রোজা অবস্থায় সহবাস করা যাবে কি?বিস্তারিত জানুন।
রমজানে দিনের বেলা পানাহার করা যায় না, স্ত্রী সহবাসও নিষেধ। কিন্তু অনেকে জিজ্ঞেস করে থাকেন যে, রমজানে রাতের বেলা স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা জায়েজ আছে কি? কেউ রমজানে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করলে কি রোজার অসুবিধা হবে?
যদি কেউ ভুলবশতঃ দিনের বেলায় সহবাস করে, তাহলে তার কাফফারা আদায় করতে হবে না।
যদি কেউ অসুস্থ থাকে এবং সহবাস করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তার উপর কাফফারা আদায় করতে হবে না।
রমজান মাসে স্ত্রী-সহবাসের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং ইসলামের বিধান মেনে চলা উচিত।
কাযা: ভেঙে যাওয়া রোজা পরবর্তীতে অন্য সময়ে পূরণ করতে হবে।
কাফফারা:
উল্লেখ্য: রমজান মাসের রোজা রাখার সময় স্ত্রীর সাথে সহবাস করা থেকে বিরত থাকা এবং রোজার পবিত্রতা রক্ষা করা সকল মুসলিমের কর্তব্য।
কাযা: ভেঙে যাওয়া রোজা পরবর্তীতে অন্য সময়ে পূরণ করতে হবে।
কাফফারা:
কাযা: ভেঙে যাওয়া রোজা পরবর্তীতে অন্য সময়ে পূরণ করতে হবে।
কাফফারা:
তবে, নফল রোজা রেখে সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেদিনের নফল রোজা আদায় করা হবে না। পরবর্তীতে অন্য সময়ে সেই রোজা কাজা আদায় করা উত্তম।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
কিছু প্রধান কারণ:
রমজান মাসে সহবাস করা যাবে কি
না, রমজান মাসের দিনের বেলায় সহবাস করা যাবে না।আরো পড়ুন:৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ(৩০টি রোজা ৩০টি ফজিলত)।
কারণ:- রমজান মাসের রোজা রাখার সময় সুবহে সাদিক (ভোরের আলো ফোটার সময়) থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত সকল ধরণের মানবিক চাহিদা ও যৌন চাহিদা পূরণ করা হারাম।
- কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, "সুবহে সাদিক (ভোরের আলো ফোটার সময়) থেকে রাত অবধি তোমরা রোজা রাখ। তবে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সঙ্গম (সহবাস) করা তোমাদের জন্য বৈধ। তারা তোমাদের জন্য পোশাক, এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাক।" (সূরা বাকারা: ১৮৭)
- তার রোজা ভেঙে যাবে।
- তাকে কাযা (বাদ পড়া রোজা পূরণ) ও কাফফারা (কাফফারা হলো রোজা ভাঙার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য দান করা বা গোলাম মুক্ত করা) আদায় করতে হবে।
- দু'মাস ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখা।
- যদি দু'মাস ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিনকে দু'সের করে খাবার দিতে হবে।
যদি কেউ ভুলবশতঃ দিনের বেলায় সহবাস করে, তাহলে তার কাফফারা আদায় করতে হবে না।
যদি কেউ অসুস্থ থাকে এবং সহবাস করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তার উপর কাফফারা আদায় করতে হবে না।
রমজান মাসে স্ত্রী-সহবাসের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং ইসলামের বিধান মেনে চলা উচিত।
সহবাস করলে কি রোজা ভেঙে যায়
হ্যাঁ, সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়। রমজান মাসের রোজা রাখার সময় সাহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা নিষিদ্ধ। রোজার অবস্থায় সহবাস করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে।কাযা: ভেঙে যাওয়া রোজা পরবর্তীতে অন্য সময়ে পূরণ করতে হবে।
কাফফারা:
- দু'মাস রোজা রাখা: ক্রমাগত দু'মাস রোজা রাখতে হবে।
- ষাটজন মিসকিনকে খাওয়ানো: ষাটজন মিসকিনকে প্রতিদিন সাহরি ও ইফতারের খাবার খাওয়ানো।
- একজন মিসকিনকে এক বছর খাওয়ানো: একজন মিসকিনকে এক বছরের জন্য প্রতিদিন সাহরি ও ইফতারের খাবার খাওয়ানো।
- রোজার অবস্থায় স্ত্রীর সাথে চুম্বন, আলিঙ্গন, স্পর্শ ইত্যাদি করলে রোজা ভেঙে যাবে না। তবে, বীর্যপাতের আশঙ্কা থাকলে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- রোজার অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে, গোসল ফরজ হবে।
- রোজার অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে।
আরো পড়ুন:রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া জানুন ।
রোজা রেখে স্বামী স্ত্রী কি কি করতে পারবে
রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রী কিছু কাজ করতে পারবেন, যেমন:- কুরআন তেলাওয়াত: রোজার অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়।
- দোয়া ও জিকির: রোজার অবস্থায় দোয়া ও জিকির করলে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।
- তারাবিহ: রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ আদায় করা সুন্নত।
- রোজার নিয়ম মেনে চলা: সাহরি ও ইফতারের সময় নির্ধারণ করে রোজার নিয়ম মেনে চলা।
- পানাহার থেকে বিরত থাকা: সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা।
- অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা: রোজার অবস্থায় মিথ্যা বলা, গীবত করা, পরনিন্দা করা, রাগ করা ইত্যাদি অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা।
- দান-ধ্যান: রোজার অবস্থায় দান-ধ্যান করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়।
- চুম্বন, আলিঙ্গন, স্পর্শ: রোজার অবস্থায় স্ত্রীর সাথে চুম্বন, আলিঙ্গন, স্পর্শ ইত্যাদি করলে রোজা ভেঙে যাবে না। তবে, বীর্যপাতের আশঙ্কা থাকলে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- সাথে সাথে ইফতার করা: রোজার সময় স্বামী-স্ত্রী একসাথে ইফতার করতে পারেন।
- ধর্মীয় আলোচনা: রোজার সময় স্বামী-স্ত্রী ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
- তারাবিহে একসাথে অংশগ্রহণ: রমজান মাসে স্বামী-স্ত্রী একসাথে তারাবিহ নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
রোজার মাসে সহবাস করা যাবে কিনা
না, রোজার মাসে সহবাস করা যাবে না। রমজান মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রোজার অবস্থায় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে।কাযা: ভেঙে যাওয়া রোজা পরবর্তীতে অন্য সময়ে পূরণ করতে হবে।
কাফফারা:
- দু'মাস রোজা রাখা: ক্রমাগত দু'মাস রোজা রাখতে হবে।
- ষাটজন মিসকিনকে খাওয়ানো: ষাটজন মিসকিনকে প্রতিদিন সাহরি ও ইফতারের খাবার খাওয়ানো।
- একজন মিসকিনকে এক বছর খাওয়ানো: একজন মিসকিনকে এক বছরের জন্য প্রতিদিন সাহরি ও ইফতারের খাবার খাওয়ানো।
- রোজার অবস্থায় স্ত্রীর সাথে চুম্বন, আলিঙ্গন, স্পর্শ ইত্যাদি করলে রোজা ভেঙে যাবে না। তবে, বীর্যপাতের আশঙ্কা থাকলে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- রোজার অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে, গোসল ফরজ হবে।
- রোজার অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে।
রোজা অবস্থায় সহবাস করা যাবে কি
না, রোজা অবস্থায় সহবাস করা যাবে না। রমজান মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রোজার অবস্থায় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে।কাযা: ভেঙে যাওয়া রোজা পরবর্তীতে অন্য সময়ে পূরণ করতে হবে।
কাফফারা:
- দু'মাস রোজা রাখা: ক্রমাগত দু'মাস রোজা রাখতে হবে।
- ষাটজন মিসকিনকে খাওয়ানো: ষাটজন মিসকিনকে প্রতিদিন সাহরি ও ইফতারের খাবার খাওয়ানো।
- একজন মিসকিনকে এক বছর খাওয়ানো: একজন মিসকিনকে এক বছরের জন্য প্রতিদিন সাহরি ও ইফতারের খাবার খাওয়ানো।
- রোজার অবস্থায় স্ত্রীর সাথে চুম্বন, আলিঙ্গন, স্পর্শ ইত্যাদি করলে রোজা ভেঙে যাবে না। তবে, বীর্যপাতের আশঙ্কা থাকলে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- রোজার অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে, গোসল ফরজ হবে।
- রোজার অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে।
নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে কি
নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে। নফল রোজা ফরজ রোজার মতো বাধ্যতামূলক নয়। তাই, নফল রোজা ভেঙে গেলে কাযা ও কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব নয়।তবে, নফল রোজা রেখে সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেদিনের নফল রোজা আদায় করা হবে না। পরবর্তীতে অন্য সময়ে সেই রোজা কাজা আদায় করা উত্তম।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- নফল রোজা রেখে সহবাস করার পূর্বে স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
- নফল রোজা ভেঙে গেলে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙেছে মনে করে অনুতপ্ত হওয়া উচিত।
- পরবর্তীতে অন্য সময়ে সেই রোজা কাজা আদায় করা উত্তম।
নফল রোজা ভঙ্গের কারণ
নফল রোজা ভঙ্গের কারণগুলি ফরজ রোজা ভঙ্গের কারণগুলির মতোই।কিছু প্রধান কারণ:
- সহবাস: নফল রোজার অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে।
- জেনেবুশ বা হায়েজ হওয়া: নফল রোজার অবস্থায় জেনেবুশ বা হায়েজ হলে রোজা ভেঙে যাবে।
- ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করানো: নফল রোজার অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করালে রোজা ভেঙে যাবে।
- ধূমপান: নফল রোজার অবস্থায় ধূমপান করলে রোজা ভেঙে যাবে।
- মাদকদ্রব্য সেবন: নফল রোজার অবস্থায় মাদকদ্রব্য সেবন করলে রোজা ভেঙে যাবে।
- সূর্যাস্তের পর খাওয়া-দাওয়া করা: নফল রোজার অবস্থায় সূর্যাস্তের পর খাওয়া-দাওয়া করলে রোজা ভেঙে যাবে।
- জেনেবুশ বা হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার পর গোসল না করা।
- রোজার অবস্থায় মিথ্যা বলা।
- রোজার অবস্থায় গীবত করা।
- রোজার অবস্থায় পরনিন্দা করা।
- রোজার অবস্থায় রাগ করা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url