথা ঘুরানো আরও খারাপ করতে পারে।
মনে রাখবেন:
এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ উদ্দেশ্যে এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
আপনার যদি মাথা ঘুরানোর সমস্যা হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু টিপস:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত চলাচল উন্নত করতে এবং মাথা ঘুরানো কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুমান: ঘুমের অভাব মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে, তাই প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- মানসিক চাপ কমাতে শিখুন: মানসিক চাপ মাথা ঘুরানোর কারণ হতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করুন।
কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে
মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করার জন্য এমন কিছু খাবার আছে যা আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
কিছু খাবার:
- পানি: ডিহাইড্রেশন মাথা ঘোরার একটি সাধারণ কারণ। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনি গরমের দিনে বাইরে থাকেন বা ব্যায়াম করেন।
- ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- পূর্ণ শস্য: পূর্ণ শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
- চর্বিহীন প্রোটিন: চর্বিহীন প্রোটিন, যেমন মাছ, মুরগির মাংস, এবং ডিম, শরীরকে শক্তি প্রদান করে এবং মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- আদা: আদা বমি বমি ভাব কমাতে এবং রক্ত চলাচল উন্নত করতে সাহায্য করে।
- লেবু: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিছু টিপস:
- নিয়মিত খাবার খান: দীর্ঘ সময় না খেলে মাথা ঘোরা হতে পারে।
- ছোট ছোট খাবার খান: তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার পরিবর্তে, দিন भर ছোট ছোট খাবার খান।
মনে রাখবেন:
এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ উদ্দেশ্যে এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
আপনার যদি মাথা ঘুরানোর সমস্যা হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু খাবার যা এড়িয়ে চলা উচিত:
- চর্বিযুক্ত খাবার: চর্বিযুক্ত খাবার হজম করা কঠিন হতে পারে এবং মাথা ঘোরা আরও খারাপ করতে পারে।
- মিষ্টি খাবার: মিষ্টি খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে, যা মাথা ঘোরা হতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং চিনি থাকে যা মাথা ঘোরা আরও খারাপ করতে পারে।
আপনার খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url