হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত বিস্তারিত জানুন।

যদি চোখের সামনে হঠাৎ করেই সব কিছু অন্ধকার দেখেন কিংবা শরীরের ভারসাম্য হারাতে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মাইগ্রেনের সমস্যা, মদ্যপানের কারণে কিংবা কানের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মাথা ঘুরতে পারে।

হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত বিস্তারিত জানুন।


এই সমস্যাগুলো মস্তিষ্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়াও, আরও বেশ কিছু কারণে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী।

কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে

মাথা ঘোরার কারণ অনুসারে, কিছু খাবার মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুন:মাথার তালুতে ব্যথা হলে করণীয় কি?৫টি সম্পকে জানুন।

পানিশূন্যতা:
  • পানি: প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন।
  • ফলের রস: তরমুজ, আঙ্গুর, শসা, লেবু, বেদানা, লেবুর পানি
নিম্ন রক্তে শর্করার মাত্রা:
  • চকলেট: দ্রুত শর্করার জন্য
  • কলা: পটাশিয়াম এবং ভিটামিন B6 সমৃদ্ধ
  • বাদাম: কাঠবাদাম, ওয়ালনাট
  • মধু: দ্রুত শর্করার জন্য
রক্তাল্পতা:
  • লবণাক্ত খাবার: লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে
  • পালং শাক: আয়রন সমৃদ্ধ
  • লাল মাংস: আয়রন সমৃদ্ধ
  • ডাল: আয়রন এবং ফোলেট সমৃদ্ধ
  • খেজুর: আয়রন এবং ফোলেট সমৃদ্ধ
অন্যান্য:
  • আদা: বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে
  • আদা চা: মস্তিষ্কের রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে
  • ভেষজ চা: পুদিনা, ক্যামোমিল, লেবু বাম
  • স্বাস্থ্যকর খাবার: সবুজ শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ, মাছ, ডিম
মনে রাখবেন:
  • মাথা ঘোরার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনার ডায়েটে পরিবর্তন করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, বিশেষ করে আপনি যদি কোনও ওষুধ খান।
  • মাথা ঘোরার সাথে অন্য কোনও উপসর্গ থাকলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
কিছু টিপস:
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম পান।
  • মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।

হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত

হঠাৎ মাথা ঘুরলে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত:

১) নিরাপদে বসুন বা শুয়ে পড়ুন:
যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে বসে পড়ুন বা শুয়ে পড়ুন।
পতনের ঝুঁকি এড়াতে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

আরো পড়ুন:মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার?(৬টি উপায় জানুন)।

২) শান্ত থাকুন:
চোখ বন্ধ করুন এবং গভীর শ্বাস নিন।
দ্রুত নড়াচড়া করা এড়িয়ে চলুন।
আতঙ্কিত হবেন না।

৩) পানি পান করুন:
পানিশূন্যতা মাথা ঘোরার একটি সাধারণ কারণ।
ধীরে ধীরে এক গ্লাস পানি পান করুন।

৪) খাবার খান:
নিম্ন রক্তে শর্করার মাত্রাও মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে।
কিছু হালকা খাবার, যেমন বিস্কুট বা ফল খান।

আপনি যদি নিয়মিত ঔষধ খান, তাহলে নির্দেশ অনুসারে সেগুলি গ্রহণ করুন।
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ঘুরতে পারে।

৭) ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ:
যদি আপনার মাথা ঘোরা তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, বা অন্য কোন উপসর্গের সাথে থাকে, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। মাথা ঘোরার সাথে যদি বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, দৃষ্টি সমস্যা, বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা সেবা নিন।

গ্যাস থেকে মাথা ঘোরা

গ্যাসের কারণে মাথা ঘোরার কিছু কারণ:
  • কিছু খাবার: কিছু খাবার, যেমন ডাল, কপি, ব্রকলি, এবং লাল মাংস, গ্যাস তৈরি করতে পারে।
  • কার্বোনেটেড পানীয়: সোডা এবং অন্যান্য কার্বোনেটেড পানীয় পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি করতে পারে।
  • ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা: ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিরা দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে পারে না, যার ফলে গ্যাস এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • চিকিৎসা অবস্থা: কিছু চিকিৎসা অবস্থা, যেমন GERD, আইবিএস, এবং celiac রোগ, গ্যাস তৈরি করতে পারে।
  • ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস তৈরি করতে পারে।
গ্যাসের কারণে মাথা ঘোরা কমাতে কিছু টিপস:
  • ধীরে ধীরে এবং সাবধানে খান: খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খান এবং বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • গ্যাস তৈরি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন: আপনার ডায়েট থেকে এমন খাবার বাদ দিন যা আপনার গ্যাস তৈরি করে।
  • কার্বোনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন: সোডা এবং অন্যান্য কার্বোনেটেড পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন।
  • ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হলে ল্যাকটোজ-মুক্ত খাবার খান: ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের ল্যাকটোজ-মুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • ওষুধ: আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্যাসের ওষুধ খেতে পারেন।
যদি গ্যাসের কারণে মাথা ঘোরা তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, বা অন্য কোন উপসর্গের সাথে থাকে, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায়

