গরুর লাম্পি স্কিন রোগের ভ্যাকসিন সম্পকে জেনে নিন ।
লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত পশুর মধ্যে ২০ শতাংশ মারা যায়; বাকি ৮০ শতাংশ ভালো হয়ে গেলেও নানা জটিলতা থেকে যায়। রোগটির নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা না থাকায় গরুকে মূলত জলবসন্তের টিকাই দেওয়া হত এতদিন। সুস্থ গরুকে এ রোগ থেকে বাঁচাতে খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে খামারিদের পরামর্শ দিতেনন চিকিৎসকরা।
গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর চিকিৎসা
গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) এর চিকিৎসা:
প্রথমেই মনে রাখবেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাল রোগ, তাই এর সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে, রোগের লক্ষণগুলি প্রশমিত করতে এবং জটিলতা রোধ করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুন:মাথা ঘোরার কারণ ও সমাধান জেনে নিন ।
ক্ষতস্থানের যত্ন:
- গুটিগুলি ফেটে গেলে পটাশ বা আয়োডিন দ্রবণ দিয়ে ক্ষতস্থান নিয়মিত ধুতে হবে।
- ঘা শুকাতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
- মাছি বসার হাত থেকে ক্ষতস্থান রক্ষা করতে হবে।
- দুর্বলতা:
- প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার পানি খাওয়ানো জরুরি।
- দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ:
- জীবাণু সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
আক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখুন:
- রোগ ছড়ানো রোধ করতে আক্রান্ত গরুকে সুস্থ গরু থেকে আলাদা খামারে রাখতে হবে।
- খামার পরিষ্কার রাখুন:
- মশা, মাছি, পোকামাকড়ের উপদ্রব রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে কারণ এগুলো রোগ ছড়াতে পারে।
- লাম্পি স্কিন ডিজিজের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সুস্থ গরুদের ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত।
কিছু দরকারী টিপস:
- একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
- আপনার গরুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করুন।
- প্রয়োজনে সরকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
গরুর চর্ম রোগের চিকিৎসা
কিছু সাধারণ চর্ম রোগ এবং তাদের চিকিৎসা:
1. লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি):
এটি একটি ভাইরাল রোগ।
চিকিৎসা:
জ্বর ও ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক ব্যবহার।
ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখা, জীবাণুনাশক ব্যবহার।
পুষ্টিকর খাবার, ইলেক্ট্রোলাইট, ভিটামিন সরবরাহ।
প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার।
ভ্যাকসিনেশন।
2. রিংওয়ার্ম:
এটি ছত্রাকজনিত রোগ।
চিকিৎসা:
অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা লোশন ব্যবহার।
আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখা।
সংক্রমিত গরুকে আলাদা রাখা।
3. ম্যাঙ্গে:
এটি মাইট বা পোকামাকড়ের কারণে হয়।
চিকিৎসা:
অ্যান্টিপ্যারাসিটিক ওষুধ ব্যবহার।
আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখা।
সংক্রমিত গরুকে আলাদা রাখা।
4. গরুর খুরার রোগ:
বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
চিকিৎসা:
কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা।
খুর পরিষ্কার রাখা।
প্রয়োজনে খুরের ক্ষত সারাতে ব্যবস্থা নেওয়া।
5. গরুর চামড়ায় ফুসকুড়ি:
বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
চিকিৎসা:
কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা।
আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখা।
জীবাণুনাশক ব্যবহার।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
- একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
- আপনার গরুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করুন।
- প্রয়োজনে সরকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
গরুর এল এস ডি রোগের চিকিৎসা
গুটিগুলি ফেটে গেলে পটাশ বা আয়োডিন দ্রবণ দিয়ে ক্ষতস্থান নিয়মিত ধুতে হবে।
ঘা শুকাতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাছি বসার হাত থেকে ক্ষতস্থান রক্ষা করতে হবে।
দুর্বলতা:
প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার পানি খাওয়ানো জরুরি।
দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ:
জীবাণু সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
আক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখুন:
- রোগ ছড়ানো রোধ করতে আক্রান্ত গরুকে সুস্থ গরু থেকে আলাদা খামারে রাখতে হবে।
- খামার পরিষ্কার রাখুন:
- মশা, মাছি, পোকামাকড়ের উপদ্রব রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে কারণ এগুলো রোগ ছড়াতে পারে।
- লাম্পি স্কিন ডিজিজের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সুস্থ গরুদের ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত।
কিছু দরকারী টিপস:
একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
আপনার গরুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করুন।
প্রয়োজনে সরকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
গরুর গায়ে গুটি গুটি
১. লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি):
এটি একটি ভাইরাল রোগ।
লক্ষণ: গরুর গায়ে গুটি গুটি, জ্বর, দুর্বলতা, ক্ষুধামান্দ্য, দুধ কমে যাওয়া।
চিকিৎসা:
জ্বর ও ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক ব্যবহার।
ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখা, জীবাণুনাশক ব্যবহার।
পুষ্টিকর খাবার, ইলেক্ট্রোলাইট, ভিটামিন সরবরাহ।
প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার।
ভ্যাকসিনেশন।
২. গরুর খুরার রোগ:
বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
লক্ষণ: খুর ফুলে যাওয়া, খুরে পুঁজ জমা, খুর খসে যাওয়া।
চিকিৎসা:
কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা।
খুর পরিষ্কার রাখা।
প্রয়োজনে খুরের ক্ষত সারাতে ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. গরুর চামড়ায় ফুসকুড়ি:
বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
লক্ষণ: চামড়ায় ফুসকুড়ি, চুলকানি, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া।
চিকিৎসা:
কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা।
আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখা।
জীবাণুনাশক ব্যবহার।
মনে রাখবেন:
গরুর গায়ে গুটি গুটি হলে দ্রুত একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
আপনার গরুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করুন।
প্রয়োজনে সরকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
আরও কিছু টিপস:
- আপনার গরুদের নিয়মিত ভ্যাকসিন দিন।
- গরুর খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
- গরুর খাবার ও পানি পরিষ্কার রাখুন।
- মশা, মাছি, পোকামাকড়ের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করুন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
গরুর লাম্পি স্কিন রোগের ভ্যাকসিন
বাংলাদেশে গরুর লাম্পি স্কিন রোগের (এলএসডি) টিকা উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বর্তমানে দুটি টিকা পাওয়া যায়:
১. বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) উদ্ভাবিত টিকা:
এটি একটি 'লো-ডোজ' টিকা।
একটি টিকা 6 মাসের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে।
বাজারে এখনো ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না।
২. রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত টিকা:
এটি একটি 'হাই-ডোজ' টিকা।
একটি টিকা 9 মাসের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে।
বাজারে পাওয়া যায়।
কোন টিকা ব্যবহার করবেন?
আপনার এলাকার ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার গরুর বয়স, জাত, এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে টিকা নির্বাচন করুন।
টিকা দেওয়ার নিয়ম:
- টিকা অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের মাধ্যমে দিতে হবে।
- টিকা দেওয়ার পর গরুর উপর নজর রাখুন।
- কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
টিকা ছাড়াও এলএসডি প্রতিরোধে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- আপনার খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
- মশা, মাছি, পোকামাকড়ের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করুন।
- আক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখুন।
- নিয়মিত খামারের কর্মীদের হাত পরিষ্কার রাখতে বলুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url