নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পেট ফেঁপে থাকা আমাদের খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে খাদ্য তালিকা উনিশ থেকে বিশ হলেই আমরা গ্যাসের অস্থিরতায় ভুগতে থাকি। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে এবং হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় যার কারণেই পেট ফেঁপে থাকে।
কখনো কখনো এর সঙ্গে পেটে ব্যথাও থাকতে পারে। এই সমস্যার নিরাময়ে ওষুধ না খেয়ে শুরুতে ঘরোয়া কিছু সমাধান গ্রহণ করাই ভালো। আসুন জেনে নেই কী কী উপায়ে পেট ফাঁপা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে করনীয়
নবজাতকের পেটে গ্যাস হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:
আরো পড়ুন:পেটে বুট বুট করলে করনীয় কি? এমন সময় কি করবেন।
কারণ:
- খাদ্য অ্যালার্জি: কিছু খাবার, যেমন: গরুর দুধ, সয়াবিন ইত্যাদি, নবজাতকে অ্যালার্জি হতে পারে এবং পেটে গ্যাসের কারণ হতে পারে।
করণীয়:
- ঢেকুর তোলানো: দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতককে ঢেকুর তোলানোর জন্য তার পিঠে আলতোভাবে চাপড়ে দিন।
- বায়ু বের করার ব্যায়াম: নবজাতকের পা সাইকেল চালানোর মতো করে নড়াচড়া করান। এতে করে তার পেটের বাতাস বের হতে সাহায্য হবে।
- গরম সেঁক: নবজাতকের পেটে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমাতে সাহায্য হবে।
- ম্যাসাজ: নবজাতকের পেটে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে গ্যাস বের হতে সাহায্য হবে।
- প্রোবায়োটিকস: শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোবায়োটিকস ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও:
- নবজাতককে নিয়মিত ব্রেস্টফিডিং করান।
- নবজাতককে অতিরিক্ত খাওয়াবেন না।
- নবজাতককে খাওয়ানোর পর তাকে কিছুক্ষণ হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
- নবজাতককে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ল্যাক্সেটিভ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রাখবেন:
- নবজাতকের পেট ফাঁপা একটি সাধারণ সমস্যা।
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই সমস্যা নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায়।
- যদি আপনার নবজাতকের পেট ফাঁপা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
কিছু সতর্কতা:
- নবজাতককে কোন ঔষধ দেওয়ার আগে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
- নবজাতককে গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন না।
- নবজাতককে তীব্র গরমে রাখবেন না।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
- নবজাতককে ধীরে ধীরে খাওয়ান।
- নবজাতককে খাওয়ানোর সময় তার মাথা ৪৫ ডিগ্রি কোণে উঁচু করে রাখুন।
৫ বছরের বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে করণীয়
- অতিরিক্ত দুধ পান: শিশুরা যদি খুব দ্রুত বা অতিরিক্ত দুধ পান করে, তাহলে তাদের পেটে বাতাস চলে যেতে পারে।
- দুধের অসহিষ্ণুতা: কিছু শিশুর দুধের ল্যাকটোজ হজম করতে সমস্যা হয়, যার ফলে গ্যাস, পেট ফোলা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
- খাদ্যে পরিবর্তন: নতুন খাবার খাওয়ার ফলে শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে শিশুর পেটে বাতাস জমা হতে পারে।
- অন্যান্য: কিছু ক্ষেত্রে, সংক্রমণ, খাদ্য অ্যালার্জি, বা অন্ত্রের সমস্যার কারণেও শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে।
যদি শিশুর পেটে গ্যাসের সমস্যা নিয়মিত হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আরো পড়ুন:গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন
এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা ৫ বছরের বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে:
- দুধ পান করানোর সময় শিশুর মাথা ৪৫ ডিগ্রি কোণে উপরে রাখুন।
- দুধ পান করানোর পর শিশুকে ঢেকুর তুলতে সাহায্য করুন।
- শিশুর খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করান।
- শিশুর পেটে হালকা ম্যাসাজ করুন।
- শিশুকে নিয়মিত ব্যায়াম করান।
- গ্যাসের সমস্যা যদি তীব্র হয়, তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী গ্যাসের ওষুধ খাওয়ান।
কিছু ঘরোয়া উপায় যা শিশুর পেটে গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে:
- লবঙ্গ: লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