মাথা ঘোরা থেকে মুক্তির উপায় নির্ভর করে এর কারণের উপর।

আরো পড়ুন:মাথা ঘুরানো থেকে মুক্তির উপায় সম্পকে বিস্তারিত জানুন।

কিছু সাধারণ উপায়:
  • পানিশূন্যতা রোধ: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
  • মানসিক চাপ কমানো: ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে পারেন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার: সবুজ শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ, মাছ, ডিম খান।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার: ধূমপান ও অ্যালকোহল মাথা ঘোরার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ক্যাফেইন কমানো: অতিরিক্ত ক্যাফেইন মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে।
  • ওষুধ: আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন।
কিছু নির্দিষ্ট কারণের জন্য:
  • নিম্ন রক্তচাপ: লবণাক্ত খাবার খান, প্রচুর পানি পান করুন, এবং দ্রুত উঠে দাঁড়ানো এড়িয়ে চলুন।
  • রক্তাল্পতা: আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন পালং শাক, লাল মাংস, ডাল, খেজুর।
  • কানের সমস্যা: কানের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • মস্তিষ্কের সমস্যা: মস্তিষ্কের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
যদি মাথা ঘোরা তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, বা অন্য কোন উপসর্গের সাথে থাকে, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ

হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো:

১) রক্তচাপের সমস্যা:
উচ্চ রক্তচাপ: হঠাৎ দাঁড়ানো, গরমের দিনে বাইরে থাকা, বা অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।

২) রক্তাল্পতা:
শরীরে পর্যাপ্ত লোহিত রক্ত ​​কণিকা না থাকলে রক্তাল্পতা হতে পারে।
লোহিত রক্ত ​​কণিকা অক্সিজেন বহন করে, তাই রক্তাল্পতা হলে মাথায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নাও হতে পারে।

আরো পড়ুন:কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পকে জানুন।

৩) কানের সমস্যা:
ভেস্টিবুলার সিস্টেম কানের ভিতরে অবস্থিত এবং ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ভেস্টিবুলার সিস্টেমের সমস্যার কারণে মাথা ঘুরতে পারে।

৪) মস্তিষ্কের সমস্যা:
স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, বা মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে মাথা ঘুরতে পারে।

৫) অন্যান্য কারণ:
ডিহাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পানি না পান করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণে মাথা ঘুরতে পারে।
ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে মাথা ঘুরতে পারে।
অতিরিক্ত গ্যাস: পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হলে মাথা ঘুরতে পারে।

যদি হঠাৎ মাথা চক্কর দেয়, তাহলে:
  • নিরাপদে বসুন বা শুয়ে পড়ুন।
  • শান্ত থাকুন।
  • পানি পান করুন।
  • পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করুন।
  • ঔষধ সেবন করুন (যদি নিয়মিত ঔষধ খান)।
  • ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন (যদি মাথা ঘোরা তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, বা অন্য কোন উপসর্গের সাথে থাকে)।

মাথা ঘোরার কারণ ও সমাধান

  • অভ্যন্তরীণ কানের সমস্যা: ভেস্টিবুলার সিস্টেম, যা অভ্যন্তরীণ কানের অংশ, ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই সিস্টেমের সমস্যা, যেমন বেনাইন প্যারোক্সিস্মাল পজিশনাল ভার্টিগো (BPPV) বা মেনিয়ার'স রোগ, মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে।
  • রক্তচাপের সমস্যা: উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন:কাঠ বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জাজুন

কিছু সাধারণ সমাধান:
  • ডিহাইড্রেশন এড়িয়ে চলুন: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
  • মানসিক চাপ কমানো: ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে পারেন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার: সবুজ শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ, মাছ, ডিম খান।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার: ধূমপান ও অ্যালকোহল মাথা ঘোরার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ক্যাফেইন কমানো: অতিরিক্ত ক্যাফেইন মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে।
  • ওষুধ: আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন।
কিছু নির্দিষ্ট কারণের জন্য:
  • অভ্যন্তরীণ কানের সমস্যা: BPPV-এর জন্য, আপনার ডাক্তার মাথার কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম সুপারিশ করতে পারেন। মেনিয়ার'স রোগের জন্য, ওষুধ বা অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।
  • মস্তিষ্কের সমস্যা: স্ট্রোক, টিউমার, বা মস্তিষ্কের আঘাতের চিকিৎসা নির্ভর করে নির্দিষ্ট সমস্যার উপর।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url