- পুদিনা: পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
- আদা: আদা পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
- এলাচ: এলাচ গুঁড়ো করে শিশুর খাবারের সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন।
মনে রাখবেন, এই টিপসগুলো শুধুমাত্র সাধারণ নির্দেশিকা। **শিশুর পেটে গ্যাসের সমস্যা যদি তীব্র হয়
নবজাতকের পেট ফাঁপার ঔষধ
নবজাতকের পেট ফাঁপার কিছু সাধারণ কারণ:
- অতিরিক্ত বাতাস গিলে ফেলা: নবজাতকরা দুধ খাওয়ার সময় অনেক বাতাস গিলে ফেলে, যা তাদের পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।
- অন্যান্য কারণ: কিছু ক্ষেত্রে, নবজাতকের পেট ফাঁপা হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য, খাদ্য এলার্জি, বা অন্ত্রের সংক্রমণের কারণে।
আরো পড়ুন:কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
নবজাতকের পেট ফাঁপার সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস:
- দুধ খাওয়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন: নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর সময় তার মাথা ৪৫ ডিগ্রি কোণে উঁচু করে রাখুন। এতে করে শিশু দুধের সাথে কম বাতাস গিলে ফেলবে।
- ঢেকুর তোলানো: দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতককে ঢেকুর তোলানোর জন্য তার পিঠে আলতোভাবে চাপড়ে দিন।
- বায়ু বের করার ব্যায়াম: নবজাতকের পা সাইকেল চালানোর মতো করে নড়াচড়া করান। এতে করে তার পেটের বাতাস বের হতে সাহায্য হবে।
- গরম সেঁক: নবজাতকের পেটে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমাতে সাহায্য হবে।
- ম্যাসাজ: নবজাতকের পেটে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে গ্যাস বের হতে সাহায্য হবে।
- প্রোবায়োটিকস: শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোবায়োটিকস ব্যবহার করা যেতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি নবজাতকের পেটে তীব্র ব্যথা হয়।
- যদি নবজাতকের পেট ফাঁপা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- যদি নবজাতকের পেট ফাঁপার সাথে অন্য কোন উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন জ্বর, বমি, ডায়রিয়া, বা ক্ষুধামান্দ্য।
মনে রাখবেন, নবজাতকের পেট ফাঁপা একটি সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই সমস্যা নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায়। **তবে, যদি আপনার নবজাতকের পেট
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে,
খাওয়া উচিত:
১. হালকা খাবার:
- সাদা ভাত: এতে ফাইবার কম থাকে, যা গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- স্যুপ: গরম স্যুপ পেটের জন্য ভালো।
- সবজি: সিদ্ধ সবজি, যেমন: লম্বা বীন, গাজর, আলু, কুমড়া, লাউ, ব্রকলি ইত্যাদি।
- ফল: কলা, পেঁপে, আপেল, নাশপাতি, পেঁপে ইত্যাদি।
- মাছ: রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া ইত্যাদি।
- মাংস: মুরগির মাংস, খাসির মাংস ইত্যাদি।
- দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি।
আরো পড়ুন:ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
২. তরল:
- স্যালাইন: ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খাওয়ানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- ORS: ডায়রিয়া হলে ORS (Oral Rehydration Solution) খাওয়ানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৩. অন্যান্য:
- আদা: আদা পানি বা আদা চা পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
- পুদিনা: পুদিনা পানি পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
- জিরা: জিরা পানি পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
- সৌঁফ: সৌঁফ পানি পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও:
- বাচ্চাদের খাওয়ানোর পর তাদের কিছুক্ষণ হাঁটান।
- বাচ্চাদের ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করুন।
- বাচ্চাদের পেটে হালকা ম্যাসাজ করুন।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত:
- ভাজাপোড়া খাবার
- মশলাদার খাবার
- চর্বিযুক্ত খাবার
- কাঁচা সবজি
- ফলের বীজ
- ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
- কার্বোনেটেড পানীয়
যদি বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়,
তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
নবজাতকের পেট ফাঁপা একটি সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই সমস্যা নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায়। তবে, কিছু ঘরোয়া উপায় নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন:গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
কিছু ঘরোয়া উপায়:
- দুধ খাওয়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন: নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর সময় তার মাথা ৪৫ ডিগ্রি কোণে উঁচু করে রাখুন। এতে করে শিশু দুধের সাথে কম বাতাস গিলে ফেলবে।
- ঢেকুর তোলানো: দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতককে ঢেকুর তোলানোর জন্য তার পিঠে আলতোভাবে চাপড়ে দিন।
- বায়ু বের করার ব্যায়াম: নবজাতকের পা সাইকেল চালানোর মতো করে নড়াচড়া করান। এতে করে তার পেটের বাতাস বের হতে সাহায্য হবে।
- গরম সেঁক: নবজাতকের পেটে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমাতে সাহায্য হবে।
- ম্যাসাজ: নবজাতকের পেটে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে গ্যাস বের হতে সাহায্য হবে।
- প্রোবায়োটিকস: শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোবায়োটিকস ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও:
- নবজাতককে নিয়মিত ব্রেস্টফিডিং করান।
- নবজাতককে অতিরিক্ত খাওয়াবেন না।
- নবজাতককে খাওয়ানোর পর তাকে কিছুক্ষণ হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
- নবজাতককে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ল্যাক্সেটিভ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রাখবেন, নবজাতকের পেট ফাঁপা একটি সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই সমস্যা নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায়। তবে, যদি আপনার নবজাতকের পেট ফাঁপা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
কিছু সতর্কতা:
- নবজাতককে কোন ঔষধ দেওয়ার আগে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
- নবজাতককে গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন না।
- নবজাতককে তীব্র গরমে রাখবেন না।
নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে করনীয়
নবজাতকের পেটে গ্যাস হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:
- খাদ্য অ্যালার্জি: কিছু খাবার, যেমন: গরুর দুধ, সয়াবিন ইত্যাদি, নবজাতকে অ্যালার্জি হতে পারে এবং পেটে গ্যাসের কারণ হতে পারে।
আরো পড়ুন:হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের পার্থক্য জেনে নিন
নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে করনীয়:
- ঢেকুর তোলানো: দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতককে ঢেকুর তোলানোর জন্য তার পিঠে আলতোভাবে চাপড়ে দিন।
- বায়ু বের করার ব্যায়াম: নবজাতকের পা সাইকেল চালানোর মতো করে নড়াচড়া করান। এতে করে তার পেটের বাতাস বের হতে সাহায্য হবে।
- গরম সেঁক: নবজাতকের পেটে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমাতে সাহায্য হবে।
- ম্যাসাজ: নবজাতকের পেটে আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে গ্যাস বের হতে সাহায্য হবে।
- প্রোবায়োটিকস: শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোবায়োটিকস ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও:
- নবজাতককে নিয়মিত ব্রেস্টফিডিং করান।
- নবজাতককে অতিরিক্ত খাওয়াবেন না।
- নবজাতককে খাওয়ানোর পর তাকে কিছুক্ষণ হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
- নবজাতককে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ল্যাক্সেটিভ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রাখবেন, নবজাতকের পেট ফাঁপা একটি সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই সমস্যা নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায়। তবে, যদি আপনার নবজাতকের পেট ফাঁপা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
কিছু সতর্কতা:
- নবজাতককে কোন ঔষধ দেওয়ার আগে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
- নবজাতককে গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন না।
- নবজাতককে তীব্র গরমে রাখবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url